তা নোবেল উনি পাবেন না তো কি আমার পাশের বাড়ির ভোলা পাবে!?

দিলীপবাবু ভূল কিছু বলেন নি৷ অমর্ত‌্য সেন নিজের বাঙালী স্ত্রী কে ছুঁড়ে ফেলে সাদা চামড়ার লোভে এক শ্বেতাঙিনী কে    বিয়ে করেছেন. সেই স্ত্রীর মৃত্যূর পর আরেক শ্বেতাঙিনী বিয়ে করেছেন৷ তৃতীয় বিয়ে করেছেন যখন প্রথম দুই পক্ষের ছেলে মেয়েরা বাপ মা হবার বয়সে পৌঁছে গেছে৷ মোদীকে‌ গালমন্দ করা ছাড়া উনি ভারতবর্ষ সম্পর্কে আর ঠিক কি ভেবেছেন সেটা সত্যিই খুঁজে পাওয়া কঠিন৷

অমর্ত্য সেন যখন নোবেল পান, তারপর ১০ বছর কংগ্রেস রাজত্ব করেছে দেশে, বাম রাজত্ব করেছে বাংলায়, তৃণমুল করছে। বিজেপি র কোনো কানেকশন ই ছিলো না!! তা আমি জানতে চাই তাঁর গবেষণা ও নোবেল পাওয়াতে দেশ ও বাংলা র অর্থনীতি তে কি মহান পরিবর্তন এসেছে?

১৯৯১ থেকে অমর্ত্য সেন এর তৃতীয় স্ত্রী হলো এম্মা রথসচাইল্ড ৷ যারা একটু বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে জ্ঞান রাখেন তারা নিশ্চই এই রথসচাইল্ড পরিবার সম্পর্কে অবগত৷ পৃথিবীর সব থেকে ক্ষমতাশালী ও ধনী দুটি ফ্যামিলি হলো রথসচাইল্ড এবং রকেফেলার! রথসচাইল্ড আধুনিক ব্যাঙ্কিং ব্যাবস্থার জনক৷ এই দুই ফ্যামিলি পৃথিবীর বেশিরভাগ অর্থ ও অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে৷ তা ঐরকম এক মহান ক্ষমতাশালী পরিবারের জামাই হলো আমাদের অমর্ত্য সেন৷ তা নোবেল উনি পাবেন না তো কি আমার পাশের বাড়ির ভোলা পাবে!

অমর্ত্য সেনকে দিলীপ ঘোষ মেরুদণ্ডহীন বলেছেন। এ নিয়ে কতগুলো চামচ‌িকের বুকে বড় ব্যাথা জেগেছে৷। তাঁদের এই প্রতিবাদ সব ক্ষেত্রে দেখা যায়না, সময় ও সুবিধা অনুযায়ী তাঁদের এই প্রতিবাদ শামুকের খোলশ ছেড়ে বেরোয়।

কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে, দেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর মাথা কেটে আনার ফতোয়া দিয়েছেন ইমাম বরকতি। কই তখন তো বাংলা মিডিয়াগুলো আর এই সমস্ত প্রতিবাদীদের টিকি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও নোবেল জয়ী, যে রাজনৈতিক দলটি রবি ঠাকুরকে ‘বুর্জোয়া কবি’ বলে লেবেল সেঁটেছিল, তাদের কি লজ্জা করছেনা আজ? অমর্ত্য সেনের অবদান কি স্বামী বিবেকানন্দের চেয়েও বেশী? যারা একদিন স্বামীজীকে ‘আমেরিকার দালাল ‘ আখ্যা দিয়ে অপমান করেছিল, তাদের কি আজ লজ্জা করছেনা? অমর্ত্য সেনের অবদান কি নেতাজীর চেয়েও বেশী? যারা একদিন নেতাজীকে ‘তোজোর কুকুর’ আখ্যা দিয়েছিল সেই সুবিধাবাদীদের এখন প্রতিবাদ করতে লজ্জা করেনা?v আমি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে সমর্থন করি অমর্ত্য সেনকে সমর্থন করিনা। কারণ উনি নিজের কথা রখেননি। উনি বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে উনি ভারতে থাকবেন না। মানে দেশের জনমতকে দেশের সংবিধানকে যিনি  অস্বীকার করেন তিনি নোবেলজয়ী  বিদ্বান I

এই হচ্ছে সেই অমর্ত্য সেন যিনি এপিজে আব্দুল কালাম স্যার কে নালন্দা থেকে তাঁড়িয়েছিলেন. ব্যথিত হৃদয়ে কালাম স্যার ২০১১ এর জুলাই মাসে তৎকালিন বিদেশ মন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন অরাজকতার কথা। এসব  কারো মনে নেই বুঝি?