শুধু বেঁচে থাকুক আপনাদের এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।

একজন হিন্দু ডাক্তার একজন মুসলমান রোগীর চিকিৎসা করছেন। দেখা মাত্রই ক্যামেরা হাতে নিন, ছবি তুলুন এবং ক্যাপশন দিন- ‘আমার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ’।

একজন হিন্দু বিউটিশিয়ান একজন মুসলিম আপুর ভ্রু-প্লাক করে দিচ্ছেন। চটজলদি ছবি তুলে ফেলুন আর লিখুন- ‘আমার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ’।

একজন মুসলমান ট্যাক্সি ড্রাইভার একজন হিন্দু যাত্রীকে তার গন্তব্যস্থলে নামিয়ে দিচ্ছেন। ছবি তুলুন আর লিখুন- ‘আমার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ’।

এই পূজোয় নিশ্চয় অনেক মুসলমান দর্জি হিন্দু দিদি, দাদাদের কাপড় সেলাই করে দিচ্ছেন। এখুনি সুবর্ণ সুযোগ, ছবি তুলুন এবং লিখুন- ‘আমার প্রিয় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ’।

এছাড়া পূজা মন্ডপে অনেকেই হয়ত মাইক, জেনারেটর ভাড়া করেছেন। যিনি ভাড়া দিয়েছেন উনি যদি মুসলমান ধর্মের হয়ে থাকেন তবে এখুনি দৌড়ে যান এবং ছবি তুলে ক্যাপশন লিখে দিন- ‘আমার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ’।

আরও ভালো হয় গয়েশ্বরের পাশে তেঁতুল হুজুরকে বসিয়ে একটা ছবি তুলে দিয়ে দিতে পারলে। ১২মাসের মধ্যে ১০ মাস লাথির উপরে থাকবেন আর বাকী ২মাস এমন সব ছবি খুঁজে নিয়ে ‘এটাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ বলে হাক্কাহুয়া তুলবেন।
 
হারিয়ে যাক তুলসি রানি এবং উনার গর্ভে মরে যাওয়া সন্তান, হারিয়ে যাক ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হারিয়ে যাক নাসিরনগর, হারিয়ে যাক শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত, হারিয়ে যাক দেশ ছেড়ে যাওয়া সংখ্যালঘুদের চাপা কষ্ট, শুধু বেঁচে থাকুক আপনাদের এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।