ধর্মান্ধ মুমিনদের কাছে এই ভারত বড্ড অচেনা।

ধর্মান্ধ মুমিনদের কাছে এই ভারত বড্ড অচেনা। 
<÷><÷><÷><÷><÷><÷><÷><÷><÷><÷>
মোদি চা,ওয়ালা হিস্র,অত্যাচারী,ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিনত করার পায়তারা করছেন এই অভিযোগ অনেক পুরনো।যবে থেকে নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি ক্ষমতায় এসেছেন তখন থেকেই সারা দুনিয়ায় ধর্মান্ধ মুমিনদের মধ্যে হৃদকম্পের সৃষ্টি হয়েছে।দেশভাগের পর যত সরকার এসেছে তারমধ্যে একমাত্র মোদি সরকারই সারা দুনিয়ার মুসলিমদের কাছে শিরপীড়ার কারন হয়ে দাড়িয়েছে।
তাবড় দুনিয়ার কবি-শিল্পি-সাহিত্যিক- অভিনেতা-গায়ক-বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে এই বুঝি ভারতের তোষামোদির রাজত্ব শেষ হয়ে গেল।তাই বাংলাদেশের গায়ক নোবেল মোদিকে চা,ওয়ালা বলে বিদ্রুপ করবে এ আর নতুন কি।অথবা বাংলাদেশের অভিনেতা ফেরদৌস,
নাট্যাভিনেতা গাজী আব্দুন নূর ভারতের পঃবঙ্গে এসে একটি রাজনৈতিক দলের স্বপক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করে মোদিকে পরাজিত করার প্রচেষ্টায় অংশ নিবে এটি নুতন কোন বিষয় নয়।এটি মোদির বিরুদ্ধে বৈশ্বিক ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ।এই উপমহাদেশে মোদির উত্থানের পিছনে যে হিন্দুত্ব বিকাশের শুভ সূচনা হয়েছে এটি সারা পৃথিবীর মুসলিমদের মধ্যে একটি ভীতির সঞ্চার করেছে।
যে কোন জাতিকে তার বুদ্ধিজীবীরাই সঠিক পথ দেখায়।কিন্তু দুঃখের বিষয় ভারতের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী কোন না কোন গোষ্ঠীর তাবেদার হিসাবে,বা কোন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় বা কোন প্রকাশনা সংস্থার কেনা গোলামে পরিনত হয়ে ভারতকে পরিনত করেছিল তোষামোদের নিরঙ্কুশ রাজত্বে।ভারতে বুদ্ধিজীবীদের মহৎ হবার যে আদর্শ তা হচ্ছে,ইসলামের মহত্ব প্রচার করা,হিন্দুদের অহিংসার নামে কাপুরুষ বানাতে সচেষ্ট হওয়া–যে কোন প্রসঙ্গেই হোক হিন্দু ধর্মের নিন্দা করা কুৎসা করা।এই পথে চললে উপঢৌকন,পদবী,পুরস্কার,
আর্থিক সুযোগ সুবিধা পাওয়া ইত্যাদি হত সহজ লভ্য।এতদিন এই বুদ্ধিজীবিরাই হিন্দুদের নপুংসক পর মুখাপেক্ষী পরজীবী করে হিন্দু সমাজের যে ক্ষতি করেছে তা ধিক্কার জানাবার কোন ভাষা নেই।এই সমস্ত ব্যক্তিদের প্ররোচনায় ভারতে হিন্দুদের অস্তিত্ব বিলিন হবার উপক্রম হয়ে পড়েছিল।ফলে স্বাভাবিকভাবে সারা পৃথিবীর একটি শ্রেনী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পড়েছে কিভাবে মোদিকে আটকানো যায়।
দেশভাগের পর অতি সন্তর্পনে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের ভুলিয়ে দেয়া হয়েছিল কোটি কোটি হিন্দুর ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব রিক্ত হাতে প্রানের ভয়ে পালিয়ে আসার নির্মমতার কথা।লক্ষ লক্ষ হিন্দু রমনীর কান্না ও আর্তনাদের বুক ফাটা আহাজারির কাহিনী ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিল।ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়াছিল সেই সব মর্মস্তুত কাহিনী,চক্রান্ত,বিশ্বাসঘাতকতা এবং হিন্দুর প্রতি চরম অবজ্ঞার সেই সব কাহিনী।নিরন্তর চেষ্টা চলেছে হিন্দুদের অস্তিত্বহীন করার।
সেই সব প্রতারকদের প্রবঞ্চনায় পা দেয়নি বলেই মোদি আজ সারা বিশ্বের ধর্মান্ধ মুসলিমদের কাছে শত্রু।অহিংসা ও ধর্ম নিরপেক্ষতার আড়ালে মুসলমান তোষনের বিরুদ্ধে মোদির গর্জে উঠাই ছিল জঙ্গি মুসলমানদের কাছে শত্রু হয়ে উঠার অন্যতম কারন।মোদি দেশভাগ ও পরবর্তীতে প্রতিবেশী দেশ সমূহ থেকে যে সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নির্যাতন নিপীড়ন হত্যা ধর্মান্তকরনের দায়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল তাদের নাগরিকত্ব দেয়া ছিল মোদির অপরাধ। 
কাশ্মীরের ৩৭০ধারা বাতিল করে এক দেশ এক পতাকার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করাই ছিল মোদির শত্রু হওয়ার কারন।মুসলিম নারীর অধিকার ৩ তালাক প্রথা বাতিল করাই ছিল মোদির শত্রু হওয়ার কারন।এসব কারনে তাবড় মুসলমানরা সিধূরে মেঘ দেখছেন।জাতির কাছে মোদির অঙ্গিকার এক দেশ এক আইন প্রতিষ্ঠার।অভিন্ন দেওয়ানিবিধি আইন প্রতিষ্ঠিত করে মোদি মুসলিম জাহানের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিতে অবিচল।কুকুরের অভিসম্পাত থেকে মুসলিম সমাজকে মুক্ত করে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপর আইন প্রনয়ণ সময়ের দাবি।সুতরাং নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি মুসলিম জাহানের কাছে অপ্রিয় অপাংক্তেয় হবে এটা খুব স্বাভাবিক।আইনের শাসনের মধ্যেই রয়েছে সমাধান।মোদি জোর করে ক্ষমতায় আসেনি।ভারতের তিন চতুর্থাংশ মানুষের নিরঙ্কুশ সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছেন।আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে বলেই সব অগনতান্ত্রিক কাজের বিরুদ্ধে আইন গর্জে উঠেছে।নোবেলের বিরুদ্ধে ভারতে মামলা হয়েছে।ভারতের মাটিতে অদূর ভবিষ্যতে নোবেলের মতো চরিত্রহীন লম্পট অসুরের স্থান ভারতের মাটিতে হবেনা।কারন ভারত সংস্কৃতির ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য নাম।ঠিক তেমনি ভাবে ফেরদৌস ভারতে ব্ল্যাক লিস্টেড হয়েছে।ভারতের সংস্কৃতি জগৎ ফেরদৌসের মতো শিল্পির দ্বার চিরতরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।ঠিক গাজী আব্দুন নূরেরও একই ভাগ্য বরন করতে হয়েছে।তাই এই ভারত ধর্মান্ধদের কাছে খুব অচেনা।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য;– এই লেখাটি সদ্য প্রয়াত নিরঞ্জন চন্দ্র ভক্তের স্মৃতির উদ্দেশ্যে 
উৎসর্গকৃত)