হিন্দু দর্শনে কেন পুজোকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে?

আচ্ছা বলুন তো আমরা পুজো কেন করি? কিংবা হিন্দু দর্শনে কেন পুজোকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে?
আমাদের দর্শনে পুজোর গুরুত্ব হোল সামাজিক বন্ধন তৈরির জন্য, পারস্পরিক বিশ্বাস তৈরির জন্য, সামাজিক আদর্শ স্থাপনের জন্য। যেমন ধরুন দুর্গা পুজো, সেখানে দেখানো হয়েছে অসুর শক্তির বিনাশ। সে যতই না এখন কিছু তথাকথিত নাস্তিকরা অসুর পুজো নিয়ে মেতে উঠুন তা সমাজে গ্রহন যোগ্যতা পাচ্ছেনা কারন সমাজ সব সময়েই অসুর শক্তির বিনাশ চায়। আসুরিক শক্তির পূজন নয়। সেই কারনেই যেমন আমরা দুর্গা পুজো করি, আমাদের আদিবাসী ভাইরা দুগগাঠাকুরনের পুজো করে। সমাজের সব অংশের মানুষ এক হয়ে সেই পুজোকে শারদোৎসবে পরিনত করেন।একই ভাবে এসেছে কালী পুজো, লক্ষ্মী পুজো, সরস্বতী পুজো। কখনও সমাজের অন্ধকার দূরের জন্য। আবার কখনও গৃহের সম্পদ ও সুখের জন্য কিংবা সমাজে শিক্ষার প্রসারের জন্য এসেছে লক্ষ্মী পুজো কিংবা সরস্বতী পুজো। ভারতবর্ষ তো শুধুমাত্র একটি দেশ নয়, তা এক ঐতিহ্য, এক সংস্কৃতি, এক দর্শন।সেই দর্শন,ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি আমাদের সভ্যতায় কিংবা সভ্যতার অগ্রগতিতে প্রকৃতির ভূমিকা কত অপরিসীম তা জানিয়েছে। তাই তো আমরা জেনেছি, অগ্নি,বায়ু, জল, মাটি সব কিছুরই আমাদের জীবনে,আমাদের অগ্রগতিতে নিজ নিজ ভূমিকা রাখে। সেই ভূমিকাকেই আমরা স্বীকার করি তাদের পূজনের মাধ্যমে। আরও একটা বিষয় খেয়াল করলে দেখবেন এই যে আমাদের দর্শন ও তা থেকে উদ্ভূত ধর্ম সেখানে নারীশক্তির গুরুত্ব। যে কারনে আমরা নদীকে মাতৃরূপে পূজা করে গঙ্গাপূজা দিই। নারী যেমন স্রষ্টা, আমাদের সৃষ্টি করেছে, তেমনি নদীও স্রষ্টা। এই সভ্যতার সৃষ্টি করেছে। যে কারনে আমরা মনে করি গৃহে সুখ, শান্তি বজায় রাখাতে নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য, তাই আমরা যেমন সম্পদের জন্য একদিকে সিদ্ধিদাতা গনেশের পুজো করি তেমনিই মা লক্ষ্মীরও পুজো করি। তাই তো আজও আমরা মেয়েদের ঘরের লক্ষ্মী বলি। তেমনিই একইভাবে আমরা বিদ্যার অর্জনের জন্য মাতৃ আশীর্বাদ প্রার্থনা করি। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় কপালে দইয়ের ফোঁটাটা মায়েরাই দেন। তাই আমাদের বিদ্যার দেবতা নেই, দেবী আছেন। মা সরস্বতী আছেন। আর সর্বোপরি আমরা আমাদের দেশকেও মাতৃরূপেই দেখি। দেশ মায়েরই আমরা পুজো করি।

সময়ের নিয়মে এই সুবিশাল প্রাচীন দর্শনেও কিছু দোষ ত্রুটি এসেছে। তদ্বজ্যনিত কিছু কুসংস্কার, কিছু কুপ্রথারও উদ্ভব হয়েছে। যেমন সতীদাহ, যেমন নারীদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। কিন্তু এই দর্শন ও এবং তার থেকে উদ্ভূত সভ্যতাই বৃহত্তর সমাজকে কখনও তা মেনে নিতে শেখায় নি। তাই তো আমাদের সমাজে একজন রাম মোহন এসেছেন, একজন বিদ্যাসাগর এসেছেন এবং আরও অজস্র মানুষ এসেছেন যারা এই কুপ্রথা থেকে আমাদের সমাজকে টেনে বার করেছেন বা প্রতিনিয়ত বার করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তেমনিই একটি কুপ্রথা হোল জন্মভিত্তিক কাস্ট সিস্টেম। আমাদের ধর্ম বলছে  –
চত্বার আশ্রমাশ্চৈব ব্রাহ্মণস্য প্রকীর্ত্তিতাঃ
ব্রহ্মচর্য্যঞ্চ গার্হস্থ্যং বাণপ্রস্থঞ্চ ভিক্ষুকম।
ক্ষত্রিয়স্যাপি কথিতা আশ্রমাস্ত্রয় এব হি।
ব্রহ্মচর্য্যঞ্চ গার্হস্থ্যমাশ্রমদ্বিতয়ং বিশঃ।
গার্হস্থ্যমুচিতন্ত্বেকং শূদ্রস্য ক্ষণমাচরেৎ।।
বামনপুরাণ, উদ্বাহতত্ত্বধৃত।
অর্থাৎ, ব্রাহ্মণকে ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বাণপ্রস্থ এবং সন্ন্যাস এই চারটি আশ্রম পালন করতে হবে, অনুসিদ্ধান্তে, এই চারিটি আশ্রম যিনি পালন করে থাকেন তিনি ব্রাহ্মণ। প্রথম তিনটি আশ্রম যিনি পালন করেন, তিনি ক্ষত্রিয়। জনতা দুটি আশ্রম অবশ্যই পালন করবে, (বিশ শব্দের অর্থ জনতা। পরে যা থেকে বৈশ্য শব্দের উৎপত্তি) এবং যিনি কেবল মাত্র গার্হস্থজীবন পালন করবেন, অর্থাৎ গুরুগৃহে যাবেন না, সদাচার শিক্ষা করবেন না, শুধুমাত্র বিবাহ সংস্কার করে গার্হস্থ্য যাপন করবেন, পরবর্তী জীবনে বাণপ্রস্থ ও সন্ন্যাসজীবন যাপনেও ব্রতী হবেন না, তিনিই শূদ্র বলে কথিত হবেন।
কিন্তু সামাজিক রাজনীতির জেরে এই কর্মভিত্তিক কাস্ট সিস্টেম এখন জন্মভিত্তিক সুবিধাবাদে পরিনত হয়েছে। সেখানে শাস্ত্রজ্ঞ ব্যক্তিও শুধুমাত্র ব্রাহ্মনের ঘরে জন্ম নেননি বলে সমাজ তাকে পুজোর অধিকার দিতে চায়না। নারীর আরাধনায় নারীর ভূমিকা শুধুমাত্র সহকারীর।
এই দুই জায়গা থেকেই অনেকদিন ধরে চিন্তাভাবনা করছিলাম কিছু একটা করার। খবর পাচ্ছিলাম অনেক জায়গাতেই অনেক কিছু হচ্ছে। কেরলে মন্দিরে দলিতরা পুজোর অধিকার পাচ্ছেন, মধ্যপ্রদেশ সরকার আইন পাস করাতে চাইছেন মন্দিরে দলিতদের পৌরহিত্যের অধিকার দিয়ে। তা আমিই বা কি করে এর বাইরে থাকি। এমনিতে আমি বিশেষ ধর্মীয় আচার রীতি নীতি পালন করিনা। গত দুই বছর ধরে আমার মাতৃদেবী আমাকে বলে চলেছেন দক্ষিনেশ্বর মন্দিরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি উৎসাহ পাচ্ছিনা। কিন্তু সমাজ বদলে আমি সর্বদা উৎসাহী। আর এও মনে করি আমাদের ভারতবর্ষে সমাজে বদল আনতে হলে তা কখনই ধর্মকে অস্বীকার করে করা যাবেনা। কারন ভারতবর্ষের যে সনাতন ধর্ম তা খালি প্রার্থনার আচার বিচার শেখায়না। তা আমাদের সমাজকে দর্শন দিয়েছে, ইতিহাস দিয়েছে। সেই দর্শন থেকেই এসেছে পুজোর নানা রীতিনীতি। সেই ইতিহাস, সেই দর্শনকে অস্বীকার করে কখনই সমাজের বৃহত্তর অংশের কাছে পৌছানো যাবেনা। কাজেই ধর্মকে অবলম্বন করেই আমাদের প্রাচীন দর্শনের ভিত্তিতে, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েই সমাজ পাল্টানোর কাজটা করতে হবে। এই ভাবনা থেকেই আমরা কয়েকজন মিলে ঠিক করি একটা সরস্বতী পুজো করা যাক। পুজোর প্রস্তাবনা দিলাম আমি অর্থাৎ শ্রীমান দীপ্তাস্য যশ এবং সৌমেন চক্রবর্তী। একজন ক্ষত্রিয় এবং অপরজন ব্রাহ্মন। এবার প্রস্তাব করলেই তো হবেনা। পুজো কোন হেলাফেলার বস্তু নয়। বিশেষ করে এমন পুজো যার উদ্দেশ্য বিদ্যাদেবীর আরাধনার মাধ্যমে সমাজের নারীশক্তির পুনর্জাগরন ও সামাজিক কুপ্রথার অবসান ঘটানো। ফলে প্রথমেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল পুজোকে কিছুতেই সার্কাসে পরিনত হতে দেওয়া যাবেনা। পুজো হবে যথাযথ নিয়ম মেনে, বিধি পালন করে। সেইখানেই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ন উত্তীর্ন হলেন শ্রীমান দীপ্তরূপ সাম্যদর্শী। না এনার কোন জাত নেই, ইনি নাস্তিক। ইনি তার যাবতীয় শাস্ত্রজ্ঞান নিয়ে আমাদের পাশে দাড়ালেন এবং যথাযথ পুজো পদ্ধতি কেমন হওয়া উচিত তা একদিন কাটলেট আর চিকেন পকোড়া খেতে খেতে সমঝে দিলেন। তবে মূল জায়গাটা অর্থাৎ নারীদের যোগদান সে সমস্যার আগেই সমাধান হয়ে গেছিল। ফেসবুকে আসার পর অনেক বন্ধু পেয়েছি, অনেক শত্রুও পেয়েছি। কিন্তু এর মধ্যেই তিনটে বেশ মিষ্টি বোন পেয়েছি। সে বোনেরা এমনিতে মিষ্টি হলেও কাজের ক্ষেত্রে বড় ভয়ানক। ঘাড় ধরে কাজ করিয়ে নেয়। এমনকি সময়ে কাজ না হলে বেশ কড়া করে ধমকও দিয়ে দেয় মাঝেমধ্যে। তা যাইহোক এইরকমই একদিন চপ কাটলেট খেতে খেতে উপলব্ধি করলাম আমাদের প্রস্তাব কর্মে সম্পাদন করার জন্য তারা রীতিমতো ঝাপিয়ে পরেছে। আমাদের আর কাজ বিশেষ কিছুই নেই। তবে পুজোর ভোগের দিকে নজর রেখেছিলাম অবশ্যই। এমনিতে নাস্তিক মানুষ হলে কি হবে পুজোর ভোগে লোভ ভালই আছে। তা দেখলাম সংহতি পুজোর দায়িত্ব কাধে তুলে নিল। যে কিনা ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত। তার মূল দুই সহকারী হোল অস্মিতা বোস, যিনি জাতে কায়স্থ আর একজন (বিশেষ কারনে তার নাম নিতে পারছিনা) তিনি জাতে বৈদ্য। পুরোহিত সংহতির মূল সহকারী কৌশিক পাল। যিনি অব্রাহ্মন হলেও শাস্ত্রজ্ঞানে যেকোন পুরুত মশাইয়ের কান কেটে দিতে পারেন।  বলবেন জাতিভেদ ঘোচানোর জন্য পুজো করার কথা বলছি,তাহলে আবার ঘটা করি জাত পরিচয় দিতে বসেছি কেন। না আমরা যারা পুজোটা করলাম তারাও এসব জাতপাত নিয়ে কোনদিন বিশেষ ভাবিত নই। কিন্তু তাও বললাম, কারন ঐ যে প্রথমেই বলেছি আমাদের দর্শনে পুজোর ভূমিকা হোল সামাজিক ঐক্য, বন্ধন ও বিশ্বাস স্থাপনের এক মাধ্যম এবং সেটাই মূল উদ্দেশ্য, উপাচার নয়। ও হ্যা, আরেকটা কথা আমাদের এই পুজোতে আমাদের পাশে সব সময় পেয়েছি ভারত চেতনা নামক একটি সংগঠনকে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোল যে মারোয়াড়ি সম্প্রদায়কে আপনারা অর্থোডক্স ইত্যাদি নানা ভূষনে এযাবত ভূষিত করে এসেছেন, কথায় খোট্টা, মেড়ো তাড়ানোর কথা বলেছেন সেই সমাজের অন্তত জনা কুড়ি প্রথম থেকে শেষ অব্দি দাঁড়িয়ে পুজো দেখেছেন এবং পুজো শেষে প্রসাদ খেয়েছেন।

অনেকেই আমাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, অনেকের বক্তব্য ভীষনভাবে আবেগপ্রবন করে তুলেছে আমাদের। সত্যি কথা বলতে পুজোর শেষে খেরোর খাতা খুলে দেখছি দু চারজনের খুচরো গালাগালের থেকে ভালোবাসা যা পেয়েছি আপনাদের কাছ থেকে তা অনেক অনেক বেশী। সত্যি কথা বলতে আশাতীত।
ভেবেছিলাম যারা এই উদ্যোগকে সফল করতে পাশে দাড়িয়েছেন তাদের ছোট করে ধন্যবাদ দিয়ে একটা পোস্ট করব, কিন্তু লেখা ক্রমশ বড় হয়ে যাচ্ছে। আর কয়েকটা কথা বলেই শেষ করব।
অনেকেই একটা কথা বলছেন যে আমরা অব্রাহ্মনদের পুজোর অধিকার নিয়ে যেমন লড়তে চাইছি, তেমনি চাকরি ক্ষেত্রেও যে কাস্ট বেসড কোটা সিস্টেম আছে তা নিয়ে কেন কিছু বলছিনা। এক্ষেত্রে আমার মনে হয় চাকরি ক্ষেত্রে কোটার ব্যাপারটা আসতই না যদিনা আমরা এই সামাজিক কোটার ব্যাপারটা চালু করতাম। তাই মূল রোগ আগে সারানো দরকার, তাহলে রোগের উপসর্গও দূর হবে। আপনি যদি মন্দিরে ঘন্টা নাড়ানোর কোটা রাখেন তাহলে অন্য কোথাও অন্য কেউ সুযোগ পেলে সেও নিজের জন্য কোটা রাখবেই।
কতিপয় মাকুও এই পুজোর কথা জেনে বলেছেন তাদের বাড়িতে বহুদিন যাবত তাদের মা বউরাই এসব পুজো করেন। তারা পুরুত বামুনের তোয়াক্কা করেননা। কথাগুলো শুনেই সত্যিই খুশী হলাম। শুধুমাত্র এই কারনেই নয় যে তারা আমাদের কাজটাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে। এটাও মনে বেশ আনন্দ দিল যে এনারা যাদের বেশ্যা ইত্যাদি বলে চিহ্নিত করেন তাদের মা বউরাই সেই “বেশ্যাদের” ঘরের মেয়ে মনে করেন। আবার এনারা কথায় কথায় মনুবাদের হাত থেকে আজাদী চান। যদিও মনুবাদের ঠিক কোনখানটা বাদ দিতে চান তা বলতে পারেননা। কারন পড়াশুনার অভাব। মনুবাদে অনেক কিছুই আছে। সবটা থেকে আজাদী চাওয়া বোধহয় বাম্ভাইদের জন্য বিশেষ স্বস্তিদায়ক হবেনা। যাকগে সে আলাদা বিষয়, আলাদা সুতোয় কখনো বলব। এখন যেটা বলার যে ব্রাহ্মন্যবাদকে বৃহত্তর হিন্দু সমাজ অনেক আগেই ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। সেই কারনেই আপনাদের মা বউরা বাড়ির মেয়ের পুজো নিজেই করেন। আমরা জাস্ট সেটাকে আনুষ্ঠানিকতার পর্যায়ে এনেছি। আর আপনারা এতদিন ধরে মনুবাদের হাত থেকে রেহাই চেয়েও সেই আনুষ্ঠানিক ঘোষনাটা সোচ্চারে করার সাহস দেখাতে পারলেননা। সেই কিছু “চাড্ডীই” করে দেখাল। না না, থুতু ফেলে ডুবে মরতে বলছি না। আপনারা থাকুন। আপনারা থাকলে আমাদের আর আলাদা করে ব্যর্থতার বিজ্ঞাপন খুজতে হয়না।

আরেকপ্রকারের কথাও বলি তা হল কিছু বিরাট হিন্দু ব্রাহ্মন যোদ্ধার কথা। তারা মনে করেন হিন্দুত্ববাদের জাগরন ঘটবে, কিন্তু তাদের আধিপত্য বজায় থাকবে। তাদের পাওনা চালটা কলাটার যোগান বজায় থাকবে। কিন্তু দুখিত স্যার। ভারতবর্ষে হিন্দু জাগরন ঘটছে, এবং সেখানে প্রাধান্য বজায় রাখতে হলে জ্ঞানের জোর লাগবে। শুধুমাত্র নামের শেষে পদবীর জোরে আপনি ঘন্টা নাড়ানোর অধিকার বজায় রাখতে পারেন কিন্তু প্রাধান্যের আশা করবেননা। মনে রাখবেন মহাভারতের যুগেও বিদুরের স্থান অনেক ব্রাহ্মনের থেকে অনেক উচুতে ছিল। আবার স্বামী বিবেকানন্দও ব্রাহ্মন ছিলেননা। এমনকি বসিরহাট, ধূলাগড়ে পাল্টা দেওয়ার সময়েও সেই ছোট জাতের লোকগুলোই আগে ছিল। ছোট জাতের লোকগুলো ছিল বলেই আপনারা আছেন। এই কারনেই আমি যে সমস্ত ব্রাহ্মনরা এই ব্রাহ্মন্যবাদের বিরোধিতা করে আমাদের সমর্থন দিচ্ছেন তাদের জানাচ্ছি শতকোটি প্রনাম। হিন্দু সমাজের একত্রীকরনে আপনাদের ভূমিকা অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই।

লেখা আর বড় করবনা। এখানেই থামব। তবে যে কাজ আমরা শুরু করেছি তা এখানেই থামবেনা। তা আরও এগিয়ে যাবে। পাশে থাকুন, সাথে থাকুন। হিন্দু ঐক্য গড়ে তুলতে সাহায্য করুন। আগামী দিনের ভারতবর্ষকে হিন্দুত্ববাদের রাস্তা এই বাংলাই দেখাবে যেমন অতীতেও বারেবারে দেখিয়েছে।