অবশ্য মায়ের দান সন্তানের জীবনে অনেকখানি প্রভাব বিস্তার করে

হিন্দু ধর্ম প্রচারের জন্য ,  স্বামী বিবেকানন্দ প্রথম বার যখন বিদেশ যাত্রা করেন- তাঁর বুদ্ধিমতী মা দেখতে চেয়ে ছিলেন সত্যিই পুত্র এই কাজের উপযুক্ত কিনা ! তাই তিনি  তাঁকে রাত্রে নিজের হাতে রান্না করে খেতে দিলেন । মায়ের হাতের সুস্বাদু খাবার খাওয়ার পরে , মা তাঁকে এক প্লেট ফল ও একটা ছুরি দিলেন ।বিবেকানন্দের ফল শেষ হলে -তিনি ছেলের কাছে ছুরিটা চেয়ে নিলেন । ছেলেও তাড়াতাড়ি ওটা মাকে দিয়ে দিলেন।
শান্ত চিত্তে মা বলেন -“তুমি পরীক্ষায় পাশ করেছ-আমি তোমার বিদেশ যাত্রায় আশীর্বাদ করলাম ।স্বামীজি অবাক হয়ে বললেন -” মা, কি করে তুমি আমার পরীক্ষা নিলে ? আমি তো বুঝতেই পারলাম না” ।
মা উত্তর দিলেন -” বিলে -তুমি যখন আমাকে ছুরিটা ফেরত দিলে -তখন ধারালো দিকটা তোমার হাতে রেখে , কাঠের হ্যান্ডেলের দিকটা আমার দিকে এগিয়ে দিলে-যাতে আমার আঘাত না লাগে ! তার মানে তুমি আমার খেয়াল রাখো -এটাই তোমার পরীক্ষায় পাশ হওয়া ! যে নিজের জন্য না ভেবে পরের জন্য ভাবে – সে নিজ- ধর্ম প্রচারের জন্য উপযুক্ত অধিকারী এবং আমার ভালবাসা ও আশীর্বাদ রইল” ।

    তাঁর -এইসব গুরুত্বপূর্ণ  ব্যবহার গুলি প্রমাণ করে যে , স্বামীজি কত বড় হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন এবং তাঁর জীবনটাই ছিল অন্যের জন্য , অন্যের ভালোর জন্য !

    – অবশ্য  মায়ের দান সন্তানের জীবনে অনেকখানি প্রভাব বিস্তার করে , মায়ের উপযুক্ত শিক্ষা সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করে তোলে – স্বামী বিবেকানন্দ হয়ে ওঠার পিছনে মা ভুবনেশ্বরী দেবীর দান অনস্বীকার্য !