কোলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেরকম রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলন পরিচালিত হয়, দিল্লির জে এন ইউ (জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়) তার থেকে আরো কয়েকধাপ উপরে। সেখানে সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষে দুর্বার বিক্ষোভ সমাবেশ – কাশ্মীর ও নর্থইস্টকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার গগনবিদারী আওয়াজ – আফজাল গুরু ও দাউদ ইব্রাহিমদের মতো আতংকবাদীদের জোরালো সমর্থন জানানো হয়। সম্প্রতি ভারত সরকার, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে উৎখাত হয়ে, ভারতে এসে আশ্রয় নেওয়া সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব প্রদান করেছে। সরকারের এই মানবিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে, নাশকতাকারী তৌহিদী জনতার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে – জে এন ইউ-র বিপথগামীরা মুখোশ পরে নিজেরাই নিজেদের উপর হামলা চালিয়ে, নতুন নাটক সাজিয়েছে। এই নাটকের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেছেন, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সেক্যুলার দীপিকা পাড়ুকোন।
২০০৫ সালে ভারতের সেক্যুলারিজমের স্বর্ণযুগে, দিল্লির খান মার্কেট এলাকায়, নঈম খান নামক এক যুবক, তার স্বজাতি দুই সহযোগীকে নিয়ে – লক্ষ্মী আগরওয়াল নামের স্থানীয় এক অপ্রাপ্তবয়স্কা কিশোরীর উপর বিকৃত যৌনলালসা চরিতার্থ করতে ব্যর্থ হয়ে, ঐ নিরীহ নাবালিকা মেয়েটির উপর এসিড নিক্ষেপ করে তার চেহারা বিকৃত করে দেয়।
যথারীতি ভোট ব্যাংক রক্ষার স্বার্থে সেক্যুলার কংগ্রেস সরকার নঈম খানদের পক্ষে দাঁড়ায় এবং এসিডদগ্ধা অসহায় কিশোরী মেয়েটির জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। সেই মেয়েটির সংঘাতময় জীবন সংগ্রাম ভিত্তিক একটি সিনেমা নির্মাণ করা হয়েছে। সিনেমাটির নাম ‘ছপাক’। এই সিনেমাটি আগামীকাল (১০ ই জানুয়ারি) মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
‘ছপাক’ – সিনেমায় অভিনয় করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। এই সিনেমায় প্রধান অভিযুক্ত নঈম খান-কে, রাজেশ নাম দিয়ে হিন্দু দেখিয়ে – সেক্যুলার চক্র হিন্দুদের চরিত্রহনন করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আর্থৎ, হিন্দু জাতির বুকে বিদ্ধ করা ছুড়িটি উঠিয়ে, এবার সেক্যুলাররা পিঠে মারতে যাচ্ছে।
দীপিকা পাড়ুকোনের প্রযোজনায়, ‘ছপাক’ – চলচ্চিত্র-টি পরিচালনা করেছেন, সেক্যুলার চলচ্চিত্র পরিচালক মেঘনা গুলজার। মেঘনার মা প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাখি গুলজার, পূর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ থেকে তাড়া খেয়ে, রিফিউজি হিসেবে পশ্চিম বঙ্গের রানাঘাটে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
ভারতে সেক্যুলারিজম একটি জাতীয় মানসিক ব্যধিতে পরিনত হয়েছে।