বাঙালি হিন্দুকে তার শেষ আশ্রয়স্থল প্রদান করা|

ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগ হল| হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাতের ভিত্তিতে নির্ধারিত হল কোন কোন অংশ ভারতে থাকাবে আর কোন কোন অংশ পাকিস্তানে যাবে| সম্পূর্ণ বাংলাকে কৌশলে পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত করার চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়ে বাঙালি হিন্দুর শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে ছিনিয়ে নেওয়া হল যে ভূখন্ড, তার নাম হল পশ্চিমবঙ্গ| অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের জন্ম নেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল বাঙালি হিন্দুকে মুসলিম শাসনের অধীনতার হাত থেকে রক্ষা করা, বাঙালি হিন্দুকে তার শেষ আশ্রয়স্থল প্রদান করা|

কিন্তু ৪৭ এর পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের জনচরিত্রও বদলে যাচ্ছে নিঃশব্দে| সেদিন ছিল প্রায় ২০%, আজ প্রায় ৩৩%| তিনটে জেলায় হিন্দুরা সংখ্যালঘু| সম্পূর্ণ জেলা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ না হলেও ২০১১র জনগণনা অনুসারে সীমান্তবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগণার ৭টি এবং উত্তর ২৪ পরগণার ৯টি ব্লকে হিন্দুরা সংখ্যালঘু| বীরভূমের ৩টি ব্লক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ, আরও ৩টি ব্লকে মুসলিম জনসংখ্যা হয়তো ৫০% ছুঁয়ে ফেলেছে এতদিনে|

মোটকথা পশ্চিমবঙ্গের জনচরিত্র বদলানোর যে প্রক্রিয়া চলছে তার একমাত্র উদ্দেশ্য ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানো| একদিকে ধর্মের দোহাই দিয়ে মুসলমানদের জন্মনিয়ন্ত্রণকে অস্বীকার করে জনসংখ্যা বাড়াতে থাকা, পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে অবৈধ মুসলিম অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে পশ্চমবঙ্গের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করা – এই দুটো হল জেহাদীদের পশ্চিমবঙ্গ দখলের প্রধান হাতিয়ার| পশ্চিমবঙ্গকে যদি বাঁচাতে হয়, বাঙালি হিন্দুকে যদি এই মাটি উপরে নিজের সংস্কৃতিকে অবলম্বন করে বাঁচতে হয়, তাহলে এগুলো অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে|

ওদের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমে হিন্দুকে পাঁচটা করে বাচ্চা নিতে হবে – আমি এই তত্ত্বে বিশ্বাস করি না| কঠোর #জনসংখ্যা_নিয়ন্ত্রণ_আইন প্রণয়ন করতে হবে| আইন লঙ্ঘনকারীদের সব ধরণের সরকারী সুবিধা এবং ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে হবে, প্রয়োজনে আরও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে|

বাংলাদেশ থেকে আগত অত্যাচারিত #হিন্দু_শরণার্থীদের_নাগরিকত্ব_প্রদান করতে হবে| পাশাপাশি ১৯৪৭ এর পর বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হওয়া হিন্দুর সংখ্যার সমানুপাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভূমি বাংলাদেশের কাছে দাবী করারও যথেষ্ট ঔচিত্য এবং যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি| এই দাবী আজকে অবাস্তব এবং হাস্যকর বল মনে হতে পারে, ঠিক যেভাবে একদিন ভারতভাগের দাবী অনেক বড় বড় লোকের দৃষ্টিতে fantastic nonsense বলে মনে হয়েছিল| কিন্তু লিখে রাখুন, সুযোগ আগেও আমাদের সামনে এসেছিল এবং ভবিষ্যতেও আসবে|

বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে আগত অবৈধ #মুসলিম_অনুপ্রবেশকারী_বিতাড়ন একটি অত্যন্ত আবশ্যক পদক্ষেপ| এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে, বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হবে| যাদের এদেশে থাকার অধিকার নেই, তারা এদেশের বৈধ নাগরিকদের জমি, ব্যবসা, চাকরী, সরকারী পরিষেবা – সমস্ত কিছুতে ভাগ বসাবে এটা হতে পারে না| উপরন্তু এরা দেশের নিরাপত্তার জন্যও বিপজ্জনক| এদরকে তাড়াতে হবে|

হিন্দু সংহতি সমস্যার সামগ্রিক সমাধান চায়| তাই হিন্দুর সামাজিক প্রতিরোধের প্রস্তুতির সাথে সাথে জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করে নিঃশব্দে পশ্চিমবঙ্গ দখলের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিতে উপরোক্ত তিনটি দাবী নিয়ে রাজ্যব্যাপী আন্দোলনের ডাক দিয়েছে হিন্দু সংহতি| আমাদের কর্মসূচী সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আমরা আপনাদেরকে অবহিত করতে থাকবো| আসুন আমরা সবাই মিলে উপরোক্ত দাবীতে একটি গণ আন্দোলনের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের জন্মের উদ্দেশ্যকে সার্থক করে তুলি|