ইসলাম ধর্ম ও দেহব্যবসা বা পতিতাবৃত্তি!

ইসলাম ধর্ম ও দেহব্যবসা বা পতিতাবৃত্তি! যদি কোন মুসলমান তার স্ত্রীর সঙ্গে একই বিছানায় রাত্রীযাপন করে এবং তার স্ত্রী যদি যৌন সংসর্গে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তাহলে সমস্ত রাত ফেরেস্তাগণ ঐ নারীকে লানৎ (অভিশাপ) করতে থাকে। কিন্তু মুসলমান স্বামী-স্ত্রী একই বিছানায় রাত্রিযাপন করার ক্ষেত্রে পুরুষ স্ত্রীর সহিত যৌনসংসর্গে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে পুরুষকে কোনো ফেরেস্তা বা আল্লা লানৎ (অভিশাপ) করবে না। কিন্তু কেন? ইসলাম ধর্ম মতে নারী ও পুরুষের বিয়ের মাধ্যমে পুরুষের দেনমোহরে নারী সম্পদের মালিকানা স্বত্ব লাভ করে, পক্ষান্তরে পুরুষ তার দেনমোহরের বিনিময়ে নারীর যৌনাঙ্গের মালিকানা স্বত্ব লাভ করে। অথাৎ বিনিময় প্রথার মাধ্যমে মালিকানা স্বত্ব হস্তান্তর। নারীর যৌনাঙ্গের মালিক যদি পুরুষ হয় এবং যে যৌনাঙ্গের মালিক পুরুষ তার ইচ্ছে অনুযায়ী যৌনক্রিয়ার অস্বীকৃতি জানালে ঐ নারীকে আল্লা ও ফেরেস্তারা লানৎ (অভিশাপ) করবে এটাই স্বাভাবিক। একজন পুরুষ বিয়ের মাধ্যমে কিভাবে যৌনাঙ্গের মালিকানা স্বত্ব লাভ করে তা বায়াতী শরীফের সপ্তম খন্ডে ৪৪৬ এবং ৪৪৭ নং হাদিছে উল্লেখ আছে। বুখারী শরীফের ৩২৩৭ নং হাদিছ, মুসলিম শরীফের ১৪৩৬ নং হাদিছ, তিরমিজি শরীফের ১১৬০ নং হাদিছে উল্লেখ আছে—“মালাকওয়ান বুদহা”। অথাৎ যৌনাঙ্গের মালিক। এখানে বুদহা শব্দটি আরবী যার অর্থ মেয়েদের যৌনাঙ্গ (Vagina—Sex organ of female gender)। আমার কথার বিপরীতে মুমিন মুসলমানরা গালাগালি করতে পারে, ইহুদী-খৃষ্টান বা নাস্তিক, হিন্দুর দালাল প্রতিপন্ন করতে পারে, কিন্তু যে রেফারেন্স গুলো উল্লেখ করলাম তা যাচাই করুন, নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন। ইসলাম ধর্মে নারীকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে নাকী দেনমোহরের বিনিময়ে যৌনাঙ্গের মালিক হয়ে নারীকে দেহ ব্যবসা বা পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়েছে?

Scroll to Top