যে ধর্মতলায় মমতা ব্যানার্জীর সভাতে “লুঙ্গি পরা” দুষ্কৃতীরা হামলা করে ১৩ জন সমর্থককে খুন করে দেয়, যে ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম নির্ভয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দাড়ি কাটার ফতোয়া জারি করে সেই ধর্মতলাতেই হিন্দু সংহতি বুক চিতিয়ে ১৪ জন পরধর্মাশ্রয়ীকে তাদের মুলধারায় ফিরিয়ে আনবে, খোলাখুলি ইসরাইলের দাবীকে সমর্থন করবে আর দালাল মিডিয়া, মেরুদণ্ডহীন প্রশাসন আর তাদের জেহাদি প্রভুরা চমকাবে না, এটাও কি সম্ভব?
মঞ্চের উপর তপনদার উদাত্তকন্ঠে স্বধর্মে প্রত্যাবর্তনের আহ্বানের পর থেকেই প্রেশ্যারা তাদের ষড়যন্ত্র ছকে ফেলেছিল। উদ্দেশ্য একটাই, হিন্দু সংহতিকে বদনাম করা। ইংরেজিতে একটা কথা আছে, before killing a dog, give it a bad name. মানে যে কুকুরের জন্যে চোরের চুরি করতে অসুবিধা হচ্ছে সেই কুকুরকে মারার জন্যে তার সম্পর্কে বদনাম করা জরুরী। প্রেশ্যারাও, একইভাবে, হিন্দু সংহতির এই স্বধর্মে প্রত্যাবর্তনের প্রকল্পকে রুখে দিয়ে নিজেদের খাওয়া নুনের দাম মেটানোর জন্যে হিন্দু সংহতিকে বদনাম করতে চেয়েছিল।
মাত্রাহীন মুসলমান তোষণে মত্ত মমতা ব্যানার্জীর মেরুদণ্ডহীন প্রশাসনের এত দম নেই যে এই জেহাদি ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করবে। তাই সভা শেষ হওয়ার পরে, ঘন অন্ধকারে, খালি সভাস্থল থেকে চুপিচুপি তপনদা কে IPC-র ৩০৭, ৩২৬, ৪২৭ ও ৩৪ ধারায় গ্রেপ্তার করলো কলকাতা পুলিশ। তপনদার এই হঠাৎ গ্রেপ্তারী হিন্দু সংহতির কাছে অনেকটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত হলেও আমাদেরকে তপনদাই শিখিয়েছেন যে পৃথিবীতে সব কাজের জন্যেই নির্দিষ্ট মূল্য দিতে হয়। তপনদা আমাদের বুঝিয়েছেন যে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পান্ডবরা ধর্মের পক্ষে থাকলেও তাদেরকে অভিমন্যু সহ দ্রৌপদীর পাঁচ সন্তান ও ঘটোৎকচকে বলি দিতে হয়েছিল।
তপনদার আদর্শে অনুপ্রাণিত ও তাঁর শিক্ষায় শিক্ষিত হিন্দু সংহতি, প্রশাসন ও মিডিয়াকে শিখণ্ডী বানিয়ে জেহাদিদের ছুঁড়ে দেয়া এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলো। এর উত্তর আমরা উপযুক্ত স্থানেই দেবো। যে কাঠায় মাপ, সেই কাঠায় শোধ।
সংগৃহীত ।