রাজনীতির মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক খুঁজতে গিয়ে সর্বহারা বাঙ্গাল রা এখন বিনাশের পথে।

রাজনীতির মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক খুঁজতে গিয়ে সর্বহারা বাঙ্গাল রা এখন বিনাশের পথে
———————————————————————-
বামফ্রন্ট এই সর্বহারা, আপন সমাজ চ্যুত,  দিশেহারা, একাকিত্বে ভোগা , ডিপ্রেসিভ, পরিস্থিতির চাপে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাওয়া  বাঙ্গাল দের অসহায়ত্ব  র সুযোগ নিয়ে, উপকার করার নাম করে,  তাদের কে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য তাদের অবশিষ্ট সামাজিক কাঠামো  ও ফ্যামিলি কাঠামো ভেঙে দিয়ে রাজনৈতিক ভাবে  মেরুকরণ করে দিয়ে এদের কে বিনাশের পথে ঠেলে দিয়েছিলো। বাঙ্গাল রা টের পায়নি।বাঙ্গাল সমাজের হর্তা কর্তা রা বিক্রি হয়ে গেছিলো। তৃণমূল সেই নীতি কে গ্রহণ করে,  পুরো বাঙালির সমাজ কে ভেঙে ১০০% রাজনৈতিক সমাজ বানিয়ে ফেলেছে।

যে দেশেই সমাজ রাজনৈতিক ভাবে ভাগ হয়, সে দেশেই গৃহযুদ্ধ র উপক্রম হয়।রাজনীতি  মানুষ কে বেশিদিন এর জন্য  ইউনাইটেড করতে পারেনি। ইতিহাস তার প্রমান।  হিন্দু সমাজ এমনিতেই হাজার হাজার বছর ধরে কাস্ট , আঞ্চলিকতা বাদ, বৈষ্ণব, শৈব্য, শাক্ত, গুরু বাজি  তে বিভাজিত থাকার কারণে এরা প্রায় একা হয়ে গিয়েছিলো ও একাকিত্বে ভুগতো। আর সেই সুযোগ নিয়েই বিদেশী ধর্মের আক্রমণকারী   রা  আমাদের আক্রমণ  করে , তাদের ধ্বংসাত্মক  অমানবিক নীতির প্রভাব বিস্তার করলো। হিন্দু সমাজ কোনোদিন  সব বিভাজন ভুলে, এক হয়ে, বিদেশী আক্রমণ কারী দের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরতে পারেনি ।

আমাদের গ্রামের ৯৫% একই কাস্ট (অবামুন) এর ছিল. কয়েক ঘর ধোপা,নাপিত   ছিল।  পাশের গ্রামে র হিন্দু রা অন্য কাস্ট (অবামুন) এর ছিল. কোনো কালেই আমি ২ গ্রামের লোকদের মধ্যে যাওয়া আসার সামাজিক সম্পর্ক  দেখিনি। কোনো অনুষ্ঠানে কেহ কাউকে নিমন্ত্রন করতোনা। কাজেই কেহ কারো সমস্যা বুঝতোনা, এক গ্রাম আক্রমণ হলে, অন্য গ্রাম ঝাঁপিয়ে পারতোনা রক্ষা করার জন্য। আর এই সুযোগে গ্রামের পর গ্রাম বিদেশী আক্রমণকারী রা গ্রাস করেছে, তাদের cualture ও ধর্মের বীজ ও বিদ্বেষ  পুঁতে দিয়ে গেছে। আজ কিছু ধান্ধাবাজ মতুয়া কাস্ট  দের কে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। সামাজিক ভাবে unity না থাকার জন্যই হিন্দুরা  বাংলদেশ, পাকিস্তান আফগনিস্তান থেকে বিতাড়িত। কাজেই যে রাজনৈতিক দল গুলো হিন্দু দের সামাজিক unity ভেঙ্গে , রাজনৈতিক ভাবে ইউনাইটেড  ,সেই দল গুলো গুলো কে বর্জন করা উচিত। ধর্ম মানুষের সৃষ্টি, রাজনৈতিক দল, মতবাদ  ও মানুষের সৃষ্টি। রাজনৈতিক দল এর চেয়ে ধর্ম অনেক বেশি গণতান্ত্রিক। ব্যানার্জী বা অধিকারী, গান্ধী  ফ্যামিলি তে জন্ম নিলে যেমন সেই পার্টি র নেতা হয়না, তেমনি ব্রাম্মন ফ্যামিলি তে জন্ম নিলেই পূজারী হবার অধিকার জন্মায় না।  পূজা একটা কাজ, যে হিন্দু পূজা কাজ শিখবে, সে কেবল পূজারী হবে। কি করে নাস্তিক বা কাস্ট সিস্টেম এর বিরোধিরা এই সব রাজনৈতিক দল এর supporter হয়, বুঝিনা।

রাজনৌতিক ভাবে সমাজ কে আসলেই ভাগ করা সম্ভব বা উচিত কিনা?
না।  সোভিয়েত ইউনিয়ন সফল হয়নি। রাজনৈতিক দল বা মত এর উৎপত্তি বেশী দিন হয়নি ।  ধর্মীয় ভাবে সমাজের একতা  হাজার হাজার বছরের। সেটা ভাঙ্গা বোকার কাজ।  কিছু নিলে কিছু দিতেও হয়। ধর্ম কে বিলুপ্ত করলে, সামাজিক সম্পর্কের যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়, সেই শূন্যতা পূরণ করার ক্ষমতা কোনো রাজনৈতিক মতবাদের নেই। ধর্ম ও রাজনৈতিক দল মানুষের সৃষ্টি।  ধর্ম আসলেই  রাজনৈতিক দল।

অনতিবিলম্বে বাংলার মানুষ কে টিকে থাকার জন্য রাজনৈতিক মত কে প্রচ্ছন্ন রেখে, সামাজিক সম্পর্ক কে প্রকট করতে হবে।  সমাজ বিভাজন কারী বামফ্রন্ট বিলুপ্তির পথে, তৃণমূল এর অস্তিত্ব ও থাকবেনা, কিন্তু সমাজ থাকবে।  দল আসবে, সমাজকে শোষণ  করবে, এক সময় দল বিলীন হবে, কিন্তু সমাজ থাকবে।  এই সহজ সত্য বোঝার ক্ষমতা নোবেল অ-নোবেল জয়ী বাঙালির হয়নি – এটাই দুঃখের!

( সুযোগ হলে পরে পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করবো)