মিজানুর রহমান আজহারি কমপক্ষে তিন লক্ষ এবং সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা হাদিয়া নেন।

লিখেছেন: Omi Rahman Pial ভাই
মিজানুর রহমান আজহারি তার প্রতিটি মাহফিলের জন্য সময়ভেদে (মানে ঘন্টার হিসাব) কমপক্ষে তিন লক্ষ এবং সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা হাদিয়া নেন। এই টাকা তাকে বুকিং করার সময় পুরাটা বুঝায়া দিতে হয়। অনেক জায়গায় তারে হেলিকপ্টার ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয়। মাহফিল শেষে অনেক ভক্ত তাকে ক্যাশ টাকা উপহার দেন। সেটার পরিমানও সব মিলিয়ে লাখের কম না। শীত সিজনে কমপক্ষে একশো মাহফিল করেন আজহারি। সে হিসেবে তার আয় তিন থেকে পাচ কোটি টাকা। গড়ে ধরলাম ৪ কোটি।
আজহারি বাংলাদেশে থাকেন না। তিনি মালয়েশিয়া থাকেন। সেখান থেকে অক্টোবর মাসের শেষের দিকে আসেন, ফেব্রুয়ারির শুরুতে ফিরে যান। কিন্তু এই যে চার কোটি টাকা গড় আয়, সেখান থেকে তিনি একটা টাকাও বাংলাদেশ সরকারকে আয়কর দেন না। এই টাকা বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকেও রাখেন না। তাহলে টাকাগুলা কই যায়? এই টাকা তিনি মালয়েশিয়াতে পাচার করে দেন। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে বৈধপথে টাকা পাঠানোর উপায় নাই। আজহারি অবৈধপথে অর্থাৎ হুন্ডির মাধ্যমে এই টাকা পাচার করেন। এটারে বলে মানি লন্ডারিং। আইনের চোখে অত্যন্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বাংলাদেশের এনবিআর এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আজহারির অবৈধ পথে টাকা পাচারের তদন্ত করা জরুরি এবং এজন্য বাংলাদেশের ফৌজদারী আইনে তার নায্য শাস্তি দাবি করছি…