আপনি যে হিন্দু সেটা বুঝবেন কি করে?????
” তোমার দূর্গা সোনা পরে হাজার আলোর ভিড়ে
আমার দূর্গা ফুটপাতে থাকে জোটেনা তার চিঁড়ে”
(সঙ্গে একটা শ্যামবর্ণ বাচ্চা মেয়ের ছবি যার জামা ছেঁড়া, লাস্ট ৫ বছরে কোটেশান রিপ্লেস হয়েছে কিন্তু মেয়েটির একটুও বয়স বাড়েনি)
“প্লিজ তুবড়ি জ্বালাবেন না, বাজী ফাটাবেন না, আমরা এ্যাস্থমার পেশেন্ট আমাদের নিশ্বাস নিতে দিন”
(সঙ্গে দুটো সিঙ্গাপুরী বাচ্চার ছবি)
“আমাদের গায়ে রং দেবেন না, আমরা স্নান করি না
(সাথে কুকুরের ছবি)
“ড্রাই দোল উৎসব পালন করুন, জলের অপচয় বন্ধ করুন”
সাথে (মাউন্ট এভারেস্ট শুকিয়ে যাওয়ার ছবি)
“গনপতি কিভাবে যে মরিয়া হয়ে উঠলেন এত কে জানে!”
“সালা খোট্টার বাচ্চারা গঙ্গার ঘাট নোংরা করে ছট পুজো করছে, পলিউশন বাড়াচ্ছে”
“বাঙ্গালির আবার রামনবমী কি বে? যত সব গো বলয়ের কালচার, রাম উত্তর ভারতের দেবতা…”
“ধনতেরাসের জন্য কালিপুজো নষ্ট হচ্ছে”
(সঙ্গে ২০ নাম্বারের এক্সপ্লানেশান আর যিনি এক্সপ্লেন করছেন তিনার প্রোফাইলে লেখা আমি নাস্তিক)
*****আগামী দিনে যেগুলো দেখা যেতে পারে!******
“হিন্দুমতে বিয়ে করবেন না প্রচুর ইলেক্ট্রিসিটি খচ্চা হয়”
(সঙ্গে সুকান্তর লাইন, এ পৃথিবীকে শিশুর বাস যোগ্য করে যাব আমি)
“আপনার সরস্বতী বিদ্যার দেবী বই পায়ের কাছে
আমার সরস্বতী খেটে মরে সমাজ বাঁচে তাতে”
(সাথে আমারই মত কোন গরীব টিউশন টিচারের ছবি)
যাই হোক এখানেও ছেড়ে দিলেই বন্ধুরা বুঝে যাবেন আমি ঠিক কি বলতে চাইছিলাম। উপরোক্ত সবকটি উৎসবই কিন্তু হিন্দুদের। এছাড়াও ভারতে আরোও ভয়ঙ্কর সব উৎসব হয়ে থাকে সেগুলো নিয়ে আপনি কোন পোস্টার কোথাও দেখতে পাবেন না, যেমন খ্রিস্টমাসের আগে,
“আপনার যিশু খায় কেক পেস্ট্রি
আমার যিশুর বাসী খাবারই টেস্টি”
(সঙ্গে কোন বাচ্চার ছবি)
কিংবা
বকর ইদের দিন যেদিন কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তের নালীগুলোও লাল হয়ে যায় সেদিন ফেবুতে কোন পোস্টার দেখবেন না, যেখানে গরু, ভেড়া, ছাগলরা বলছে
“ডিয়ার মেসোমশায় আমাদের মারবেন না!”
তো বুঝলেন কিনা আপনি হিন্দু, কখনো সমাজ, কখনো পরিবেশ আবার কখনো জাতির দোহাই দিয়ে আপনার উৎসব আটকানো হবে, কারন মেইন অ্যাটেনশন হল আপনার উৎসব বন্ধ করে দেওয়া। যে কোন উৎসব একটি জাতির মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি করে, আনে ইউনিটি, ব্যাস ওখানেই আঘাত করো, পুরো জাতি দুর্বল তখন আর এমন কি আর একবার বিভাজনের, অথবা এবার পুরোটাই….
তো যেটা বলছিলাম আচ্ছা এদের যে এই সব ভাঁটের পোস্ট এরা করছে আর আপনি শেয়ার করছেন তাতে কি
আপনার দূর্গাটি চিঁড়ে পেল?
মাউন্ট এভারেস্টে পুনরায় বরফ জমা শুরু হল?
হয় না স্যার, সারাবছর বাথরুমের জলের ট্যাবটা ঠিকঠাক বন্ধ করে রাখলে জল বাঁচবে। এর জন্য একদিনের দোল উৎসবের রংমাখামাখির মাধ্যমে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়াটাকে বন্ধ করার খুব একটা প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয়না। অন্তত আমি আমার এলাকায় থাকা অভুক্ত বাচ্চা দূর্গাগুলো খাওয়ানোর জন্য ফেবুতে দূর্গাপুজো বন্ধ করার অনুরোধ জানাবো না, নিজে ওদের খাওয়ার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করব, না হলে বন্ধুদের সাহায্য চাইব। দূর্গাপুজোয় হওয়া ব্যবসার আয় থেকে অনেক গরীব ফ্যামিলির তিন চার মাসের
অন্নসংস্থান হয়। সেটা না হয় বাদ দিলেন, কিন্তু কারও ভালো করার জন্য নিজের ইচ্ছেটাই যথেস্ট। করব বললেই করা যায়, আর ছুপা অ্যান্টি হিন্দু এজেন্ডা ছড়াবো বললে সেটা আলাদা ব্যাপার।
তাই আমাদের প্রতিটা উৎসবের আগে এই ধরনের ছ্যাবলামি করা যে কোন পাবলিক যদি আমার প্রোফাইলে থাকেন তিনি বিদায় হতে পারেন, না হলে আমার চোখে ওই ধরনের পোস্ট পড়লে উপযুক্ত বাণী সহকারে ছাঁটাই করব।
আর আমার বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলব আপনারা নিজেরাই ভাবুন…..
Copied from jishnu Gupta