রায়চৌধুরী, সত্যপ্রসাদ (১৯০৪-১৯৮৬) মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ। তিনি ২৩ এপ্রিল ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে তিনি ১৯২৫ সালে বি.এসসি (সম্মান) ডিগ্রি এবং ১৯২৭ সালে এম.এসসি
(রসায়ন) ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্র জীবনে সত্যপ্রসাদ ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী
এবং শিক্ষা ও কর্মজীবনে তিনি অনেক স্বর্ণপদক, প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ বৃত্তিসহ
বহু মেধাবৃত্তি ও পুরষ্কার লাভ করেন। তিনি অাঁঠাল পদার্থের তড়িৎ রসায়ন
এবং জ্বালানি কাঠকয়লার ওপর গবেষণার সূত্রপাত করেন। সত্যপ্রসাদ ১৯৩২ সাল
থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়-এর
গবেষণা সহকর্মী এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত রসায়ন বিভাগের অবৈতনিক
প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কলয়েড বিজ্ঞান ও মৃত্তিকার অম্লতা ভিত্তিক
বিনিময় সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তিনি গবেষণাকার্য পরিচালনা করেন।
১৯৩৪ সালে তিনি ইংল্যান্ড যান এবং সেখানকার রোথামস্টেড এক্সপেরিমেন্টাল
স্টেশনে গ্রীষ্মমন্ডলীয় লাল ও কালো মৃত্তিকার ওপর গবেষণা করেন। এই
গবেষণাকর্মের জন্য তিনি ১৯৩৬ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচ.ডি ডিগ্রি
লাভ করেন। পেশাগত কর্মজীবনের শুরুতে ড. সত্যপ্রসাদ ১৯৩৭ সালের জুন মাসে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি রসায়নবিদ হিসেবে যোগদান করেন।
এসময়ে তিনি স্নাতক
এবং স্নাতকোত্তর ক্লাশসমূহে মৃত্তিকা বিজ্ঞান ও কলয়েড রসায়ন বিষয়ে
পাঠদান করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি তাঁর বিখ্যাত ‘ভারতীয় লাল
মৃত্তিকা’ বিষয়ে গবেষণার সূত্রপাত করেন, যার জন্য তিনি ১৯৪৫ সালে লন্ডন
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.এসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. রায়চৌধুরী ১৯৪৪ সালে ভারতে চলে যান এবং নয়াদিলির ‘ইম্পেরিয়াল
এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (বর্তমানে ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল
রিসার্চ ইনস্টিটিউট-আই.এ.আর.আই) যোগ দেন। আই.এ.আর.আই-তে তাঁর সবচেয়ে
তাৎপর্যপূর্ণ অবদান ছিল মৃত্তিকা জরিপ ও মৃত্তিকার শ্রেণিবিন্যাস,
মৃত্তিকার উর্বরতা ও সারের ব্যবহার বিষয়ক ক্ষেত্রে। পরবর্তীতে তিনি
সেখানকার মৃত্তিকা বিজ্ঞান ও কৃষি রসায়ন বিভাগের প্রধান হন এবং ‘নিখিল
ভারত মৃত্তিকা ও ভূমি ব্যবহার জরিপ’ সংস্থার প্রধান মৃত্তিকা জরিপ
কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। ১৯৬১ সালে অবসর গ্রহণের পর ভারতের পরিকল্পনা কমিশনে
জেষ্ঠ্য বিশেষজ্ঞ (ভূমি সম্পদ) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং ১৯৬৯ পর্যন্ত
কর্মরত থাকেন। ১৯৬৯ সাল থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি ‘শ্রীরাম সার ও
রাসায়নিক সংস্থা’-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
নিখিল ভারত মৃত্তিকা জরিপ কর্মসূচির চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি
সত্যপ্রসাদ রায়চৌধুরীর সেরা গবেষণাকর্মসমূহের একটি, যা পরবর্তীতে আরও বৃহৎ
পরিসরে ভারতের মৃত্তিকা নামক গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশিত হয়। তিনি ভারত,
বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বহুসংখ্যক বিশেষ এবং পেশাদারী সমিতির
সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং অনেক সম্মানিত পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৮৬ সালের ৩
জানুয়ারি ড. সত্যপ্রসাদ রায়চৌধুরী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। [ডি.কে দাস]
থেকে তিনি ১৯২৫ সালে বি.এসসি (সম্মান) ডিগ্রি এবং ১৯২৭ সালে এম.এসসি
(রসায়ন) ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্র জীবনে সত্যপ্রসাদ ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী
এবং শিক্ষা ও কর্মজীবনে তিনি অনেক স্বর্ণপদক, প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ বৃত্তিসহ
বহু মেধাবৃত্তি ও পুরষ্কার লাভ করেন। তিনি অাঁঠাল পদার্থের তড়িৎ রসায়ন
এবং জ্বালানি কাঠকয়লার ওপর গবেষণার সূত্রপাত করেন। সত্যপ্রসাদ ১৯৩২ সাল
থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়-এর
গবেষণা সহকর্মী এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত রসায়ন বিভাগের অবৈতনিক
প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কলয়েড বিজ্ঞান ও মৃত্তিকার অম্লতা ভিত্তিক
বিনিময় সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তিনি গবেষণাকার্য পরিচালনা করেন।
১৯৩৪ সালে তিনি ইংল্যান্ড যান এবং সেখানকার রোথামস্টেড এক্সপেরিমেন্টাল
স্টেশনে গ্রীষ্মমন্ডলীয় লাল ও কালো মৃত্তিকার ওপর গবেষণা করেন। এই
গবেষণাকর্মের জন্য তিনি ১৯৩৬ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচ.ডি ডিগ্রি
লাভ করেন। পেশাগত কর্মজীবনের শুরুতে ড. সত্যপ্রসাদ ১৯৩৭ সালের জুন মাসে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি রসায়নবিদ হিসেবে যোগদান করেন।
এসময়ে তিনি স্নাতক
এবং স্নাতকোত্তর ক্লাশসমূহে মৃত্তিকা বিজ্ঞান ও কলয়েড রসায়ন বিষয়ে
পাঠদান করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি তাঁর বিখ্যাত ‘ভারতীয় লাল
মৃত্তিকা’ বিষয়ে গবেষণার সূত্রপাত করেন, যার জন্য তিনি ১৯৪৫ সালে লন্ডন
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.এসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. রায়চৌধুরী ১৯৪৪ সালে ভারতে চলে যান এবং নয়াদিলির ‘ইম্পেরিয়াল
এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (বর্তমানে ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল
রিসার্চ ইনস্টিটিউট-আই.এ.আর.আই) যোগ দেন। আই.এ.আর.আই-তে তাঁর সবচেয়ে
তাৎপর্যপূর্ণ অবদান ছিল মৃত্তিকা জরিপ ও মৃত্তিকার শ্রেণিবিন্যাস,
মৃত্তিকার উর্বরতা ও সারের ব্যবহার বিষয়ক ক্ষেত্রে। পরবর্তীতে তিনি
সেখানকার মৃত্তিকা বিজ্ঞান ও কৃষি রসায়ন বিভাগের প্রধান হন এবং ‘নিখিল
ভারত মৃত্তিকা ও ভূমি ব্যবহার জরিপ’ সংস্থার প্রধান মৃত্তিকা জরিপ
কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। ১৯৬১ সালে অবসর গ্রহণের পর ভারতের পরিকল্পনা কমিশনে
জেষ্ঠ্য বিশেষজ্ঞ (ভূমি সম্পদ) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং ১৯৬৯ পর্যন্ত
কর্মরত থাকেন। ১৯৬৯ সাল থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি ‘শ্রীরাম সার ও
রাসায়নিক সংস্থা’-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
নিখিল ভারত মৃত্তিকা জরিপ কর্মসূচির চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি
সত্যপ্রসাদ রায়চৌধুরীর সেরা গবেষণাকর্মসমূহের একটি, যা পরবর্তীতে আরও বৃহৎ
পরিসরে ভারতের মৃত্তিকা নামক গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশিত হয়। তিনি ভারত,
বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বহুসংখ্যক বিশেষ এবং পেশাদারী সমিতির
সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং অনেক সম্মানিত পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৮৬ সালের ৩
জানুয়ারি ড. সত্যপ্রসাদ রায়চৌধুরী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। [ডি.কে দাস]