চীনে উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্যাতনের ফল যদি হয় করোনা ভাইরাস গজব, তাহলে প্রথম প্রশ্ন চীন সরকারের কাজের ফল কেন সাধারণ মানুষ ভোগ করবে? চীন কসিউনিস্ট সরকারের কাউকে তো এই ভাইরাসে আক্রান্ত করতে পারেনি। চাইনিজ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যদি করোনা ভাইরাসে মারা যেতো তাহলে না হয় কথা ছিলো। কিন্তু আমরা আশ্চর্য হয়ে দেখব পৃথিবীর ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের বৃহৎ একটি অংশ অপঘাতে নয়ত রোগশোকে মৃত্যুবরণ করেছেন! এদের সকলের প্রায় সবাই হয় নিজেই ঈশ্বর নয়ত স্বয়ং ঈশ্বরের প্রতিনিধি। অথচ এদের মৃত্যুর কারণ জানলে এদের সঙ্গে তথাকথিত ঈশ্বরের কোন যোগ আছে বলে বিশ্বাস করা কঠিন। কেউ বিষ খেয়ে, কেউ খুন, কেউ ক্যান্সারে ভুগে মারা যান। ঈশ্বর তাদের বাঁচতে পারল না কেন?
এবার আসুন কে কিভাবে মারা যান দেখে নেয়া যাক-
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ : তীর নিক্ষেপে নিহিত
ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র : বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা
রামকৃষ্ণ পরমহংস : গলায় ক্যান্সার
শ্রীচৈতন্যদেব: হত্যা ও লাশ গুম
যীশুখ্রিষ্ট : ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা
হযরত মুহাম্মদ: বিষ প্রয়োগ এবং চার বছর বিষক্রিয়ায় ভুগে মৃত্যু।
হযরত ফাতিমা : তলোয়ারের আঘাতে গর্ভপাতে মৃত্যু
হযরত আলী : ছুরিকাঘাতে মৃত্যু
হযরত ওমর : ছুরিকাঘাতে মৃত্যু
হযরত ওসমান : ছুরিকাঘাতে মৃত্যু
ইমাম হোসেন : বিষ প্রয়োগে মৃত্যু
ইমাম হোসাইন : জবাই করে মাথা আলাদা করে ফেলা হয়
গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী : গুপ্ত হত্যার শিকার
সংক্ষিপ্ত একটি তা্লিকা দিলাম যারা সুপরিচিত।এরা ছাড়াও বহু পীর আউলিয়া বাবাজী মাতাজী কঠিন রোগভোগে মৃত্যুবরণের ইতিহাস আছে। আছে অপঘাতে মৃত্যুর ইতিহাস। এরা নিজেদের সঙ্গে তাদের কথিত ঈশ্বরের নিয়মিত যোগাযোগ থাকার কথা জানাতেন। দেওয়ানবাগী হুজুর প্রতি বৃহস্পতিরবার এখনো ঢাকা থেকে আল্লার আরসে ভ্রমণ করতে যান। সেই বাবাজীও কিছুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলো জটিল শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে। এছাড়া আহমদ শফী বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলো। বয়সজনিত কারণে তার শরীরে নানা রকম অসুখ বাসা বেধেছে। এইগুলো আসলে কিসের গজব ভক্তরা সে প্রশ্ন তোলে না। এরা শুধু সাধারণ মানুষ যখন বন্যা ভূমিকম্প অগ্নিকান্ডে মহামারীতে মারা যায় তখন তার মধ্যে গজব দেখতে পায়! নিজেদের কথিত মহাপুরুষরা অপঘাতে মরলেও কেন এরকম মৃত্যু হলো সে প্রশ্ন কখনোই নিজেকে করে না…।