হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, সংগী আছে চরম মৌলবাদী শক্তি।

হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, সংগী আছে চরম মৌলবাদী  শক্তি।

বাংলাদেশে হাসিনা সরকার ১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ৫৬০ টি অত্যাধুনিক মসজিদ ও ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ার কাজ শুরু করেছেন। সকল গ্রামেও ক্রমান্বয়ে এটা করা হবে। এবং এরপর প্রতি পাডায় পাডায় সরকারের সরাসরি অর্থায়নে আধুনিক মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হবে।
এর ফল কি হতে পারে? বলাবাহূল্য মসজিদ অমুসলিম জনগোষ্ঠীর অধিকাংশের জন্য এক আতংকের নাম। যতগুলো আক্রমন অমুসলিম জনপদে চালানো হয়েছে তার বেশীর ভাগই করা হয়েছে মসজিদ থেকে। ভায়োলেন্সের দিন হিসেবে শুক্রবার ঐতিহাসিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি দিন। বিশেষত সিয়াম তথা ত্যাগের মাস রমজানের শুক্রবারগুলির বিভৎস রূপ সাধারন মানুষ ভুলেনি। গ্রেট কোলকাতা রায়টে সেই সিয়ামের মাস রমজানে মসজিদে মসজিদে যে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে। রংপুরের রসরাজ, ব্রাহ্মনবাডিয়ার ভষ্মীভূত গ্রামের হাজার মানুষ জানে এ বিভীষিকাকে।জানে মালোপাডার লোক, জানে সাঁওতাল , জানে চাকমারা,  জানেন সকলেই। জানেন হাসিনাও।
এতো সব জানার পরও কেন হাসিনা দেশটাকে মসজিদ দিয়ে ঘিরে ফেলতে চাইছেন। এরদোগান বলেছিলেন “মসজিদ আমার দূর্গ মিনার আমার কামান”। হাসিনা এখন তার কামানের রেন্জের মধ্যে নিয়ে এলেন ইসলামের অবিশ্বাসীদের। অমুসলিম বাংলার জনগনকে চক্রাকার ব্যুহে আটকে ফেলছেন  হাসিনা।
আতংকিত সংখ্যালঘুদেরকে ভয দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করা আর প্রাণ  বাঁচাতে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা আর হিন্দুমেয়েদের ছলে বলে মুসলমান বানানো এবং মুর্তি ভাংগার কাজে নিয়োজিত মুসলমানদের উৎসাহ যোগান ছাডা আপাতত এর আর কোন উদ্দেশ্য নেই।
তবে এর ফল কেবল অমুসলিম বিতাডনেই সীমাবদ্ধ থাকবেনা। একটা মৌলবাদী রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুললে একজন বোগদাদী বা মোল্লা ওমর পেতে সময় লাগবেনা। আর বাংলাদেশে এমন অসংখ্য” ইসলামী চিন্তাবিদ “ আছেন যারা কেউই বিন লাদেনের চেয়ে কম জ্বেহাদী নন।
হাসিনা দেশকে সরাসরি জ্বেহাদীর হাতেই হস্তান্তর করবেন তবু খালেদা বা তৃতীয় কোন পক্ষকে দেবেন না। দেশের মানুষ সেটেলাইট চায়না চায় নিরাপত্তা – যা হাসিনা নিজেই ধ্বংস করে চলেছেন তার কুট সাম্প্রদায়িক পদক্ষেপের মাধ্যমে ।বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে পজিটিভ পরিবর্তন সাধারন মানুষের পরিশ্রম দ্বারা অর্জিত হয়েছিল তাকে সরকার তার রাজনৈতিক অনৈতিকতার কারনে ব্যর্থই শুধু করবেনা একে ধ্বংস না করে ক্ষমতাও ছাডবেনা। আগামীতে হাটবাজারি মসজিদ ইত্যাদির মত ৫৬০ মসজিদেই বাংলাদেশের রাজনীতিও নিয়ন্ত্রন করবে।

Scroll to Top