মানবাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতার বুলি আউড়ে ইসলামকে মোকাবেলা করা যাবে না।

মালয়েশিয়ার কেলান্তান প্রদেশে রমজান মাসে ইসলামিক পর্দানশীন পোশাক না পরার কারণে ৩৯ জন নারীকে চর-থাপ্পর মারা হয়েছে সরকারী এক অভিযানে। দেশটির ইসলামিক কল্যাণ ও ধর্মীয় বিভাগ (জেএএইচএআইকে) বিভাগ এই অভিযান চালিয়ে নারীদের প্রকাশ্যে শাস্তি দেয় এবং নারীদের ইসলামিক নির্দেশনার উপর কাউন্সেলিং করতে সরকারী বিভাগে যেতে হুকুম দেয়া হয়। একই দিনে আরেক অভিযানে রোজা না রেখে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করার অপরাধে তাদের গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে সরকারী সংস্থাটি। ইসলামিক কল্যাণ ও ধর্মীয় বিভাগের প্রধান পরিচালক মোহাম্মদ ফাদজুলি জানান, ‘শরীয়াহ আইনের লঙ্ঘনকারীদের ধরতে সব সময় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে’।

চীন কেন মুসলমানদের উপর এ্যাকশানে গেছে এটি বুঝতে মালয়েশিয়ার আচহ কিংবা কেলান্তান প্রদেশে শরীয়া আইন বাস্তবায়নের ঘটনাগুলো আমলে নিলে বুঝতে সহজ হবে। চীন তার কোন ভূখন্ডকে ইসলামিক হতে দিতে চাইবে না। চাইনিজ কোন মুসলমান যাতে ইসলাম নির্দেশিত সন্ত্রাসী জঙ্গি হয়ে উঠতে না পারে সেই চেষ্টা চীন করবেই। এটা করতে গিয়ে মুসলমানদের ধর্ম চর্চাকেন্দ্র মসজিদ গুড়িয়ে দিতে হবেই। মসজিদ নিছক ধর্মালয় নয়। মসজিদে বসে নবী মুহাম্মদ ইহুদী পল্লীতে হামলার প্লাণ করতেন। মসজিদে নববীতে বসে মুহাম্মদ গণিমতের মাল বন্টন করতেন। মসজিদ থেকে তলোয়ার হাতে জিহাদে বের হতেন। আজো তাই মুসলমানরা তাদের মসজিদে বসে হিংসার কথা বলে। ইহুদী নাসারাদের উপর গজব নাযিলের প্রার্থনা চলে। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে মন্দির মঠে হামলা একটি ঐতিহ্য। রামু থেকে নাসিরনগর, সর্বত্রই তাই দেখা যায় মসজিদ থেকে হামলার ঘোষণা এসেছিলো। চীন নাকি ৩৯টি মসজিদ গুড়িয়ে দিয়েছে। স্যাটেলাইটে নাকি এরকম ছবি দেখা গেছে। লিবারালদের আহা-উহুতে কান পাতা দায়। পাকিস্তান মসজিদ বন্ধ করে দিলে, ১০০ মাদ্রাসা সিলগালা করে দিলে অবশ্য চারদিকে শুনশান নিরবতা। মুসলিম দেশেগুলোতে জঙ্গিবাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মসজিদ বন্ধ করে দিতে পারলে চীন কেন জঙ্গিবাদের আতুরঘর মসজিদ ভেঙ্গে দিতে পারবে না?

যদি আমরা কল্পনা করি দিল্লি, বেইজিং, টোকিও’র মত বৃহৎ অমুসলিম শহরগুলো আচহ কিংবা কেলান্তান প্রদেশের মত মুসলিমদের হাতে ছেড়ে দেয়া হলো। আর তারা সেই শহরগুলোতে ইসলামিক হুকুমত শরীয়া আইন জারি করল। তাহলে কি ঘটবে? রমজান মাসের পবিত্রা রক্ষার জন্য অভিযান চালানো হবে। মেয়েদের ধরে ধরে থাপ্পর মারা হবে তাদের কাপড় ঠিক নেই বলে। রেস্টুরেন্টগুলোতে অভিযান চালিয়ে রোজা না রাখার জন্য গ্রেফতার করা হবে। মিশরে কিন্তু রমজান মাসে অভিযান চালিয়ে খ্রিস্টানদের পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় দিনের বেলা খাওয়া দাওয়ার অভিযোগে। ইসলাম তার নির্দেশগুলো বাস্তবায়ন করতে জোরজবদস্তি করতে বলে। ইসলাম গ্রহণ করতে কোন জোর করা যাবে না, কিন্তু ইসলামিক ভাবগাম্ভির্য বজায় রাখতে জোর খাটানো ইসলামের বিধান। এই জোরটা খাটাবে যখন তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠবে। যখন সংখ্যার জোরে রাজনৈতিক ফলাফল তারা নিজেদের দিকে টানতে পারবে। রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাংলাদেশে বিশ মাসে এক লক্ষ শিশু জন্ম দিয়েছে। আরো ৩৫ হাজার নারী সন্তান জন্ম দিতে রেডি আছে। অধিক জন্মহার দিয়ে কাফেরদের সংখ্যায় পিছনে ফেলা দেয়ার নির্দেশ সহি হাদিসে রয়েছে। এ কারণে ইউরোপ আমেরিকায় মুসলিমরা কেবল মাত্র উচ্চহারের প্রজনন  দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে চাচ্ছে। উইঘুর চাইনিজ মুসলিমদের ব্যাপকহারে জন্মদান চীন সরকার ধরতে দেরী করেনি। সত্যিকার অর্থে চীন পরিস্কার করে ইসলাম ধর্মকে বুঝতে পেরেছে। এটা বুঝতে পেরেছে বলেই তাদের এ্যাকশনগুলি একদম ষাড়ের চোখ বরাবর হচ্ছে। মানবাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতার বুলি আউড়ে ইসলামকে মোকাবেলা করা যাবে না। যে ধর্ম বলে সন্ত্রাস করে বিজয়ী হও কাফেরদের উপর তাকে ধর্মীয় স্বাধীনতার সংজ্ঞায় কিভাবে মোকাবেলা করা যাবে? আমাদের সুশীল বন্ধুরা কিন্তু আজতক ইসলামী সন্ত্রাসবাদের থেকে বাঁচার কোন সমাধান আমাদের সামনে দিতে পারেননি।

অভিনেতা পিযুষ বন্দোপাধ্যায় জঙ্গিদের লক্ষণ বুঝাতে টাকনুর উপর প্যান্ট, মুখে সু্ন্নতী দাড়িকে চিহ্নিত করেছেন। এতে হেফাজত ইসলামের মত বৃহৎ জঙ্গি ইসলামিক সংগঠন তার ফাঁসি দাবী করেছে। পিযুষ বন্দোপাধ্যায় মিথ্যে বা বিদ্বেষপূর্ণ কোন কথা বলেননি। গোড়া মুসলিমই জঙ্গি হবে। সাধারণ মুসলমান যারা ধর্মকর্ম নিয়মিত পালন করেন না তাদের তো জিহাদের উপর জ্ঞান শূন্য থাকবে। একজন গোড়া হিন্দু যেমন গলায় তুলসীর মালা জড়ায় কিন্তু সাধারণ হিন্দু সেটা করে না। একজন গোড়া খ্রিস্টানই চার্চে সন্ন্যাসী হতে আসে। একজন গোড়া বৌদ্ধই মঠে সন্ন্যাসী হতে আসে। সাধারণ খ্রিস্টান বা বৌদ্ধ আসবে না। তেমনি একজন গোড়া মুসলমান টাকনুর উপর প্যান্ট পরবে, সুন্নতী কায়দায় দাড়ি রাখবে, তারপর দেশের মধ্যে ইসলামিক হুকুমত প্রতিষ্ঠার জন্য ‘আল্লার পথে লড়াই’ করতে চাইবে। নামাজ রোজার চেয়ে জিহাদকে ইসলাম উপরে রেখেছে। যারা ঘরে বসে এসি রুমে কুরআন পড়ে আর নামাজ পড়ে তাদের চাইতে সেই মুসলমানের মর্যাদা বেশি যারা ইসলামিত হুমুমত প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ করে। এ কারণেই একজন একনিষ্ঠ ইসলাম অনুসারী ইসলামের নিখুঁত অনুসরণ করতে গিয়ে তার পক্ষে সন্ত্রাসী হওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ থাকে না। এমনটা খ্রিস্টান কিংবা হিন্দুদের মধ্যে থাকলে গোড়া ধার্মীকদের মধ্যে সন্ত্রাসী দেখা যেতো। এখন কেউ শিসবেনা কিংবা আরএসএসকে উদাহারণ হিসেবে দেখালে তাদের কিন্তু হিন্দুদের অথেনটিক শাস্ত্রীয় সোর্স থেকে দেখাতে হবে এই দলগুলো সেইসব কিতাবের নিদের্শ থেকেই জন্ম নিয়েছে কিনা। এ কারণেই জাকির নায়েক বলেছিলেন, একজন মুসলমানকে প্রকৃত মুসলমান হয়ে উঠতে হলে তাকে অবশ্যই সন্ত্রাসী হতে হবে! ইসলামে নিমাই সন্ন্যাসীর কোন উদাহরণ নেই। ইসলামের নবী যীশুর মত সন্ন্যাসী ছিলেন না। তিনি ১১ স্ত্রী এবং ২ দাসী নিয়ে ঘর করতেন এবং হালকা ও ভারি অস্ত্র নিয়ে জিহাদ করতে বের হতেন। তিনি চিঠি লিখে বিভিন্ন রাজ্যকে তার আনুগত্য স্বীকার করে তাকে জিজিয়া কর দিতে বলতেন নতুবা তার দলের হাত থেকে কোন নিরাপত্তার গ্যারান্টি থাকবে না বলে হুঁশিয়ার করতেন। এরকম একটি ধর্ম সরাসরি জঙ্গি ধর্ম হিসেবেই স্বীকৃত। তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে চীনের মতই ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে কি ঘটতে পারে সেটি ইসলামিক বিশ্বের পরিস্থিতিই আপনার সামনে সতর্ক হিসেবে থাকল…।