বাংলাদেশের হিন্দু এক অভিশপ্ত শব্দ।

“রংপুরে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে হিন্দু পরিবারের বাড়িতে হামলা করে সর্বস্ব লুট”

রংপুর জেলার বোচাগন্জে  থানার জিনোর গ্রামের ধীরেন রায় নামের এক হিন্দু পরিবারের বাড়ীঘর ভেঙ্গে প্রায় ৮০হাজার টাকার মালামাল লুট করেছে একই গ্রামের দুর্বৃত্ত আজাহারুল ইসলাম পিং-রিয়াজুল ইসলাম গংরা।

গত ২৮শে মার্চ তারিখে বোচাগন্জ উপজেলার জিনোর গ্রামের ধীরেন রায়ের বাড়ীতে দুর্বৃত্ত আজাহারুল ইসলাম পিং-রিয়াজুল ইসলাম গং কিছু ভাড়াটে মাস্তান দল নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জমি দখলের অভিপ্রায়ে দিনদুপুরে বাড়ীঘর ভাংচুর করে ৮০হাজার টাকার মালামাল লুট করেছে।

এব্যাপারে ধীরেন থানায় ফোন করলেও কোন সহযোগীতা পাননি বোচাগন্জ থানা থেকে। তিনি কোন উপায় না পেয়ে স্ত্রী বাহারী বালাকে বাদী করে দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারায় একটি মামলা করে দিনাজপুর আদালতে। যার মামলা নং-১১সি/১৭ তাং-২৯/০৩/১৭। পিবিআই দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারায় তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন।

বোচাগন্জ উপজেলার জিনোর গ্রামের জনৈক ধীরেন রায়ের পরিবারকে ভিটেছাড়ার অভিপ্রায়ে একই গ্রামের আজাহারুল ইসলাম পিতা রিয়াজুল ইসলাম গংরা বাড়ীঘর ভাংচুর করে ৮০হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
১টি শোয়ার ঘর, ১টি ঠাকুর ঘর ও ১টি খড়ের ঘর যার মোট মূল্য ৩০হাজার টাকা, শোয়ার ঘরের আসবাবপত্রের মুল্য ৫হাজার টাকা, ৩৩টি গাছের মুল্য ৪০হাজার টাকা, শিবের মুর্তির মুল্য ৫হাজার টাকা।
গত ২০১৪ সালের ২৫ মে তারিখে আজাহারুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে মৌজা জিনোর, জেএলনং-৪১,এসএ খতিয়ান নং-১৭৫-এর ৪২৩/১২৯১নং দাগের ৮শতক ও ৪২৩নং দাগের ৭শতক জমির উপর ১৪৪ধারার মামলা দায়ের করেন।

যার মামলা নং-২১২পি/১৪, তাং-২৫/৫/২০১৪। কিন্তু উক্ত আজাহারুল গংরাই আবার আইনকে উপেক্ষা করে, ১৪৪ধারা ভঙ্গ করে ৪২৩নং দাগের জমির বাড়ীঘর ভাংচুর করে ও বাঁশ, গাছ কর্তন করে। এতে ২টি বাঁশ ঝাড়, ২৫টি আমের গাছ, ২টি কাঠাল গাছ, ১টি বাদামী গাছ, ১টি পেয়ারা গাছ, ১টি পাখর গাছ, ৩টি নিম গাছ কর্তন করে নিয়ে যায়।
বোচাগন্জ থানা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় দিনদুপুরে গত ২৮ মার্চ তারিখে আজাহারুল পিং-রিয়াজুল ইসলাম গংরা প্রকাশ্য দিবালোকে দেশী অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে।

একটি ঠাকুরঘর সহ শিবমূর্তি, একটি শোয়ার ঘর সহ আসবাবপত্র, একটি খড়ির ঘর সহ খড়,কারী,ইত্যাদি ঘর ভাংচুর করে ভটভটিতে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় স্হানীয় থানা প্রশাসনকে ফোন করলে না ধরে নীরব থাকে।

গত রোববার পিপিআই মধুসুদন ঘটনাটি স্বরজমিনে তদন্ত করে যান। ইতিপূর্বে আইও স্বরজমিনে তদন্ত করে যান। ঠাকুর পুজো করার জন্য কিছু জায়গা চাইলে তদন্তকারীগণ কোন সদুত্তর দেননি।

ধীরেন রায়ের ঠাকুরের পাশে আজাহারুল ইসলাম গংরা একটি ড্রেন খুড়ে দেওয়ায় ঠাকুরকে পানি ও পূজা দিতে ভীষণ অসুবিধে হচ্ছে। ড্রেনের পশ্চিম পাশ থেকে ড্রেনের পূর্ব পাশের ধারে ঠাকুরকে পুজো পানি দিতে হয়। যা সম্পূর্ণ মানবধিকার লঙ্ঘণ বৈ কিছু নয়।

উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন যাবত বোচাগন্জ উপজেলার জিনোর গ্রামের ধীরেন রায় এসএ খতিয়ান ভূক্ত ৪২৩/১২৯১ ও ৪২৩নং দাগে ১৫শতাংশ জমিতে বসবাস করে আসছে। কিন্তু তাকে ভিটেছাড়া ও হত্যার চেষ্টার তৎপরতা চালাচ্ছে বলে একটি বিশ্বস্ত সুত্র জানিয়েছে।