মেনেকা গান্ধী কথা হযরত মুহাম্মদ যুদ্ধ বিরোধী ছিলেন, এটি তিনি নিজে শুনলেও না হেসে পারতেন না।

হিন্দুত্ববাদী নেত্রী মেনেকা গান্ধী বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে কতজন নিজেদের ধর্মগ্রন্থ পাঠ করেছেন? আমি কোরআন পড়েছি। আমাদের মধ্যে কতজন জানে যে, নবী মোহাম্মদ যুদ্ধবিরোধী ছিলেন?’

অন্যসব ধর্মবাদী নেতার মত মেনেকা গান্ধীও মিথ্যুক! এসব বলার পিছনে তা কি ধরণের অসৎ উদ্দেশ্য আছে সেটি বলার আগে বলে নেই মেনেকা গান্ধি কুরআন পড়েননি। যদি পড়ে থাকেন তাহলে সচেতনভাবে তিনি মুসলমানদের সর্বনাশ করতেই এই চাল চালছেন। পরে বলছি সেকথা। আগে কুরআনের কথা বলি। কুরআনে জিহাদের উপর আয়াত আছে সাড়ে চারশো! কতলের আয়াত ধরলে সেটা সাতশো হবে। কুরআনে দাও বটি কুরাল নিয়ে কাফেরদের উপর ঝাপিয়ে পড়ার আয়াত ২:১৫৪,২:১৯০-১৯৪, ২:২১৬, ২:২৪৪, ৩:১৪২, ১৯৫,৪:৭১-৭৬, ৪:৭৭-৭৮, ৪:৯৫, ৪:১০০,
৮:১২-১৬, ৮:৩৯-৪০, ৯:১৯-২০, ৯:২৯, ৯:৩৮-৪২, ৯:৪৪-৪৯, ৯:৭৩, ৯:৮১-৮৯, ৯:৯৩, ৯:৯৫-৯৬, ৯:১১১, ৯:১২৩, ২২:৩৯, ২৫:৫২, ৪৭:৪-৮, ৪৭:২০-২১, ৪৭:৩১-৩৬, ৪৮:১৬-১৭, ৬১:৪, ৬১:১০-১৪, ৬৬:৯। জঙ্গিবাদ যে নামাজ রোজা হজ জাকাতের চেয়ে বড় ইবাদাত সেটা পাবেন ৯:১৯-২১ আয়াতে। জঙ্গিবাদ থেকে যারা দূরে থাকতে নানা রকম বাহানা করবে (যেমন নিজের সঙ্গে লড়াই করাই বড় জিহাদ বা ইসলামে দাঙ্গা হাঙ্গামার কোন স্থান নেই বলা) তাদের কঠিন পরিণত হবে বলে আল্লার হুমকি পাবেন কুরআনের ৯:৪২-৪৯, ৯:৮৬-৯৩, ৪৮:১১ আয়াতে। যারা জঙ্গি না হয়ে দুনিয়াবী নিয়ে মত্ত থাকবে তাদের কঠিন পরিণতি, জঙ্গিবাদকে যারা পছন্দ করে না তারা পশুর চেয়ে নিকৃষ্ঠ, যারা জঙ্গিদের সাহায্য করে না তারা আল্লার করুণা পাবে না, যারা জঙ্গিবাদে অর্থায়ন করে তাদের পুরস্কার ও যারা করে না তাদের আজাব কেমন হবে কুরআনের এই আয়াতগুলোতে বিস্তারিত বলা আছে- ৯:৩৮-৪২, ১০০:১-৬, ৪৮:২২-২৩, ২:২৪৫, ৮:৬০, ৯:২০-২২, ৯:৪১, ৪৭:৩৮, ৫৭:১০, ৫৭:১১-১২, ৬১:১০-১২,৬৪:১৭।

হযরত মুহাম্মদ যুদ্ধ বিরোধী ছিলেন এটি তিনি নিজে শুনলেও না হেসে পারতেন না। ইসলামে যুদ্ধের সংখ্যা মাত্র কয়েকটি, বদর, ওহুদ, তাবুক এরকম কয়েকটি ছাড়া সবগুলো ছিলো কাফেরদের উপর অতর্কিত হামলা। রাতের আঁধারে কাফেরদের গ্রামগুলিতে হামলা চালানো নিশ্চয় ‘আত্মরক্ষার যুদ্ধ’ বলে না। ইহুদীদের ভিটেমাটিতে যিনি ঘুঘু চড়িযেছিলেন তিনি নাকি যুদ্ধ বিরোধী ছিলেন! মুহাম্মদ মৃত্যুর চার দিনআগেও সিরিয়াতে অভিযান এখনো চালানো হয়নি শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন। মুহাম্মদের লেখা চিঠি বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো হতো- হয় ইসলামকে মনে নাও নতুবা হামলার জন্য প্রস্তুত হও- এগুলো কি যুদ্ধবিরোধী কোন নেতার কাজ?

এবার হিন্দুত্ববাদী মেনেকা গান্ধীর বদমাইশীর কথা বলি। সে চাচ্ছে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় হিন্দুত্ববাদকে ঢোকাতে। ভারতীয় শিশুরা যেন ‘গোড়া হিন্দু’ হয়েই বড় হয় সেটা নিশ্চিত করতে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। কেবল হিন্দুত্ববাদকে ঢোকালে তার প্রতিক্রিয়া খারাপ হতে পারে ভেবেই যুদ্ধবাদী মুহাম্মদের জীবনী মুসলমানদের পাঠ্য করার কথা বলছে। ভারতে মুসলমান, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টানরা তাদের ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করে বেশি করে সাম্প্রদায়িক হলে হিন্দুত্ববাদীদেরই লাভ। ঐ সাম্প্রদায়িকদের মোকাবেলা করতেই হিন্দুত্ববাদীদের দরকার পড়বে। যার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু শিশুদের গোড়া হিন্দু বানানোর কারখানা আগেই কমফার্ম করা হবে। মুসলমানরা জঙ্গিবাদ কুরআন হাদিস থেকেই পাবে। মেনেকা গান্ধির সেটা কষ্ট করে স্কুল সিলেবাসে ঢোকানোর দরকার নেই। সে এক ঢিলে তিন-চারটা পাখি মারতে চাচ্ছে। মুসলমানদের সর্বনাশ করতে চাইলে তাদের জন্য মুহাম্মদকে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরতে হবে। সেটি করতে পারলে শাপ মারতে লাঠির দরকার পড়বেই। সেটি লাঠির যোগান দিবে হিন্দুত্ববাদীরা। অশিক্ষিত মূর্খ ধর্মান্ধ মুসলমানরা না বুঝে মেনেকা গান্ধির বক্তব্যকে তাদের ধর্মের বিজয় হিসেবে দেখছে! এদের জন্য করুণাও এখন হয় না!
Susupto Pathok