আমরা অনেকক্ষণ কিছু বলতে পারিনি!!😇

Rajarshi Bandyopadhyay এর ওয়াল থেকে নেওয়া।
কেউ মাইন্ড করবেন না প্লিজ।

১৯৮৮ সাল| আমাদের মাধ্যমিকের আগে প্রিটেস্ট পরীক্ষা| মিশনারি স্কুলে পড়তাম| বেশ কড়াকড়ি|
কিন্তু আমাদের মধ্যে সব কড়াকড়ির মধ্যেও একজন ছিল যে টুকতে ওস্তাদ! প্রবুদ্ধ| উপাধি বলব না, কেননা সে এখন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাদার| নিজের অ্যাড এজেন্সী|
তো যাই হোক! বাংলা প্রথম পত্রের দিন পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঠিক ৩০ মিনিট বাদ থেকে প্রবুদ্ধ টুকতে শুরু করলো|
কায়দা ভালই! রুমালের ভাঁজে ভাঁজে চোথা রাখা আর ঘাম মোছার ভান করে রুমাল উল্টে কাগজ দেখে টুকলি! বসেছে আমার আড়াআড়ি তিন বেঞ্চ পেছনে| এক বেঁচে দুজন|

সিনহা স্যার ঢুকলেন| ঢুকেই: প্রবুদ্ধ রুমালে কি?–মারাত্মক চোখ ছিল! ধরা পরলো প্রবুদ্ধ| বার করে দেওয়া হলো| বলা হলো পরেরদিন করলে একেবারে পরীক্ষা দেওয়া নাকচ! আমরাও বোঝালাম, যে দ্বিতীয় পত্র ব্যাকরণ| সন্ধি, সমাস, ছোটমোট সবাই সাহায্য করে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে, কিন্তু ভাই তুই টুকিশ না প্লিস!

পরদিন পরীক্ষা শুরু| কিছুক্ষণ বাদে প্রবুদ্ধর টুকলি শুরু! তখন সিনহা স্যার রাউন্ড এ আসেনি| আমরা ভয় পাচ্ছি! হাজার হোক ভালো বন্ধু!
তখন ক্রস পকেট প্যান্টের খুব চল ছিলো| আমরা সব ফুল প্যান্ট ক্রস পকেট বানাতাম বা কিনতাম|

সিনহা স্যার ঢুকলেন| ঢুকেই : প্রবুদ্ধ? আজ কি ব্যাপার তোর? দেখি পকেটগুলো দেখি|
প্রবুদ্ধ দেখলাম আগ বাড়িয়ে বা দিক বাড়িয়ে বলল : দেখুন স্যার|

স্যার প্যান্টের বা পকেটে হাত ঢোকালেন|

তারপর স্যার আঁতকে উঠে: একি!!!

বলে বেরিয়ে গেলেন|

এরপর বাকি স্যারেরা গার্ড দিল| আর প্রবুদ্ধ গার্ডের ফাঁকে ফাঁকে টুকেই গেল| আমরা পরীক্ষা দিতে দিতে ভেবেই অবাক! কি হলো?

পরীক্ষা শেষ হতেই প্রবুদ্ধকে চেপে ধরলাম! কি হলো রে তখন? তুই সাড়া পরীক্ষা আবার টুকে গেলি কি করে?

প্রবুদ্ধ নির্লিপ্তভাবে বলল: গুরু কিছু না| ডান পকেটে চোথাগুলো রেখেছিলাম আর বা পকেট কেটে দিয়েছিলাম| আজ জাঙ্গিয়া পরিনি| সিনহা সোজা আমার বিচিতে হাত দিয়েছে!!

আমরা অনেকক্ষণ কিছু বলতে পারিনি!!😇