পাকিস্তান বেদ নিয়ে গর্ব অনুভব করে না।

আলেকজান্ডার খৃষ্টান ছিলেন না। আর্কিমিডিস খৃষ্টান ছিলেন না। অ্যারিষ্টটল – প্লেটো – ইউক্লিড কেউ খৃষ্টান ছিলেন না। প্রত্যেকের জন্ম খৃষ্টের জন্মের আগে। কিন্তু সমগ্র ইউরোপ তথা খৃষ্টান জগৎ তাঁদের নিয়ে গর্ব বোধ করে। কিন্তু এই উদারতা আরবে দেখা যায় না। ১৪০০ বছরের বেশী আগের গুণীজনদের নিয়ে আরব গর্ব করে না। এই মনোভাব বড় সংক্রামক। আরব সংস্কৃতি যেখানেই গেছে, সেখানেই অতীত নিয়ে উদাসীনতা ও উপেক্ষা। পাকিস্তান বেদ নিয়ে গর্ব অনুভব করে না, কিন্তু দুই হাজার বছর আগে সিন্ধু তীর মুখরিত হত পৃথিবীর প্রাচীনতম সাহিত্য বৈদিক মন্ত্রে। মহাভারতের এক বড় অংশ ঘটেছিল আফগানিস্তানের মাটিতে। এখনকার আফগানরা সে সব জানেই না, যারা জানে, তারাও ঘৃণা করে মহাভারতের চরিত্রদের। মিশরের বর্তমান অধিবাসীরাও ফারাওদের কীর্তিকে নিজেদের ঐতিহ্য সম্পদ ভাবে না। সরকারি ভাবে শুধু সেগুলো রক্ষা করে অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক কারণে। পালমেরাস নিয়ে সাধারন সিরিয়ানদের গর্ব বোধ নেই।
   বাংলাদেশ ও তাই। হাজার বছরের বেশী প্রাচীন ঐতিহ্যকে বাংলাদেশের আধুনিক “বাঙালি” নিজেদের অতীত বলে স্বীকার করে না।
   আরব থেকে ইরাক, ইরাক থেকে আফগানিস্থান, আফগানিস্থান থেকে বাংলাদেশ … শিকড়কে অস্বীকার করলে জাতি পিছিয়েই থাকবে।