বাংলাদেশে নড়াইলের রাজকুমার সেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তৌহদী জনতাকে ঠান্ডা করতে। হুজুররা আইডি হ্যাক করে না। তারা ক্লোন আইডি বানায়। সেই আইডি যখন তদন্ত করে দেখা যাবে এটা বানিয়েছে হাটহাজারীর কোন ‘কওমি এক্সপার্ট (!)’ ততক্ষণে একজন রাজকুমার সেনের বারোটা বেজে গেছে। পুলিশ প্রশাসন যখন প্রমাণ পায় ছেলেটাকে ফাঁসানো হয়েছে- তবু তারা তৌহদী জনতাকে শান্ত রাখতে সেই রাজকুমার-রসরাজদেরই মামলার আসামী বানায়। হুজুরদের ব্যক্তিগত কোন ক্ষোভ থেকে কোন হিন্দু ছেলের আইডি ক্লোন করে না। পুরোটাই বৃহত্তর স্বার্থে। এরকম উত্তেজিক পরিস্থিতি তৈরি করলে হিন্দু কমিউনিটি এদেশে নিজেদের নিরাপত্তাহীন মনে করবে। অগ্যাতা ভারত গমণ। এটাই চায় হুজুররা। ১০০ ভাগ মুসলমানের দেশ হতে বাধা হিন্দু আর পাহাড়ী আদিবাসীরা। রাজকুমারকে যে ফাঁসানো হয়েছে সেটা দুই হুজুরের ফেইসবুক আলাপ থেকে জানা গেছে। এগুলো করা ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যায় নয়। ইহুদী কবিকে হত্যা করতে যে সাহাবী দায়িত্ব নিয়েছিলো তাকে অনুমতি দেয়া হযেছিলো ইহুদী কবির কাছে নিজেকে মুহাম্মদের দল ত্যাগকারী বুঝাতে সে মুহাম্মদকে গালাগালি করবে। এই ছলনা ও মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন স্বয়ং মুহাম্মদ। ইসলামের তাকিয়া মতবাদ এরকম ঘটনার দলিল থেকে এসেছে। হিন্দুদের আইডি বানিয়ে সেই আইডিতে এইসব হুজুররাই তাদের নবীকে, নবীর বালিকা স্ত্রী আয়শাকে নিয়ে জঘন্ন সব মন্তব্য লিখে তৌহদী জনতাকে ক্ষেপিয়ে তোলে। নড়াইলের ধর্মান্ধ মানুষ যেমন ক্ষেপে উঠেছে। নড়াইলের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলো এখন আতংকে থমথম অবস্থা। কে জানে কখন কি হয়। সামনেই একটা জুম্মা মোবারক। সাধারণ জুম্মার দিনে মুমিন ভাদ্র মাসের কুকুরের মত পাগলা হয়ে উঠে। উপমহাদেশের বড় বড় ধর্মীয় সংঘাত ঘটেছে শুক্রবার জম্মার নামাজের পর।
তবে ইসলাম অবমানরা অভিযোগটা নিছক উছিলা মাত্র। এরকম অভিযোগের নেপথ্যে একজন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান থাকতে হবে। নইলে মসজিদে কুরআন পড়তে যাওয়া মেয়ে বাচ্চাকে যখন দামড়া হুজুর ধর্ষণ করে তখন তৌহদী জনতা চুপ করে থাকে কেন? ফেনির মাদ্রাসা ছাত্রী হুজুরের লালসার কাহিনী যাতে মুখ খুলতে না পারে তাই মেয়েটিকে পুড়িয়ে মারতে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভিকটিম মেয়েটির দায়িত্ব নিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন ঘটনাটি দু:খজনক। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তৌহদী জনতা ফুঁসে উঠেনি। প্রধানমন্ত্রীও বলেননি হুজুর আমার অনুভূতিতে আঘাত করেছেন।
ধার্মীক মাত্রই ভন্ড। ব্রুনাইতে সমকামিদের জন্য পাথর ছুড়ে হত্যা আইন পাশ হলে এরা আলহামদুরিল্লাহ বলে চিৎকার করে উঠে। অথচ মাদ্রাসাগুলোতে শিশুকামীতার ছড়াছড়ি। মাদ্রাসার ছাত্ররা যদি #মিটু আন্দোলনে যোগ দিতো তাহলে বড় বড় আলেম মুফতিদের চেহারা বেরিয়ে যেতো যারা তাদের ছাত্রদের বলৎকার করেছে।… ওহ, ভুল বললাম, এরকম আন্দোলন আসলে মাদ্রাসার ছাত্রদের দিয়ে সম্ভবই না। কারণ এরকম কিছু ফাঁস করে কোন মাদ্রাসার ছাত্র জীবিত থাকত না। তাদের আততায়ী দিয়ে হত্যা করানো হতো। ফেনির মাদ্রাসার ছাত্রীটিকে হুজুর যেমন লোক লাগিয়ে হত্যা করতে চেয়েছে।
ডানের লোকটির চেহারাটি দেখুন, এরা বিশ্বাস করে এদের দুই কান্ধে দুইটা ফেরেস্তা রাতদিন বসে থাকে তারা কি করছে তার হিসাব রাখতে। এসব নাকি একজন মুমিনকে সৎ থাকতে সহায়তা করে। যখন সে ভাববে তার কুকর্ম লেখা হচ্ছে কাধে বসা ফেরেস্তা তখন নাকি মানুষ পাপ করতে পারবে না। এজন্যই নাকি ধর্ম থাকা প্রয়োজন। না হলে মানুষ অন্যায় অবিচারের লিপ্ত হয়ে যাবে। অথচ এরা মসজিদের মধ্যে শিশুদের বলৎকার করে ফেরেস্তাসুদ্ধ কাধ নিয়ে! মাদ্রাসার বালকগুলোকে রাতের অন্ধকারে এইসব ফেরেস্তাঅলা হুজুরগুলি পৈশাচিক নিপীড়ন করে তখন এদের আল্লাহ চোখ বন্ধ করে থাকে। নইলে লুত নবীর উম্মদদের সমকামিতার জন্য যদি আল্লাহ তাদের লন্ডভন্ড করে দিতে পারে তাহলে বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলিতে দিনের পর দিন এসব চলে কি করে? আল্লার কথা বাদ দেন, সরকার কি করে? চার্চের শিশুকামিতার জন্য স্বয়ং পোপ ক্ষমা চায় এবং স্বীকার করে এরকম ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু মাদ্রাসায় শিশু নিপীড়ন নিয়ে মুসলমানরা চুপ কেন? তাদের না ইসলাম অবমননায় ঈমান দন্ড গরম হয়ে যায়? নাকি খালি হিন্দু পিডানী দিতেই সেটা ব্যবহার করতে লাগে?