ইন্ডিয়ার সেকুলারিজম :
——————————–
ভারত হল ইসলামি জেহাদীদের অভয়ারণ্য, একদম নিরাপদ স্বর্গ । পাঠক, এর প্রধান কারণ ? কারণ হলো ভারতের আনুমানিক ২০ কোটির বেশি মুসলমান যাদের বাপ দাদারা ১৯৪৬ থেকেই ‘হাত মে বিড়ি, মু মে পান, লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ স্লোগান তুলে অবিভক্ত ভারতে ভিন্নধর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পরেছিল দেশ ভাগ করে মুসলমানের দেশ পাকিস্তান কায়েম করতে আর এইসবের পরেও এরা আজ বিভক্ত ভারতে রয়ে গেছে হৃদয়ে পাকিস্তানকে লালন করে । এখানেই শেষ নয় পাঠক, এদের হাত মজমুত করেছে বিভক্ত ভারতের সেকুলাঙ্গার, তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষ জোট। পাঠক, একটা উদাহরণ দিই তাহলে কেন এইগুলো লিখছি বুঝবেন । ১৯৯৩ সাল। বম্বেতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানো হলো । মারা গেল প্রায় তিনশর বেশি মানুষ আর আহত হলো তার দ্বিগুণের বেশী। হ্যা, পাঠক আপনাদের মনে করিয়ে দিই মহারাষ্ট্রে তখন কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী সুধাকর নায়েক আর ভারতের কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাও এবং ঠোঁট ব্যাঁকা শারদ পাওয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এই ভয়ংকর জেহাদী হামলার নায়ক দাউদ ইব্রাহিম তখন বহাল তবিয়তে পাকিস্তানে আর ভারতে জেহাদী নাশকতার দায়িত্বে ছিল তার ভাই ইয়াকুব ।
পাকিস্তানের Defence Joumal, জানুঃ-ফ্রেব্রুঃ-১৯৯০, Jehad Syndrome শীর্ষক নিবন্ধে বলা হয়েছিল : ‘বিশ্বব্যাপী ধর্মযুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের মিত্র হল সেদেশের কয়েক কোটি মুসলমান। তেমনি আঞ্চলিক ক্ষেত্রে ভারতের বিরুদ্ধে আমাদের প্রধান সহায় ভারতের ১৫ কোটি মুসলমান’ (The Jan-Feb, 1990 issue of the Defence Journal of Pakistan under “Jehad Syndrome” says in a global role vis-a-vis the USSR. our allies are the millions of Muslims in the USSR Similarly in the regional role vis-avis India, our allies are 150 millions Indian Muslims our greatest asset is the Muslims to destabilise these two countries-Writes wing commander, Amar Jutshi-The Stateman 18.7.90)। এই ১৫ কোটি আজ বেড়ে ২০ কোটির উপরে আর এদের মাথার উপরে রয়েছে ভারতের সেকুলাঙ্গারদের সহায়তার হাত । আজকের এই ভারতের আলিগড়ের মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের বক্তব্য তুলে ধরি আপনাদের সামনে :
“যদিও মুসলমানের সংখ্যা ২০ শতাংশ কিন্তু সরকারি অফিসে মুসলমানের সংখ্যা ২ শতাংশ (2% Muslims in Govt. jobs, even as the minority Community makes up 20% of the total population Hindustan Times-l6.7.2004) মুসলমান দাবি করে ভারতে তাদের সংখ্যা ২০ কোটি আর সরকার থেকে প্রচার করা হয় ১৫ কোটি। ১৯৪৭ সালের ন্যায় হিন্দুকে রক্ত দিয়ে এই মিথ্যা প্রচারের মূল্য দিতে হবে।” রেফ: K. K. Aziz-The Murder of History ।
না পাঠক, অবাক হবেন না ! এটাই সত্য যে, ১৯৯৩ সালের সেই ভয়াবহ জেহাদি নাশকতা পরিকল্পনাকারী মেমন ঘটনার পরদিন সপরিবারে বিমানে ভারত ত্যাগ করে । এবারে বলুন তো আপনাদের আম-জনতার বুদ্ধিতে কি বলে : কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যােগসাজস ব্যতীত এই পালানো কিভাবে সম্ভব হয়েছিল ? এখানেই শেষ নয় । ২০০৬ সালের ১১ই জুলাই সন্ধ্যায় মুম্বাই রেল স্টেশনে পরপর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। নিহত ২০০, আহত ৬০০, তারপর ২৬/১১ তো রীতিমত বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল ! FBI-র থেকে আগাম সতর্কবার্তা পেয়েও এদেশের কংগ্রেস সরকার কোন ব্যবস্থা নেয়নি কেন ? আজমল কাসভের নাটক ছাড়া কেন একজনও মূল জিহাদি পরিকল্পনাকারীদের ধরা গেল না ? ধরা হবে কেন? জেহাদীদ বন্ধুদের মাথায় তো তখনের কেন্দ্রের কংগ্রেস কমুনিষ্টদের আপাত ধর্ম নিরপেক্ষ, সেকুলাঙ্গার সরকার ছিল, যারা ১৯৪৭ এর দেশভাগের কলকাঠি নেড়েছিলো সাম্প্রদায়িক মুসলিম লীগের সাথে হাত মিলিয়ে । আনন্দবাজার পত্রিকার (১৫.৭.২০০৬) :“সন্ত্রাসে পাক-মদত প্রশ্নে ভারত কতটা সরব হবে, তা নিয়ে একেবারেই দ্বিধা বিভক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। নেতারা জানেন, পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলে সুর চড়ালে মুসলিম ভােটের আশা পুরাপুরি ছেড়ে দিতে হবে। মন্ত্রীসভার বৈঠকে তীব্র পাক বিরােধিতার প্রশ্নটি তুলে সরব হয়েছেন অর্জুন সিং, এ. আর. আন্তুলের মত বর্ষীয়ান সদস্যরা …… অর্জুন সিং বলেন, আসলে হিন্দুরাই মুসলমান সেজে এসব করাচ্ছে। অর্জুন সিংকে সমর্থন করে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী এ. আর. আস্তুলেও বলে ওঠেন, মুসলিম সংগঠনগুলিকে অকারণেই টানা-হেঁচড়া করা হচ্ছে।”
আচ্ছা পাঠক, ধর্মনিরপেক্ষতার অভিধান অনুসারে ভারতে বসবাসকারী ২০ কোটির বেশি মুসলমান তাে ভারতীয়। তবে পাক-বিরােধীতায় মুসলমান কেন বিরূপ হবে আর তাই নিয়ে স্বাধীন ভারতের রাজনীতিকরা কেন চিন্তিত হবে ? এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ২০.৯.২০০৬ এ CPIM নেতা বিমান বসু সম্মন্ধে এক বাম নেতার বক্তব্য : ‘বিমানবাবু কোন ভাবেই মুসলিম সন্ত্রাসবাদের কথা মুখে আনতে রাজি নন।’ ১৯৭১ এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নরপিশাচ নিয়াজি পাকিস্তানী সেনাদের বেশি করে বাঙালি রমনীদের ধর্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছিল । নিয়াজির লজিক ছিল : ধর্ষণের ফলে যে সন্তানরা জন্মাবে তারা হবে সাচ্চা মুসলমানের বাচ্চা আর সাচ্চা মুসলমান কখনও তার বাপের বিরুদ্ধে যায়না । ‘৪৭ সালে দেশ ভাগের সময়ে অবিভক্ত ভারতের মুসলমানদের দ্বারা অগুনতি হিন্দু ও অন্যান্য ভিন্নধর্মের নারী ধর্ষিত হয়েছিল । ধর্ষণের ফলে বহু নারী সন্তানের জন্ম দিয়েছিল । আজকের ভারতের সেকুলাঙ্গার রাজনীতিক ও বুদ্ধুজীবীরা কি তাহলে সেই ‘৪৭ এর ধর্ষিত মায়েদের সাচ্চা মুসলমান সন্তান ?