মুসলমানরা যা করতে পারে নি, হিন্দুরা সেটাই করল তাঁকে বর্জন করে।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় “পূর্ব পশ্চিম” উপন্যাসে লিখেছিলেন এক উদ্বাস্তু পরিবারের ছেলের কথা। সুরজিৎ। সে ছিল খোঁড়া। একজনের বাড়িতে চাকরগিরি করত। বাড়ির হিন্দু গৃহিণী আবার তাকে যৌন শোষণ করত। কি কি করত তার বিশদ বর্ণনাও দিয়েছেন সুনীল। হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে এত বড় মিথ্যা কুৎসার আজ অবধি কেউ কোন প্রতিবাদ করেনি। কেন করেনি? সত্যি বলতে কি ফেসবুকিয় হিন্দুবাদীরাও হিন্দু মেয়েদের কুৎসা করে থাকে। ধিক তাদেরকে! সুনীল আর একটা উপন্যাসে (নাম মনে পড়ছে না) লিখেছিলেন হিন্দুদের দ্বারা গণধর্ষিতা এক পাগলীকে এক মসজিদের ইমাম কিভাবে সেবা করে সুস্থ করে তুলছে। এই রকম উৎকট মুসলমান তোষণের চুড়ান্ত দৃষ্টান্ত ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা। 

যাইহোক, একমাত্র নারায়ণ সান্যাল লিখেছিলেন দুই বাংলার উদ্বাস্তুদের বিষয়ে কিছু সত্যি কথা। তাঁর দুই উপন্যাস “বল্মীক” আর “বকুলতলা পি এল ক্যাম্পে”। পূর্ব বঙ্গ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের দেখাশোনার জন্য  তিনি নিযুক্ত ছিলেন। এ জন্য তিনি তাদের খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তিনি লিখেছিলেন এক হিন্দু পুরোহিতের কথা, যাকে বাংলাদেশে মুসলমান জিহাদী সন্ত্রাসীরা ইসলাম গ্রহণ করতে বলেছিল। বিশেষ কিছু করতে হবে না, এক খন্ড গোমাংস মুখে পুরতে হবে আর “লাইলাহাইল্লাল্লা” বলতে হবে। পুরোহিত রাজী না হওয়ায়, “বিসমিল্লাহ” বলে তার এক পা উলটো করে ভাঁজ করে দিল। বলল, বল যা বলছি করবি কি না। না হলে, আর একটা পাও ভেঙে দেব। পুরোহিত রাজী হন নি, তাই তার অন্য পা টাও উলটো করে ভাঁজ করে দিল। ভারতে এসে তাঁর পা অপারেশন করে বাদ দেওয়া হলো। কিন্তু তিনি উদ্বাস্তু হিসেবে সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য হাঁটাহাঁটি করতে পারতেন না, তাঁর সঙ্গী সাথীরাও তাঁকে সাহায্য করত না। এমন কি পুজো আচ্চার কাজেও তাঁকে বাতিল করা হলো। কারণ তিনি বিকলাঙ্গ, তাই পুজো করার যোগ্য নন। অবশেষে তিনি একটা খ্রিস্টান সমাজসেবা মূলক প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিলেন। শর্ত ছিল তাঁকে খ্রিস্টান হতে হবে। তিনি তাই হলেন। পেটের দায় বড় দায়। মুসলমানরা যা করতে পারে নি, হিন্দুরা সেটাই করল তাঁকে বর্জন করে।

Rezaul Manik