হ্যাঁ, মূর্খ হিন্দুরা গরুকে মা বলে, এমনকি নদীকেও। পূজো করে গাছকেও। কি বোকা, কি বোকা..!

হ্যাঁ, মূর্খ হিন্দুরা গরুকে মা বলে, এমনকি নদীকেও। পূজো করে গাছকেও। কি বোকা, কি বোকা..!

কিন্তু কেন করে, সেটা বুঝতে গেলে যে উপলব্ধির দরকার, যে উন্নত দর্শন দরকার, সেটা সবার থাকে না। বিশেষ করে ছোট থেকেই জেহাদ, যৌনতা আর জন্নত – এই তিন ছাড়া আর কিছু যাদের শেখানো হয় না, ছোট থেকেই যাদের সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হয় এই তিনটি শব্দকে কেন্দ্র করে, যাদের বোধ বুদ্ধি সব থাকে ঐ কাটা জায়গাটাতে , যাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র কৃতজ্ঞতা বোধ নেই, তাদের এবং তাদের রক্ত সম্পর্কিত তুতুভাই সম্পূর্ণ বস্তুবাদী মতাদর্শের মাকুদের সেটা বোঝার কথাই নয়। অনেক আগে এদেশে গাছের সঙ্গে মেয়েদের বিয়েও দেওয়া হত অনুষ্ঠান করে। কি কুসংস্কার বলুন তো ! তাই উঠে গেছে। এখন আবার মেক্সিকো, জাপান সহ বিভিন্ন দেশে দেখতে পাচ্ছি, এখন নাকি এটা পরিবেশ প্রেম !

আচ্ছা প্রথমে একটু ব্যাখ্যা করা যাক যে কেন একটা জনজাতির মধ্যে কোন দেশ, নদী বা পশুকে এই মাতা আখ্যা দেওয়ার আবেগটা আসে। মা বলা মানে অবদান স্বীকার করা। ভারত বহু হাজার বছরের পুরনো কৃষিজীবী সভ্যতা, এখানের হিন্দুরা বামাতিদের প্রিয় বেরাদরদের মতো এদেশে সেদেশে মঝব ছড়াতে যুদ্ধ করে বেড়ায়নি। তারা মূলত কৃষিজীবী ছিল ও আছে। তো কৃষিভিত্তিক সভ্যতা গঠনে গোজাতীয় প্রাণীর ভুমিকা অসীম আর বহু হাজার বছর ধরে আমাদের দেশের শিশুরা মাতৃদুগ্ধের বিকল্প হিসাবে শারীরিক পুষ্টির জন্য গোদুগ্ধ পান করে আসছেন। আমি নিশ্চিত বামাতিরাও গোদুগ্ধ পান করেছেন, শরীর দুর্বল হলে তাদের পিতামাতারাও তাদের সন্তানের শারীরিক উন্নতির জন্য এক পাত্র গোদুগ্ধেরই শরণাপন্ন হতেন । এইসব কারণেই গোমাতা জাতীয় আবেগের সৃষ্টি। ভারতকে নদীমাতৃক দেশও বলা হয় আর অনেক নদীকে মা বলা হয়। সাম্প্রতিককালে আদালত গঙ্গা নদীকেও জীবিত সত্ত্বা বলে আখ্যা দিয়ে তাকে বরাবরের জন্য আদালতে পক্ষ রাখার ব্যাবস্থা করেছেন, এগুলো করেছেন সেই নদীর গুরুত্ব বুঝেই।

আসলে বামাতিরা ভালো করেই জানে যে আবেগগুলো বাস্তবিক কারণের ভিত্তিতে স্বাভাবিকভাবেই এই দেশের জনতার মধ্যে তৈরি হয়েছে, একটা চরম উপকারী প্রাণীকে মাতার স্থান দেওয়া মানে একটা নির্বোধ নিরীহ প্রাণীর অবদানকেও স্বীকার করা হয় । একটা নদীকে মাতার স্থান দেওয়া মানে একটা নিষ্প্রাণ জলধারার অবদানকেও স্বীকার করা । এগুলো মানবতাবাদের সর্বোচ্চ স্তর, যেখানে মানবতাবাদ স্রেফ মানবের কার্যকলাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনা, এগুলো সম্পূর্ণ বস্তুবাদী মতাদর্শের অনুসারীদের পক্ষে বোঝা সম্ভবই নয়। এগুলি বুঝলে তো মানুষাকৃতির মাকু আর ছাগুরা মাকু আর ছাগু হয় না, মানুষ হয় ।

আগে আমরা গাছ পুঁতে জন্ম দিন পালন করতাম, কি প্রকৃতি ও সংস্কার বাদী চিন্তা! আবার ছোট ইলিশ যাতে ধরা না পড়ে, বংশ না শেষ হয়, তাই সরস্বতী পূজার আগে ইলিশ খাওয়া ছিল বারণ। কী প্ৰকৃতি বাদী চিন্তা! আইন করতে হয় নি! ধর্মই আইন, আইনই ধর্ম ! মাকু ছাগুদের মতো আব্রাহামিক বর্বররা সেসব বুঝলে তো! তাদের কাছে প্রকৃতি হোল ধর্ষণ যোগ্য, মাল ই গনিমত !

ভাবাবেগ ছেড়ে এবার আসুন সংবিধানে… ,

কিছু হলেই মাকু আর ছাগুরা সংবিধান দেখিয়ে দেয়, কিন্তু এই বেলা সংবিধানের ৪৮ নং ধারার নামও মুখে আনে না । এদেশে মুখে ‘গণতন্ত্র’ শব্দটার খৈ ফুটলেও নিজেদের দেশগুলিকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানিয়ে রেখে বিধর্মীদের ন্যূনতম ধর্মীয় এবং নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা স্বার্থপর সুবিধাবাদীদের এদেশে বলতে শুনি শরিয়ত নাকি সংবিধানের উপরে ! আর মাকুরা চীনা আফিং এর নেশায় ঢুলু ঢুলু চোখে দেয় হাততালি…।

“Article 48 of
The Constitution Of India 1949

The State shall endeavour to organise agriculture and animal husbandry on modern and scientific lines and shall, in particular, take steps for preserving and improving the breeds, and prohibiting the slaughter, of cows and calves and other milch and draught cattle”

দেখে নিন –
https://indiankanoon.org/doc/1452355/

সংবিধানের ৪৮ নং ধারাটাও কি হিন্দুদের ধর্মীয় আবেগ বুঝে বানানো হয়েছিলো কমরেড বা মুমিন ভাইরা ? একটু কষ্ট করে সংবিধানের ধারা ৪৮ টা পড়লেই দেখতে পাবেন যে বাবাসাহেব আম্বেদকর ভারতের সংবিধানের ধারা ৪৮ এ যে গাভি আর বাছুর হত্যা বেআইনি করার ব্যাবস্থা করেছিলেন, সেটা ভারতের কৃষিজীবী সমাজের অর্থনীতির ভিত্তিতেই করেছিলেন । এখন ব্যাপারটা হচ্ছে হিন্দুত্ব একটা বহু হাজার বছর প্রাচীন কৃষিজীবী সভ্যতার জীবনধারা, আর জীবনধারা বলেই এটার সাথে সম্পর্কিত আবেগগুলোর মধ্যে বেশ কিছু প্রকৃতি আর সমাজের পক্ষে মঙ্গলজনক এবং সেই আবেগের সাথে ভারতীয় সমাজনীতি অর্থনীতি যথেষ্ট সম্পর্কিত বলেই হিন্দুদের আবেগের সাথে এই গাভী ও বাছুর হত্যা নিষিদ্ধকরণ মিলে গেছে । কিন্তু কোথাও এটা বলা হয়নি যে হিন্দুদের আবেগের জন্যই শুধুমাত্র এই নিষিদ্ধকরণ হচ্ছে ।
আবেগের সাথে মিলে গেছে মাত্র, না মিললেও এই আইন হতো, গোরুকে মা বলার কারণ হচ্ছে একটা কৃষিজীবী সভ্যতার গোরুর গুরুত্ব অপরিসীম আর সেই গুরুত্বকে কয়েক হাজার বছর সময় দিলে মানুষই সেই আবেগকে দেবত্বের পর্যায়ে উন্নিত করে, এটা তো আব্রাহামিয় মঝব নয়, যে একটা বইয়ের বাইরে ভাবার জায়গাই থাকবে না। এবার আমিতো বললাম যে এই হিন্দুদের মধ্যে এই জীবনধারাভিত্তিক আবেগকে আঘাত করতে গেলে হিন্দুরা যে ৬০ বছর আগে লিঙ্গনিরপেক্ষ আইন মেনে নিয়েছে সেটা আরেক সম্প্রদায়কেও মানাতে বাধ্য করা হোক , তাদের অন্তত একটা কট্টর আবেগ ছাড়তে বাধ্য করা হোক। স্বাধীনতার পরে ৬০ বছর কংগ্রেস সহ ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলো রাজত্ব করেছে, তারা এই বিশেষ সম্প্রদায়ের আবেগকে এতো ভয় পেয়েছে যে এমনকি আদালতের রায়কেও আইন করে পাল্টেছে। তাহলে এইরকম একতরফা তোষণ দেখে আরেক সম্প্রদায় যদি একটু উগ্র হয়, সেটা তাদের দোষ নয় বলেই মনে করি। যে সম্প্রদায় এখনো অব্দি উগ্রতা নিয়ে জেদ বজায় রেখে একটা সংস্কারও মানেনি, তাদের একটু সংস্কার হোক । তাহলে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যেও ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা জন্মাবে, তখন তারাও প্রতিক্রিয়াজনিত জেদ ছেড়ে দেবে। আমি দেশকে আরব করতে চাইনা বলেই বলেছি অভিন্ন দেওয়ানী আইন হোক, এতে সমস্যার কি আছে ?

মাকু এবং ছাগু ভাইয়ারা, রাজী তো…?

এমনিতে আমার মাকু ভাইরা দলিত প্রেমী সাজতে আম্বেদকর বলতে অজ্ঞান। উনাকে সামনে রেখে কত সেমিনার, আলোচনা সভা, কত কোটেশান! কিন্তু উনি মুসলমান আর কমিউনিস্ট সম্পর্কে কী কী উপলব্ধির কথা বলে গেছেন – সেগুলি বেমালুম চেপে যায়।

তাহলে বোঝা গেল…,

কে কি খাবে সেটা কেউই ঠিক করে দেয়নি। বাবাসাহেব আম্বেদকরের তত্ত্বাবধানে রচিত সংবিধানের ধারা ৪৮ অনুসারে ভারতীয় কৃষিজীবী অর্থনীতিকে রক্ষা করতে গাভী আর বাছুরহত্যায় যে প্রতিবন্ধকতা আছে সেটাই পালন হচ্ছে। এবার সেই নিষেধাজ্ঞার সাথে কাকতালীয় ভাবে হিন্দুদের আবেগ মিলে গেছে। এর বাইরে বলদ বা মহিষ যেগুলো গোজাতীয় প্রাণীর মধ্যেই পরে তাদের মাংস অর্থাৎ গোমাংস বেআইনি নয়। আপনি যদি অর্থকরী পশুসম্পদ তোষণবাজী আর মেকী ধর্মনিরপেক্ষতার নামে খেয়ে ফেলতে চান তাইলে সেটা তো দেশের স্বার্থে করতে দেওয়া যায়না, আর যথেচ্ছাচারে অর্থকরী পশুসম্পদ ধ্বংস করলে কি হয় সেটা বামপন্থী কিউবা জানে, তাই ওখানে গোহত্যা করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ।
লিঙ্ক –

http://blog.victimsofcommunism.org/the-land-where-beef-is-banned/

http://articles.chicagotribune.com/2004-03-18/news/0403180191_1_pedro-alvarez-cattle-cuban-economy

এদের বাবা কিউবা করলে ঠিক, হিন্দুরা করলে বেঠিক, কারণ এরা অন্ধ হিন্দুত্ব বিরোধী । এবার অন্তঃসার শূন্য উপর চালাক মাকুরা তেড়ে ফুঁড়ে বলে উঠবে – কিউবা মোটেও ধর্মীয় কারণে গো হত্যা নিষিদ্ধ করে নি। আরে, মূর্খের দল, কিউবা যে কারণে গো হত্যা নিষিদ্ধ করেছে, ঠিক সেই কারণটাই যদি হিন্দুদের গরু সংরক্ষণের ধর্মীয় আবেগের পেছনের কারণ হয়ে থাকে, তবুও সেটা ধর্মীয় গোঁড়ামি? কারণ এটা হিন্দুদের ধর্মীয় আবেগ, তাই এর বিরোধিতা করতেই হবে, তাই না কমরেড ! কমরেড, এটাই যে আসলে গোঁড়ামি !

সে যাই হোক, ঠিক এই রকম কারণেই ইউরোপের অনেক দেশে যুদ্ধ জয়ের অবদানের জন্য কুকুর আর ঘোড়ার মাংস নিষিদ্ধ। সবটাই কৃতজ্ঞতা বোধ, এর বাইরে আর কিছুই না। বিশ্ব মানব সবজান্তা গ্রন্থ কীট মাকুরা সবই জানে কিন্তু সবই । কিন্তু জেনেও এই নিষিদ্ধকরণকে ধর্মীয় বলছে, কারণ এরা ইসলামের গর্ভস্রাব । দোষ নেই, এদের রক্তই সেটা বলাচ্ছে।
ঐ যে টিক্কা খান বলেছিল…।

এবার যখন স্পষ্ট হয়ে গেলো যে কোন হিন্দু আবেগের ভিত্তিতে নয়, সংবিধানের ভিত্তিতেই আইন হয়েছে তাহলে আসুন গোঁড়ামির কথায়। এক সম্প্রদায় তাদের কৃষিজীবী প্রকৃতিবাদি সভ্যতার ঐতিহ্য বজায় রেখে একটি প্রাণীকে তার হাজার হাজার বছরের অবদানের জন্য আদর করে, আরেক সম্প্রদায় অকারণে সংগঠিত মঝবজনিত অন্ধ গোঁড়ামির বশে একটি প্রাণীকে ঘৃণা করে, দুটোই আবেগ। এবার আপনারা এক সম্প্রদায়ের আবেগ নিয়ে খিল্লি করবেন, তাদেরকে একটি উপকারী প্রাণীকে খেতে বলবেন, তাদের মধ্যে কিছুজন খাবেও, আরেক সম্প্রদায়কে ভয়ে আতুপুতু করে চলবেন – এটা তো সহিহ ধর্মনিরপেক্ষতা নয় কমরেড। এক সম্প্রদায়ের বেশ কিছু মানুষ যখন তাদের সম্প্রদায়ের উপকারী আদৃত প্রাণী খাচ্ছে কিন্তু আরেক সম্প্রদায়ের কেউই তাদের সম্প্রদায়ের অকারণে ঘৃণিত প্রাণী খাচ্ছে না – তাহলে সেই ধরনের একতরফা উদারতা তো বেশিদিন থাকে না। সমাজ একটা জীবকোষের মতো, জীবকোষে যেমন একটা অঙ্গাণু পচে নষ্ট হলে অন্য অঙ্গাণুরাও নষ্ট হতে শুরু করে – সমাজেও তেমনি এক সম্প্রদায় ধর্মনিরপেক্ষ, লিঙ্গনিরপেক্ষ আইন কিছুই না মেনে আবেগ নিয়ে ধর্ম নিয়ে গোঁড়ামি করতেই থাকলে অন্যান্য সম্প্রদায়ও তাদের দেখে গোঁড়া হবেই এবং সেদিকে আঙ্গুল তুলবেই। এর একমাত্র সমাধান কট্টরভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা স্থাপন করা, ভারতে সেটা করার ব্যাবস্থা বাবাসাহেব আম্বেদকর করেই গেছেন, আর সেটা হোলো, অভিন্ন দেওয়ানী আইন, যেটাকে দরকার হলে সেনা নামিয়ে শুরু করতে হবে ও মানাতে হবে। নচেৎ এভাবে একতরফা ধর্মনিরপেক্ষতার ফলাফল পাল্টা উগ্রতা হলে প্রতিক্রিয়াশীল উগ্রদের দোষ দেওয়া যাবে না, তারা উগ্রতা শুরু করেনি, তারা প্রতিক্রিয়া করেছে মাত্র ।

দেশদ্রোহী ইসলামপন্থী গদ্দার বামপন্থীরা দেশকেও মা হিসাবে দেখতে নারাজ। কারণ হাতড়ে কোন লাভ নেই। কারণ শুধু একটাই তুতুভাইদের দেশদ্রোহীতাকে আড়াল করা। সবার আগে ধর্মকে রাখা তুতুভাইদের ধর্মান্ধতার কারণে ‘বন্দেমাতরম’ বলতে না চাওয়াকে কভার করা, যাতে আমরা এটাকে শুধু ওদের চাওয়া বলে আলাদা করতে না পারি। যেমন, ওমর খালিদরা যে শুধু ইসলামিক কাশ্মীরের আজাদি চায় তা নয় , কানাইয়ারাও জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের যুক্তিতে (কাশ্মীরী পন্ডিতরা কিন্তু কাশ্মীরী জাতির অংশ নয়) অতীতের ইসলামিক পাকিস্তানের দাবির মত ইসলামিক কাশ্মীরের দাবিকে সমর্থন করছে । দুই চাওয়াকে এখন কিভাবে আলাদা করবেন, শুধু ওদের চাওয়া বলবেন ? কিভাবে সন্ত্রাসবাদী ইশরাত জাহান, আফজাল গুরুকে সমর্থন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে চালিত করা, অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন বা তিন তালাক বিলের বিরোধিতাকে শুধু একটা সম্প্রদায়ের সাম্প্রদায়িক চাহিদা বলে চিহ্নিত করবেন? সবগুলির সঙ্গেই যে ওরাও আছে, জন্ম লগ্ন থেকেই ওদের সব চাওয়াই যে একটি সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট । শুধু ওদের আড়াল করার জন্যই।

সত্যিই তো, দেশ আবার মা হয় কী করে…!
অথচ অনেক দেশেই দেশবাসীরা দেশকে মা বলে, এই দেশের বাম্বাচ্চাদের বাবা কমিউনিস্টরাও….!

নিচের লিঙ্কটা দেখুন, এইটা হচ্ছে মহান কমরেড জোসেফ স্ট্যালিনের নামাঙ্কিত স্ট্যালিনগ্রাদের যুদ্ধের স্মরণে তৈরি রাশিয়ামাতার মূর্তি। সোভিয়েত রাশিয়ার সময়েও রাশিয়ামাতা নামক এক বিশাল মূর্তি স্থাপন করে দেশমাতৃকাকে সম্মান জানানো হয়েছিলো, তাহলে কি সারা পৃথিবীর বামেরা ওই মূর্তির সাথে বা রাশিয়ায় গিয়ে সেখানকার মাটিতে বীর্য ঢেলে সেখান থেকে বাচ্চা উৎপাদন করিয়ে নিয়ে আসে ! বাম্বাবারা কি এটার সাথে ইয়ে করে বাম্বাচ্চা উৎপাদন করে, অতো বড়ো যন্ত্র বাম্বাবাদের থাকে নাকি আর থাকলেও সেটা কি ভেঙে যায়না ?? বাংলাদেশী ছাগুরাও তো দেশকে মা বলে, জানতে ইচ্ছে করে এরা কি বাংলাদেশের মাটি ফেটে বেরিয়ে ছিল কিনা আর এতো এতো বীর্য্য ঢেলেছে কে ! জাতির জনক শেখ মুজিব?

https://www.alamy.com/stock-photo-statue-of-mother-russia-rodina-mat-or-motherland-calls-on-mamai-hill-41875672.html

এবার বলুন, এই দেশের বামপন্থীরা ঠিক কোন কারণে দেশকে দেশমাতৃকা হিসাবে দেখার বিরোধী – কাদের ধর্মান্ধতাকে আড়াল করতে, কাদের দেশদ্রোহীতাকে আড়াল করতে, কাদের ধর্মীয় সত্তার প্রাবল্যের কাছে যে ভারতীয় জাতীয় সত্তা কিছুই নয় – সেই সত্যটা আড়াল করতে?

আমি শাস্ত্রজ্ঞ নই, ধর্মেও মতিগতি নেই। আমি তাই ধর্মের বাইরে থেকেই হিন্দুদের গরুকে মা বলার কারণ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। এ ব্যাপারে শাস্ত্র বা ধর্ম কেউ আনলে কমেন্ট বক্সে আনতে পারেন।