ইসলামী মতে কাফেরদের দেশে মুসলমানদের জন্য ঈদের ও জুম্মার নামাজ পড়া নিষেধ।

হাজি শরীয়তুল্লাহ মুসলমানদের ঈদের নামাজ ও জুম্মার নামাজ পড়তে নিষেধ করেছিলেন কারণ  আজকে আইএস ঈদের নামাজ পড়তে নিষেধ করে ঠিক একারণেই। ইসলামী মতে পৃথিবীটা দারুল হরব (কাফের শাসিত)- একে দারুল ইসলাম (মুসলমানদের দেশ) না করা পর্যন্ত মুজাহিদদের জন্য ঈদ জুমার নামাজ পড়া হারাম। শরীয়তুল্লাহ’র ফরায়েজী আন্দোলনে এরকমই হাজারো ফরজ কর্তব্যকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হতো মুসলমানদের…। তাই যৌক্তিক প্রশ্ন উঠতেই পারে,- ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে কেমন করে ‘ফরায়েজী’ আন্দোলনকে অন্তর্ভূক্ত করা হলো? আমরা আমাদের শৈশবে ‘ফরায়েজী আন্দোলন’ ‘বাঁশের কেল্লাকে’ ইতিহাসের বইতে পড়েছিলাম ইংরেজ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম হিসেবে। মুসলমানদের মধ্যে ইসলামের ফরজ নিয়মগুলো প্র্যাক্টিসিলি প্রতিষ্ঠার জন্য হাজি শরীয়তুল্লাহ ১৮৮৮ সালে যে আন্দোলন শুরু করেন তাকেই ‘ফরায়েজী’ নামে ডাকা হয়। শরীয়তুল্লাহ ভারতকে ‘দারুল হরব’ ঘোষণা করেছিলেন। ইসলামে জিহাদে কাফেরদের অঞ্চলগুলোকে দারুল হরব বলা হয় যেখানে জিহাদ করে মুসলমানরা দারুল ইসলাম অর্থ্যাৎ মুসলমানদের দেশ বানাবে। শরীয়তুল্লাহ’র এই রাজনৈতিক বিশ্বাস কেমন করে তাকে ভারতের মূল স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্তর্ভূক্ত করবে? সন্দেহ নেই তখন ইংরেজরা ক্ষমতায় ছিল বলে শরীয়তুল্লাহর জিহাদটা ইংরেজ রাজশক্তির বিরুদ্ধে গিয়েছিল।
https://www.istishon.com/?q=node/22797#sthash.dNy8UgYU.gbpl