পড়ুন, ভাবুন আর ভাবুন এই সাংবাদিকরা কতটাকায় নিজেদের মাথা রফা করেন যে সিদ্দিক রাজাকারের সভার মারদাঙ্গা তাদের চোখে পড়ে না।

Via Diptarup Samyadarshi

আরেকজন প্রত‍্যক্ষদর্শী, সায়ন পাল লিখলেন আসলে যা ঘটেছিল:
.
ঘড়ির কাঁটা তখন ৪-৩০টা ছুঁইছুঁই। একটা ভিডিও ক্লিপিংস চলছে। তারপরেই হিন্দু সংহতির ২০১৮-এর বার্ষিক অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হবে। হঠাৎ দেখতে পেলাম, সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক সাংবাদিকের সাথে কতিপয় সংহতি সমর্থকদের উত্তপ্ত বাদানুবাদ। তারপর দেখলাম, সেই সাংবাদিককে তার ক্যামেরাসহ মৃদু ধাক্কা প্রদান করে আলি হোসেনের পরিবার থেকে দূরে পাঠানো হল।
.
একটা ১৪ জনের পরিবার,যারা আজই “বিশ্বাসী” থেকে “মুর্তাদ” হল,তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সংহতি সমর্থকেরা প্রতিনিয়ত সেই সাংবাদিককে বলে যাচ্ছিল, “Please don’t do that (interview of Ali Hossain). You are not allowed to do that.”। অথচ, সেই সাংবাদিকও নাছোড়বান্দা আলি হোসেনের ঠিকানা জানবার জন্য,ঠিক কত টাকার বিনিময়ে তিনি ঘর-ওয়পসী করলেন, তা জানার জন্য।মজার কথা,এই সাংবাদিকই কিন্তু কোনোদিন জানতে চাননি,ঠিক কতো টাকার বিনিময়ে একটা হিন্দু মেয়ের রফা হয় তাকে লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলতে পারলে অথবা ঠিক কতো টাকার বিনিময়ে বিশ্বের বৃহত্তম বইমেলায় ফ্রিতে কোরাণ আর বাইবেল বিতরণ হয়!!!
.
আর ঠিক তারপরেই সেই সাংবাদিকের পাশে বসা এক মহিলা সাংবাদিকের উক্তি, “এত ঘটা করে আমাদের ডাকা কেনো, যদি না আমাদের রিপোর্টিংই করতে দেওয়া না হয়?এসব গুন্ডামি দেখানোর জন্য নাকি?”।তখন এক সংহতি সমর্থক তাকে মনে করিয়ে দিলো,মুসলিমদের সভায় তো এর থেকে কয়েকগুণ বেশী বিশৃঙ্খলা হয়,তখন?সেখানে সাংবাদিক কোন ছাড়,আইপিএস অফিসারেরা অবধি মার খেয়ে যায়!!!প্রত্যুত্তরে তার কোকিলকন্ঠ থেকে ভেসে এলো সেই ঐতিহাসিক উক্তি,”একদম ফালতু কথা বলবেন না,ওদের সভায় কিচ্ছু এরকম হয় না,সংহতি মাই ফুট”।এতে সংহতি সমর্থকেরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।পরিস্থিতি ধীরে-ধীরে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে মঞ্চ থেকে তপনদা ও দেবতনুদা নীচে নেমে এসে পরিস্থিতির সামাল দেন।তাদেরকে সেখান থেকে বের করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হয়।তখনও জনৈক এক সংহতি সমর্থকের কথা কানে এলো, “We are extremely sorry for that ma’m”।
.
চুম্বকে এটাই ছিলো “রাণী রাসমণি রোডে হিন্দু সংহতির সভায় সাংবাদিক নিগ্রহ”-এর বাস্তব।
….
পড়ুন, ভাবুন আর ভাবুন এই সাংবাদিকরা কতটাকায় নিজেদের মাথা রফা করেন যে সিদ্দিক রাজাকারের সভার মারদাঙ্গা তাদের চোখে পড়ে না, গা জোয়ারী করে মিথ‍্যা বলতেও আসেন।
এদের ডাকার দরকার কি? আগামীবার থেকে ঢুকলেই বার করে দেওয়া হোক। হিন্দু সংহতি নিজেদের একটা পেশাদারি ওয়েবসাইট বানাক ডকুমেন্ট, ভিডিও সব সেকশন সহ। সেটাই আপাতত চ‍্যানেল হোক সব হিন্দুর।