ভারতবর্ষে হিন্দুদের অধঃপতনের কারণ।

ভারতবর্ষে হিন্দুদের অধঃপতনের কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে একই সঙ্গে ইসলাম বিস্তার এবং সেই সঙ্গে মুসলমানদের ধর্ম এবং আচার সম্পর্কে সাম্যক জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। এ কারণেই আলোচনার প্রথমেই পাঠকেদের জানিয়ে দেওয়া দরকার ইসলাম ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হলো কোরান, যা একটি ঐশীগ্রন্থ বলে পরিচিত। কোরানের পরেই হাদিস। হাদিস হলো হজরত মুহাম্মদের প্রামাণিক উক্তি ও কর্ম। মুসলমানগণ ও দুটি গ্রন্থের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন বলে দাবি করে এবং মুসলমান বাদশাহগণ কোরান-হাদিস অনুযায়ী রাজ্য শাসন করেতেন। এ ব্যপারে সহযোগিতা নিতেন ওলেমা ও মাওলানাদের । আমি বোঝার সুবিধার্থে কোরান-হাদিসের বাণী এবং তার প্রয়োগ এক সঙ্গে আলোচনা করবো যাতে পাঠকগণ বাস্তব অবস্থা ও তাত্ত্বিক ব্যখ্যা বুঝতে কষ্ট বোধ না করেন।

কাফের,মুসরিক
———————-
ইসলামে কাফের হল বিধর্মী
আর মুসরিক হলো পৌত্তলিক (মূর্তিপুজারী) কাফের।

মুনাফেক
————-
মুনাফেক হলো বাইরে ইসলাম ধর্মালম্বী কিন্তু ভিতরে ইসলমের শত্রু।
সপ্তম শতাব্দীতে মদিনার নবী বিরোধী গোষ্ঠীকে এই নাম দিয়ে কোরানে বারবার ধিক্কার দেওয়া হয়েছে। এই গোষ্টির নেতা ছিলেন আব্দুল্লা ইবন উবাই।

‘জেহাদ’
————–
ইসলামের আর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হলো ‘জেহাদ’। কোরানের পরিভাষায় জেহাদ হচ্ছে ‘জেহাদ ফি সবিলিল্লা’ (আল্লার পথে সংগ্রাম)। বিধর্মী নাশের যুদ্ধই হলো জেহাদ। অনেকে বলেন, জেহাদের অর্থ ধর্মযুদ্ধ। এ কথাটা ভুল।

‘গণিমা’ বা গনিমতের মাল
————————————
জেহাদের নিত্যসঙ্গী হচ্ছে ‘গণিমা’ বা, গনিমতের মাল। জেহাদে কাফেরদের কাছ থেকে যে সব মাল কেড়ে আনা হয় তার নাম গনিমতের মাল।

‘জিজিয়া’
————-
হিদাইয়া গ্রন্থের মতে, জেদ করে যারা কাফেরির পাপে অটল থেকে যায়, তাদের কাছ থেকে ইসলামী রাষ্ট্রের পাওনা আক্কেল সেলামীর নাম জিজিয়া। এই কর অত্যন্ত হীনতার সঙ্গে পৌছে দিতে হয় পবিত্র মুসলমানদের কাছে।

‘ফেই’
———–
এর অর্থ হচ্ছে বিনা যুদ্ধে পাওয়া লুটের মাল, যার সবটাই পয়গম্ব হজরত মুহাম্মদের পাওনা। জিজিয়াকে ফায় এর মধ্যে ধরা হয়।

জিম্মি
————-
ইসলামী রাষ্ট্রের জিম্মায় থাকা জিজিয়া করদাতা কাফেররা হচ্ছে জিম্মি। এরা জেহাদে পরাজিত ইসলামী রাষ্ট্রের অধম নাগরিক।

গাজী
———–
কাফের খুন করে যে মুজাহিদ জয়ী হয় তাকে বলা হয় গাজী। (One who slays an infidel-Hughes) হজরত মুহাম্মদ মদিনা বাসের দশ বছরের মধ্যে ৮২ বার জেহাদ করেছিলেন। তার মধ্যে ২৬/২৭ টিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি নিজে। এই সব জেহাদকে বলা হয় গাজোয়াত। অর্থাৎ প্রতিবারই তিনি গাজী হয়েছিলেন। হাদিসে এও দেখা যায় যে, গাজোয়াতগুলির বেশিরভাগই ছিল হানাদারী অর্থাৎ শত্রুকে নোটিশ না দিয়ে আক্রমণ। বৈরাম খার নির্দেশে নিরস্ত্র ও বন্দী হোমরাজ বিক্রমজিত ওরফে হিমুকে হত্যা করে বালক আকবর ‘গাজী’ হয়েছিলেন।

‘জান্নাতুল ফিরদৌস’
——————————-
এটি ইসলামের সর্বোচ্চ স্বর্গ। যুদ্ধে গিয়ে যারা মারা যাবে তারা শহীদ। এরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরাসরি ঐ সর্বোচ্চ স্বর্গে চলে যাবে। জেহাদ না করা মুসলমান যত ধার্মিকই হোক ঐ স্বর্গে যেতে পারবে না। Rezaul Manikভারতবর্ষে হিন্দুদের অধঃপতনের কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে একই সঙ্গে ইসলাম বিস্তার এবং সেই সঙ্গে মুসলমানদের ধর্ম এবং আচার সম্পর্কে সাম্যক জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। এ কারণেই আলোচনার প্রথমেই পাঠকেদের জানিয়ে দেওয়া দরকার ইসলাম ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হলো কোরান, যা একটি ঐশীগ্রন্থ বলে পরিচিত। কোরানের পরেই হাদিস। হাদিস হলো হজরত মুহাম্মদের প্রামাণিক উক্তি ও কর্ম। মুসলমানগণ ও দুটি গ্রন্থের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন বলে দাবি করে এবং মুসলমান বাদশাহগণ কোরান-হাদিস অনুযায়ী রাজ্য শাসন করেতেন। এ ব্যপারে সহযোগিতা নিতেন ওলেমা ও মাওলানাদের । আমি বোঝার সুবিধার্থে কোরান-হাদিসের বাণী এবং তার প্রয়োগ এক সঙ্গে আলোচনা করবো যাতে পাঠকগণ বাস্তব অবস্থা ও তাত্ত্বিক ব্যখ্যা বুঝতে কষ্ট বোধ না করেন।

কাফের,মুসরিক
———————-
ইসলামে কাফের হল বিধর্মী
আর মুসরিক হলো পৌত্তলিক (মূর্তিপুজারী) কাফের।

মুনাফেক
————-
মুনাফেক হলো বাইরে ইসলাম ধর্মালম্বী কিন্তু ভিতরে ইসলমের শত্রু।
সপ্তম শতাব্দীতে মদিনার নবী বিরোধী গোষ্ঠীকে এই নাম দিয়ে কোরানে বারবার ধিক্কার দেওয়া হয়েছে। এই গোষ্টির নেতা ছিলেন আব্দুল্লা ইবন উবাই।

‘জেহাদ’
————–
ইসলামের আর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হলো ‘জেহাদ’। কোরানের পরিভাষায় জেহাদ হচ্ছে ‘জেহাদ ফি সবিলিল্লা’ (আল্লার পথে সংগ্রাম)। বিধর্মী নাশের যুদ্ধই হলো জেহাদ। অনেকে বলেন, জেহাদের অর্থ ধর্মযুদ্ধ। এ কথাটা ভুল।

‘গণিমা’ বা গনিমতের মাল
————————————
জেহাদের নিত্যসঙ্গী হচ্ছে ‘গণিমা’ বা, গনিমতের মাল। জেহাদে কাফেরদের কাছ থেকে যে সব মাল কেড়ে আনা হয় তার নাম গনিমতের মাল।

‘জিজিয়া’
————-
হিদাইয়া গ্রন্থের মতে, জেদ করে যারা কাফেরির পাপে অটল থেকে যায়, তাদের কাছ থেকে ইসলামী রাষ্ট্রের পাওনা আক্কেল সেলামীর নাম জিজিয়া। এই কর অত্যন্ত হীনতার সঙ্গে পৌছে দিতে হয় পবিত্র মুসলমানদের কাছে।

‘ফেই’
———–
এর অর্থ হচ্ছে বিনা যুদ্ধে পাওয়া লুটের মাল, যার সবটাই পয়গম্ব হজরত মুহাম্মদের পাওনা। জিজিয়াকে ফায় এর মধ্যে ধরা হয়।

জিম্মি
————-
ইসলামী রাষ্ট্রের জিম্মায় থাকা জিজিয়া করদাতা কাফেররা হচ্ছে জিম্মি। এরা জেহাদে পরাজিত ইসলামী রাষ্ট্রের অধম নাগরিক।

গাজী
———–
কাফের খুন করে যে মুজাহিদ জয়ী হয় তাকে বলা হয় গাজী। (One who slays an infidel-Hughes) হজরত মুহাম্মদ মদিনা বাসের দশ বছরের মধ্যে ৮২ বার জেহাদ করেছিলেন। তার মধ্যে ২৬/২৭ টিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি নিজে। এই সব জেহাদকে বলা হয় গাজোয়াত। অর্থাৎ প্রতিবারই তিনি গাজী হয়েছিলেন। হাদিসে এও দেখা যায় যে, গাজোয়াতগুলির বেশিরভাগই ছিল হানাদারী অর্থাৎ শত্রুকে নোটিশ না দিয়ে আক্রমণ। বৈরাম খার নির্দেশে নিরস্ত্র ও বন্দী হোমরাজ বিক্রমজিত ওরফে হিমুকে হত্যা করে বালক আকবর ‘গাজী’ হয়েছিলেন।

‘জান্নাতুল ফিরদৌস’
——————————-
এটি ইসলামের সর্বোচ্চ স্বর্গ। যুদ্ধে গিয়ে যারা মারা যাবে তারা শহীদ। এরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরাসরি ঐ সর্বোচ্চ স্বর্গে চলে যাবে। জেহাদ না করা মুসলমান যত ধার্মিকই হোক ঐ স্বর্গে যেতে পারবে না। Rezaul Manikভারতবর্ষে হিন্দুদের অধঃপতনের কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে একই সঙ্গে ইসলাম বিস্তার এবং সেই সঙ্গে মুসলমানদের ধর্ম এবং আচার সম্পর্কে সাম্যক জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। এ কারণেই আলোচনার প্রথমেই পাঠকেদের জানিয়ে দেওয়া দরকার ইসলাম ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হলো কোরান, যা একটি ঐশীগ্রন্থ বলে পরিচিত। কোরানের পরেই হাদিস। হাদিস হলো হজরত মুহাম্মদের প্রামাণিক উক্তি ও কর্ম। মুসলমানগণ ও দুটি গ্রন্থের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন বলে দাবি করে এবং মুসলমান বাদশাহগণ কোরান-হাদিস অনুযায়ী রাজ্য শাসন করেতেন। এ ব্যপারে সহযোগিতা নিতেন ওলেমা ও মাওলানাদের । আমি বোঝার সুবিধার্থে কোরান-হাদিসের বাণী এবং তার প্রয়োগ এক সঙ্গে আলোচনা করবো যাতে পাঠকগণ বাস্তব অবস্থা ও তাত্ত্বিক ব্যখ্যা বুঝতে কষ্ট বোধ না করেন।

কাফের,মুসরিক
———————-
ইসলামে কাফের হল বিধর্মী
আর মুসরিক হলো পৌত্তলিক (মূর্তিপুজারী) কাফের।

মুনাফেক
————-
মুনাফেক হলো বাইরে ইসলাম ধর্মালম্বী কিন্তু ভিতরে ইসলমের শত্রু।
সপ্তম শতাব্দীতে মদিনার নবী বিরোধী গোষ্ঠীকে এই নাম দিয়ে কোরানে বারবার ধিক্কার দেওয়া হয়েছে। এই গোষ্টির নেতা ছিলেন আব্দুল্লা ইবন উবাই।

‘জেহাদ’
————–
ইসলামের আর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হলো ‘জেহাদ’। কোরানের পরিভাষায় জেহাদ হচ্ছে ‘জেহাদ ফি সবিলিল্লা’ (আল্লার পথে সংগ্রাম)। বিধর্মী নাশের যুদ্ধই হলো জেহাদ। অনেকে বলেন, জেহাদের অর্থ ধর্মযুদ্ধ। এ কথাটা ভুল।

‘গণিমা’ বা গনিমতের মাল
————————————
জেহাদের নিত্যসঙ্গী হচ্ছে ‘গণিমা’ বা, গনিমতের মাল। জেহাদে কাফেরদের কাছ থেকে যে সব মাল কেড়ে আনা হয় তার নাম গনিমতের মাল।

‘জিজিয়া’
————-
হিদাইয়া গ্রন্থের মতে, জেদ করে যারা কাফেরির পাপে অটল থেকে যায়, তাদের কাছ থেকে ইসলামী রাষ্ট্রের পাওনা আক্কেল সেলামীর নাম জিজিয়া। এই কর অত্যন্ত হীনতার সঙ্গে পৌছে দিতে হয় পবিত্র মুসলমানদের কাছে।

‘ফেই’
———–
এর অর্থ হচ্ছে বিনা যুদ্ধে পাওয়া লুটের মাল, যার সবটাই পয়গম্ব হজরত মুহাম্মদের পাওনা। জিজিয়াকে ফায় এর মধ্যে ধরা হয়।

জিম্মি
————-
ইসলামী রাষ্ট্রের জিম্মায় থাকা জিজিয়া করদাতা কাফেররা হচ্ছে জিম্মি। এরা জেহাদে পরাজিত ইসলামী রাষ্ট্রের অধম নাগরিক।

গাজী
———–
কাফের খুন করে যে মুজাহিদ জয়ী হয় তাকে বলা হয় গাজী। (One who slays an infidel-Hughes) হজরত মুহাম্মদ মদিনা বাসের দশ বছরের মধ্যে ৮২ বার জেহাদ করেছিলেন। তার মধ্যে ২৬/২৭ টিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি নিজে। এই সব জেহাদকে বলা হয় গাজোয়াত। অর্থাৎ প্রতিবারই তিনি গাজী হয়েছিলেন। হাদিসে এও দেখা যায় যে, গাজোয়াতগুলির বেশিরভাগই ছিল হানাদারী অর্থাৎ শত্রুকে নোটিশ না দিয়ে আক্রমণ। বৈরাম খার নির্দেশে নিরস্ত্র ও বন্দী হোমরাজ বিক্রমজিত ওরফে হিমুকে হত্যা করে বালক আকবর ‘গাজী’ হয়েছিলেন।

‘জান্নাতুল ফিরদৌস’
——————————-
এটি ইসলামের সর্বোচ্চ স্বর্গ। যুদ্ধে গিয়ে যারা মারা যাবে তারা শহীদ। এরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরাসরি ঐ সর্বোচ্চ স্বর্গে চলে যাবে। জেহাদ না করা মুসলমান যত ধার্মিকই হোক ঐ স্বর্গে যেতে পারবে না। Rezaul Manik