বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে বাংলাদেশ পাকিস্তানে কয় হাজার মন্দির আর কয় লক্ষ হিন্দু খ্রিস্টান বৌদ্ধদের বাড়িঘরে হামলা হয়েছে তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার রেকর্ডে নিশ্চয় আছে।

পাকিস্তানে একজন ‘রসরাজ’, ‘টিটু রায়ের’ ভাগ্যবরণ করল আজ। একজন অধ্যক্ষ হযরত মুহাম্মদের নামে কটুক্তি করেছেন তারই শিক্ষার্থীর করা এই অভিযোগে সিন্ধু প্রদেশের একটি স্কুল ও একটি হিন্দু মন্দির তছনছ করে ফেলা হয়েছে। পাকিস্তানে হিন্দুর সংখ্যা কমতে কমতে এখন তা মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ। হিন্দুদের জমি দখল, হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করে জোর করে মুসলিম বানিয়ে বিয়ে করে শ্বশুড়ের সম্পত্তি দাবী করে মামলা ইত্যাদি ঘটনায় পাকিস্তান থেকে হিন্দুরা পালিয়ে চলে যায়। পাকিস্তান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি। সেখানে কি এমন তত্ত্ব চালু আছে যে পাকিস্তানে হিন্দু বা খিস্টানরা নির্যাতিত নয়, মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ তাই সেখানে মুসলমানরাই বেশি নির্যাতিত! কিংবা পাকিস্তান থেকে হিন্দু খ্রিস্টানরা চলে যায় কারণ তারা পাকিস্তানকে মেনে নিতে পারেনি তাই…। যদি দেশভাগ থেকেই ইতিহাস ধরি তাহলে গত পঞ্চাশ বছরে হিন্দুরা কেবল একটা মসজিদই ভেঙ্গেছে সেটা বাবরী। কিন্তু বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে বাংলাদেশ পাকিস্তানে কয় হাজার মন্দির আর কয় লক্ষ হিন্দু খ্রিস্টান বৌদ্ধদের বাড়িঘরে হামলা হয়েছে তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার রেকর্ডে নিশ্চয় আছে