সনাতনি সমাজ ব্যবস্থা এবং“মনু সংহিতা, বর্ন প্রথা” প্রথম পরিচ্ছেদ।

সনাতনি সমাজ ব্যবস্থা এবং“মনু সংহিতা, বর্ন প্রথা   ”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ

(১) প্রথম পরিচ্ছেদ

আমি আসল মনুসমহিতা নিয়ে লিখতে শুরু করেছি। এই গুলি, যা কিছু পোষ্ট করেছি, ভুমিকা থেকে তুলে দিয়েছি।

ভুমিকা না জানলে আসল বুঝতে পারা যাবে না।

যারা মনু সমহিতাকে বা মনুকে গাল পাড়ে তারা কোনোদিন আসল মনু সমহিতা পড়েই নি। আমি অনেক আগের ( প্রায় দেড় শো বছর আগের) এক ইংরেজ লেখকের পান্ডূলিপি ব্রিটিশ লাইব্রেরী থেকে জোগাড় করেছি (পারমিশান নিয়ে ফোটো কপি করে রেখেছি)। সেই বই য়ে আসল মনু সমহিতা  লেখা আছে। জানলে বোঝা যাবে কি অপুর্ব গ্রন্থ এটি। ১০০০০ বছরের ও আগে প্রচলিত। আজ যা বাজারে পাওয়া যায় তা “বাজারী মনুসমহিতা”। অনেকটাই প্রক্ষিপ্ত। বেশ কিছু “পতিত দের এবং ‘চৌর্য বৃত্তি সম্পন্ন লেখকের লেখা । এই মনু স্মহিতা পড়া উচিত নয়।

যারা এক বারে পড়তে চান তারা আমার ওয়েবসাইটে যাবেন। পড়তে পারবেন আমার ব্লগে।

দেশ বা সমাজ আগে না সেই দেশের সংবিধান বা সমাজ ব্যবস্থা আগে? ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হবার পর আমরা সংবিধান পেলাম প্রায় ২ বছর পরে। তাহলে আমাদের সংবিধান আমাদের দেশকে তৈরী করলো না দেশ তৈরী করলো সংবিধান???

মনু সংহিতা সনাতনি সমাজ তৈরী করেনি, সনাতনি সমাজই তৈরী করেছিলো তার সংবিধান। সনাতনি সমাজ এবং তার সমাজ ব্যাবস্থাও হাজার হাজার বছরের পুরানো। সেই জন্যই খুব স্বাভাবিক ভাবে যুগে যুগে বহু সাংবিধানিক (নিয়মের শ্রষ্টা) রা নানা পরিবর্তন এবং পরিবর্ধন করেছেন। এই পরিবর্তন যে সর্বতো ভাবে সব সময় সুষ্ঠ হয়েছে তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যাবে না। সনাতনি প্রথায় সমস্ত চিন্তা সব সময় নতুন প্রথা বা ভাব গ্রহন করেছে (সদা নতুন= সনাতন)। কোনো একজনের কথা বা মত কে সর্ব কালের সেরা মত বলে উদভ্রান্তের  মতো লাফা লাফি করেনি। সেই সুযোগ নিয়ে অনেক অসনাতনি কথা ,স্বার্থান্বেষি চিন্তা এনং নিয়মের ঠাই হয়েছে ,শুধু মনু সমহিতায় নয় আরো নানা সনাতনি ধর্ম শাস্ত্রে।

বিচার করে, নিজের অনুভুতি দিয়ে বুঝতে হবে কোনটা ঠিক, সেটা গ্রহন করবেন। যেটা বুঝবেন মানুষের মংগলের জন্য নয় সেটা অবশ্যই বর্জন করবেন। তাই বলে পুরো ব্যাবস্থাটাই বর্জনীয় সেটাও মুর্খামি ছাড়া আর কিছুই নয়। জ্ঞানীরা রাঁজহাসের মতো থাকেন। আসল টুকু নেন আর নকল টুকু বর্জন করেন।

আমাদের দেশে সনাতনি শাস্ত্র না বুঝে না জেনে তার সমালোচনা করা এবং সেই শাস্ত্র মতে যারা চলার চেষ্টা করে তাদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এক শ্রেনীর হিন্দুরা এবং বিধর্মীরা/অধার্মিকরা সতত ব্যস্ত। আর যারা হিন্দু ধর্ম এবং সনাতনি আধ্যাত্মিকতা ভালোবাসেন তারা ধরেই নিয়েছেন যে ধর্ম নিজেই নিজেকে রক্ষা করবে। ধর্মের প্রয়োজন মানুষের জন্য তাই তাকে রক্ষা করার দ্বায়িত্ব ও মানুষের। হিন্দুরা যদি নিজেদের ধর্ম নিজেরা পালন না করে, একাগ্র চিত্তে তার রক্ষা এবং শ্রী বৃদ্ধির জন্য কাজ না করে, তাহলে বিধর্মীরা তো তাকে গ্রাস করার চেষ্টা করবেই। এর জন্য দ্বায়ী কে????????