কাশ্মীর সমস্যার মূল হোতা জওহরলাল নেহেরু।

ভারতের অনেক স্থায়ী সমস্যার মত কাশ্মীর  সমস্যার মূল হোতা জওহরলাল নেহেরু। কাশ্মীরের রাজা হরি সিং ভারতে যোগ দিলেন। ভারত সৈন্য পাঠিয়ে কাশ্মীরের একটা অংশ মুক্ত করল। চাইলে সমস্তটুকুই ভারত পাকিস্তানের কাছ থেকে নিয়ে নিতে পারত। কিন্তু যুদ্ধ অসমাপ্ত রেখে নেহেরু চলে গেলেন জাতি সংঘে। নিজেই আগ বাড়িয়ে বললেন ” কাশ্মীর রাজ ভারতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু আমরা কাশ্মীরী জনগনের গনভোটের রায় নিয়ে ভারত ভুক্তি করব নইলে কাশ্মীর পাকিস্তানে যাবে বা স্বাধীন থাকবে।”  
কতটুকু অযোগ্য হলে এমন প্রস্তাব করতে পারে একজন রাষ্ট্রের প্রধান্মন্ত্রী সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কাশ্মীরের রাজা ভারতে যোগ দেয়াতে তা প্রশ্নাতীত ভাবে ভারতের হয়ে যাওয়ার কথা। এখানটায় বাধ সাধলেন নেহেরু। ফলে ভারত ভুক্তি চাইলেও কাশ্মীরকে তিনি ভারতের থেকে ভিন্ন করে রাখার জন্য ৩৭০ ধারা লাগু করলেন। কাশ্মিরীরা দেখল তারা ভারতীয় নয়। তারা আলাদা জাতি। তাদের আলাদা সংবিধান, আলাদা পতাকা। এ থেকেই কাশ্মিরীরা নিজেদেরকে আর ভারতীয় ভাবতে পারলোনা। সেই সুযোগ নিল  পাকিস্তান। তারা কাশ্মীরীদের মাথায় ইসলামী জোস উস্কে দিল। কারণ এটা দ্বারা সেবোটেজ করা খুব সহজ। শুরু হল জ্বেহাদ।
এর মধ্যে ৭১সনে নেহেরু তনয়া ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ করার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। বাংলাদেশ বানানোর খেসারত নিতে পাকিস্তান মরিয়া হয়ে উঠল। শুরু হল কাশ্মীরীদের ভারত বিরোধী আন্দোলন। বছরে একশত হাজার কোটি রুপি দিল্লী কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য দিত, একপয়সা টেক্স পেতোনা। অবশ্য সে টাকার উপর কোন অডিট করার ক্ষমতাও ভারতের ছিলনা, ফলে সব চলে যেতো শেখ আবদুল্লা আর মুফতি পরিবারের পকেটে। কিন্তু সাধারন মানুষের মগজে এরা ভারত বিরোধীতা এমন ভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছিল যে ব্লেক মেইল করে ভারতকে নিয়ে তারা দুই তিনটি পরিবার সুখেই দিন কাটাচ্ছিল।
তবে মৌলবাদী ইসলামী আন্দোলন ক্রমশ এমন বলবান হয়ে উঠে যে কাশ্মীরকে ভারতের পক্ষে ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। একটি পূর্নাংগ ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তারা সকল অমুসলিমদের কাশ্মীরের মূল ভুখন্ড থেকে উচ্ছেদ করতে শুরু করে। কাশ্মীর ভ্যালীর  ১৫ লক্ষ হিন্দু শরনার্থী হয়ে ভারতের উত্তরাঞ্চলে আশ্রয় নেয়। উল্লেখ্য শেখ আব্দুল্লার পুত্র ফারুক আব্দুল্লার নির্দেষে শুরু হয় ১৯৯০ সনের গনহত্যা।  কিন্তু ভারতের সেকুলার বুদ্ধিজীবীরা মুখ থেকে একটি শব্দও তখন বের করলেন না।
   অন্যদিকে পাকিস্তান তার জঙ্গী বাহিনী দ্বারা ট্রেনিং দিয়ে কাশ্মীরের তরুন সমাজকে একেবারে সর্বনাশের শেষ পর্যায়ে নিয়ে যায়।
পাকিস্তান কি জিনিস তা আমরা ৭১ সনে  দেখেছি। লক্ষ লক্ষ বাংগালীকে হত্যা করে আজও ক্ষমা চায়নি। সেই পাকিস্তান কাশ্মীরীদের জন্য এখন প্রানান্ত অবস্থায় আছে। কিন্তু একবার বাগে পেলে কাশ্মীরে তারা কি করত ভাবা যায় ? বেলুচিস্তানে লক্ষাধিক বেলুচ হত্যা করেছে তারা।
দেরীতে হলেও ৩৭০ ধারা অপসারন করে মোদী একটি নতুন পদক্ষেপ নিয়েছেন। কাশ্মীরীরা যদি পাকিস্তানের পরিচালিত মৌলবাদী জঙ্গী মনোভাব পরিত্যাগ করে একটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চায় তবে এখন সেটা সম্ভব।অন্তত একটা সম্ভবনার পথ খুলে দিয়েছে এই পদক্ষেপ।  কাশ্মীরে দেশী বিদেশী বিনিয়োগ যদি সঠিক ভাবে চালু হয় তবে প্রতিটি কাশ্মীরী তাতে লাভবান হবে। কিন্তু শান্তি ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে কাশ্মীরীরাই। আগামীকাল জুম্মাবার। সামনেই ইদ। খুব সেন্সিটিভ সময় এখন। দেখা যাক মোদীর পদক্ষেপের ফল কি হয়।