শরণার্থী কারা? সাম্প্রতিক রাজনৈতিক তরজা ও লোকদেখানো মানবতার কূটকাচালীর ফাঁকে যদি সময় হয়, তাহলে রাষ্ট্রসংঘ নির্ধারিত “শরণার্থী” র সঙ্গাটা একটু দেখে রাখা ভাল।
“A refugee is someone who has been forced to flee his or her country because of persecution, war, or violence. A refugee has a well-founded fear of persecution for reasons of race, religion, nationality, political opinion or membership in a particular social group.”
“A refugee is someone who has been forced to flee his or her country because of persecution, war, or violence. A refugee has a well-founded fear of persecution for reasons of race, religion, nationality, political opinion or membership in a particular social group.”
এই সংজ্ঞা অনুসারে, কর্মের সন্ধানে এক দেশ থেকে অন্য দেশে চোরাগোপ্তাভাবে ঢুকে পড়া মানুষজনকে কখনোই শরণার্থী বলা যায় না। বরং তাদের অনুপ্রবেশকারী বলাই অধিক সঙ্গত।
কিন্তু আপনাদের ঠিক এটা জানা নেই যে,… উপরোক্ত অনুচ্ছেদটিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের “শরণার্থী”র সংজ্ঞা নির্ধারিত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ভারত সরকার তা মানতে আদৌ বাধ্য নয়। কারণ সম্ভবতঃ ১৯৫১ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের গৃহীত Charter Of Refugees সনদে ভারত স্বাক্ষর করে নি।
তার আগেই ১৯৪৭ সাল থেকে পাকিস্তান থেকে যেসকল হিন্দু ও শিখ’রা এদেশে এসেছিল, তাদেরকে চলতি কথায় রিফিউজি বলা হলেও তারা কখনোই ভারতে শরণার্থী ছিল না। শরণার্থী মানে যে আশ্রয় (refuge) প্রার্থনা করে। অর্থাৎ দয়া প্রার্থী। পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু শিখরা ভারতের দয়াপ্রার্থী ছিল না। ভারতে আসা টা তাদের কাছে ছিল অপশন। সেই অপশন তারা নিয়েছে এবং তাদের অধিকারে এখানে এসেছে। তারা আশ্রয় প্রার্থী ছিল না। তাদের আসা টা ছিল part of the process of Partition of India. ঠিক যেমন করে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সরকারি কর্মচারীরা অপশন নিয়ে কেউ ভারতে এসেছে, আবার কেউ পাকিস্তানে গিয়েছে,- ঠিক যেমন করে সরকারী কোষাগারও ভাগ হয়েছে।
…. আর এ সবই ছিল Process of Partition. দেশভাগের পর উভয় দেশের হিন্দু ও মুসলমানের দেশ বদলা-বদলি করা ও ছিল ঠিক তেমনই Process of Partition.
পূর্ব পাকিস্তান এর ক্ষেত্রে সেই সুযোগ ১৯৭১ সালেই শেষ হয়ে গেছে। কারণ সেই দেশ ভেঙে গিয়ে নতুন দেশ তৈরী হয়েছে। এবং ইন্দিরা – মুজিব চুক্তির মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের পর যারা বাংলাদেশ থেকে এখানে আসবে তারা বিদেশী বলেই গণ্য হবে।
আবার শুনে রাখুন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিফিউজি সংজ্ঞা ভারতের জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে ভারত স্বেচ্ছায় তা গ্রহণ করতে পারে।
তবে, আমি খুব অবাক হয়ে গেছি এটা দেখে যে শ্রী তথাগত রায়ের মত জ্ঞানী মানুষও ওই একই রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিফিউজি সংজ্ঞার কথা বার বার বলছেন!
সৌজন্যেঃ শ্রী Prabir Majumder এবং শ্রী Tapan Ghosh…