সম্মিলিত হিন্দু শক্তি, নাকি আঞ্চলিক দলের সাহায্য – কোনটা জরুরি!! কারণ, এটাই শেষ সুযোগ।।।।

অনিন্দিতা Anindita Paul এর দেওয়াল থেকে –

“মোদী ঝড়” ফুটন্ত তপ্ত দুপুরে এক ঝলক শীতলতম ঠান্ডা বাতাসের মত বয়ে চলেছিল ভারতের বুকে।। আমেজে মত্ত ছিলাম আমরা সব পেয়েছির উচ্ছ্বাসে!! ভুলেই গেছিলাম এটা ভারতবর্ষ- ৩৪ টাকা কিলো ডাল, লিটারে ৩৩ টাকায় পাওয়া পেট্রোল, বর্ধমান থেকে দু ঘন্টায় কলকাতা পৌঁছে যাওয়া রাস্তা, বিশ্বকে চমকে দেওয়া পোখরান পরমাণু পরীক্ষণ,, গ্রামের মাটিকে ভিজিয়ে দেওয়া সজল ধারা,,কারগিলে পাকিস্তানকে বিচূর্ণ করা মান্যবর অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারকেও হেরে যেতে হয়েছিল।।

নিশ্চিন্ত হয়ে, একটা মানুষের ওপরে সব দায় চাপিয়ে নিজেদের হিন্দুত্ববাদী বলে চিৎকার করে নেতৃত্বের সাথে ছবি তুলে রাজনীতি করার মাসুল কৈরানার ভোটের ফল!!! যেখানে বিজয়ী ম্যাডাম এই জয় কে “আল্লার জয়, ইসলামের জয়” বলে অভিহিত করেছেন।। এটাই বাস্তব। যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত থাকেন তারা প্রত্যেকে জানেন – ১০০ টির মধ্যে একটি মুসলিমও মোদীজীর প্রধানমন্ত্রীত্বে খুশি নয়,,তারা ওনাকে কোনোভাবেই চায় না।। তারা গুজরাট ভোলে না,আমরা গোধরা কাশ্মীর, কালিয়াচক ভুলে গেছি।। ওরা আফরাজুল, আখলাখ কে ভোলে না। আমরা ইন্দ্রজিৎ, রোহিত, পূজা, হেমন্তকে ভুলে গেছি। ওরা রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাসস্থানের জন্য সচেষ্ট। আমরা হিন্দু শরণার্থীদের “বাঙাল” বলে তাড়ানোয় বিশ্বাসী। আমরা পূজায় মাইক বা বাজিতে আবহাওয়া দূষিত নিয়ে সোচ্চার, তাদের সকাল সন্ধ্যে বিকৃতস্বরে আযানপাঠে আপত্তি নেই!! তারপরে আবার নিজেকে “মানুষ” স্বীকৃতি দেওয়ানোর ইচ্ছায় ফেজ টুপি লাগিয়ে ইফতারে অংশ নেওয়া!! আমাদের কি অসাধারণ ভুমিকা!!!!!! একটা বাচ্চা মেয়েকে রাজনৈতিক স্বার্থে খুন করে হিন্দু মন্দিরের পুরোহিতকে কাঠগড়ায় তোলার ষড়যন্ত্র ফাঁস হতেই মেট্রো কান্ডে নিজেদের ব্যস্ত করে ফেলি!! বুঝতেও পারি না কতবড় ষড়যন্ত্রের শিকার গোটা হিন্দু সমাজ!!! দায় একা নরেন্দ্র মোদীর! কি দেশপ্রেমের পরাকাষ্ঠা আমাদের হিন্দুদের!!!! তবেই না বাজপেয়ী সরকারকেও নতি স্বীকার করতে হয়েছিল কংগ্রেস কমিউনিষ্টদের মত বিদেশী দালালদের কাছে।।।
     ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, মোদিজী দীর্ঘজীবি হোন,,,কিন্তু যদি কোনো অঘটন ঘটে তাহলে?????? কার ঘাড়ে দায় চাপাবো হিন্দুদের?????? ভেবে কখনো দেখেছেন কি????সম্মিলিত বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি তৎসহ ইসলামি জিঘাংসক পরিকল্পনা ভারত গ্রাসের তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো বা পালটা আঘাতের ক্ষমতা আমাদের তৈরি কি??? তা হলে ত্রিলোচন বা দুলালদের এই পরিণতি হয় কি?????
           এটা ভারত,,,আদর্শ, দর্শন, মতবাদ, শৃঙ্খল তখনি সার্থক হতে পারবে যখন নিজেদের সম্পূর্ণ শক্তিশালী করা যাবে।। যুগে যুগে এটাই হয়েছে। ভগবান শ্রী রামকেও নিজেকে বানরসেনা সমৃদ্ধ করে যুদ্ধ করতে হয়েছিল।।
  বাজপেয়ী সরকারের অসামান্য কর্মপদ্ধতির  মধ্যে অন্যতম ত্রুটি ছিল নিজেদের সেকুলার হিসেবে প্রচার। কিন্তু বিজেপি হিন্দুদের,,,এ তকমা ঝেড়ে ফেলতে চাইলেও উপায় নেই,,,অ-হিন্দুরা মানেনা, ভোটও দেয় না।।। তাই ইমামদের পাশাপাশি আজ চার্চের পাদরিরাও আসরে নেমে পড়েছে সরাসরি।
         এবার বিশ্লেষণ করুক হিন্দু ভাইবোন ও নিজেদের হিন্দুত্ববাদী বলা নেতৃবৃন্দ।।  সম্মিলিত হিন্দু শক্তি, নাকি আঞ্চলিক দলের সাহায্য – কোনটা জরুরি!! কারণ, এটাই শেষ সুযোগ।।।।।