“জাতীয়তাবাদ” নাকি
“দেশদ্রোহীতা”
———————————————
——————–
1985 সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী
রাজীব গান্ধী আসাম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন
তথা “আসু “ এর সঙ্গে চুক্তি করেন 1971 এর
পর যারা আসামে এসেছে, তাদেরকে
আবার ফেরৎ পাঠাতে হবে। এই চুক্তির
জন্য সংবিধান সংশোধনও হয়। এই
পরিপেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের
নির্দেশে আসামে NRC এর
প্রক্রিয়াকরণ হচ্ছে। NRC —- The National
Register Certification.
এই প্রক্রিয়াকরন বিজেপির
এজেণ্ডাতেও ছিল এবং সেটা কোন
জবরদস্তি বা অনৈতিকভাবে করা হয়
নি — সুপ্রিম কোর্টের আদেশে করা
হয়েছে। তাই বিশেষ সম্প্রদায়ের
তুষ্টিকরণের সাম্রাজ্ঞী দিদি যতই হই
হুল্লোড় করুন —- পশ্চিম বঙ্গের অবোধ
মানুষদের বোকা বানালেও
সংবিধানের বিরুদ্ধে যেতে পারেন
না। 40 লক্ষ অবৈধ অনুপ্রবেশকারী
চিহ্নিত হলেও 37 লক্ষ দিদির পরম
স্নেহভাজন। আর সেই জন্যেই দিদির এত
লম্ফঝম্প। কারণ নিজের থেকে
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের তাড়িয়ে
দেওয়ার সময় দিদি অদ্ভুত ভাবে নীরব
থাকেন। এখানে এক তীরে তিনি দুই
নিশানা লাগিয়েছেন —- নিজের
সাম্রাজ্যে ওই বিশেষ সম্প্রদায়ের
তুষ্টিকরণ করে মন জয় এবং ভোট
ব্যাঙ্কের জন্য 37 লাখকে ইণ্ডারেক্ট
আশ্রয়ের আশ্বাস। যার মানে —
আমাদের আরও সর্বনাশ।
দিদির পাগলামোর বিরুদ্ধে কিছু
যুক্তি পেশ করি। দিদি ভুজুং ভাজুং
গোবেচারা বাঙালিদের অনেক কিছু
ভুল ভাল বোঝান। তাই সবার জানা
উচিত — “শরনার্থী” ও “অবৈধ
অনুপ্রবেশকারী” এর মধ্যে পার্থক্য।
শরণার্থী ঃ- অন্য ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতির
কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা
উৎপীড়িত হয়ে যখন নিজের জীবন
রক্ষার তাগিদে অন্য একটি ভূখণ্ডে
আশ্রয় ভিক্ষা করেন তখন তাদের বলা হয়
শরণার্থী।
অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ঃ- অন্যদিকে
উন্নততর জীবনশৈলি বা জীবিকার
সন্ধানে বা সন্ত্রাসবাদী কাজ কর্মের
জন্য কেউ অন্যের ভূখণ্ডে অবৈধ ভাবে
প্রবেশ করে তারা হল অনুপ্রবেশকারী
— অবৈধ অনুপ্রবেশকারী।
সব চেয়ে দুঃখের বিষয় হল —- এই অবৈধ
অনুপ্রবেশকারীদের জন্যে সর্বদা গলা
ফাটান, ওনার প্রাণ কাঁদে! উনি
সন্ত্রাসবাদী রোহিঙ্গাদের জন্যে
কাঁদেন। আজ আসামে অবৈধ 37 লাখ
অনুপ্রবেশকারীর জন্যেও কাঁদছেন! শুধুই
কি “গদি” বড় — দেশ কিছুই নয়??
যেখানে “অবৈধ অনুপ্রবেশকারী” এক
জাতীয় মহা সমস্যা — আসাম সরকার
“তুষ্টিকরণ”এর ভোট ব্যাঙ্কে না গিয়ে
এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিল জাতীয়
স্বার্থে —- সেখানে তার প্রশংসা
না করে “নির্লজ্জ বিরোধীতা” —-
এটা কি “জাতীয়তাবাদ” নাকি
“দেশদ্রোহীতা”??