ধর্ম পালন করার চেয়ে জায়গামতো বেচতে পারা এদেশে সবচেয়ে লাভজনক।

বিধর্মীদের মুসলমান বানায় যারা সেই সমস্ত হুজুরদের একটা অন্য রকম আবেদন আছে মুসলমান সমাজে। এমনকি যেসব ওলি আউলিয়াদের বিশেষ সম্মানের চোখে দেখা হয় ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয়ভাবে তাদের বেশিরভাগ অন্য ধর্মের মানুষকে ইসলাম ধর্মে কনভার্ট করতে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। হযরত শাহজালাল, শাহ পরানদের নাম এদের মধ্যে সবার প্রথমেই থাকবে। এই চর্চার গুরুত্বের কথা বর্তমান মাওলানারাও জানে। যে কারনে যার অবস্থানই একটু বিপন্ন থাকে সে পায়ের তলা শক্ত করতে তার ওয়াজ মাহফিলে লোকজন ভাড়া করে এনে হিন্দু থেকে মুসলমান বানায়। কয়দিন আগে দেখলাম এক হুজুর নিজেই আরেকটা ওয়াজে এইসব গোপন কথা ফাঁস করে দিয়েছেন। বিধর্মী এক লোক ৫ জায়গায় গিয়ে মুসলমান হইছে এবং মুসলমান হওয়াতে আর নিজের বাড়িতে ফিরতে পারবে না বলে উপস্থিত হাজেরানে মজলিশ থেকে একেকবারে ২০-৩০ হাজার করে টাকা সাহায্য তুলছে। সাঈদি তার জামাতি পরিচয় এবং রাজাকার পরিচয়কে লঘু করে নিজেরে বড় ওলি আউলিয়া প্রমানে এই ধান্দাটা প্রায়ই নিয়মিত করতো। মাওলানা আজহারির বিরুদ্ধে সুন্নীরা ধর্ম অবমাননা, নবীর শানে বেয়াদবির অভিযোগ করার পরে কিছুদিন কোথাও ওয়াজ করতে পারে নাই আজাহারী। বিভিন্ন জায়গায় সুন্নীদের বাধার মুখে পড়ে তার ওয়াজ ব্যবসা লাটে উঠার যোগাড় হয়েছিল। এখন কামব্যাক করার ধান্দা হিসাবে বাইছা নিছে হিন্দুদের মুসলমান বানানোর নাটক করা। বলদ মুসলমান মহলে বরাবরের মতই ধন্য ধন্য অবস্থা। মাঝখানে আজহারি আর ৫-১০ বার করে মুসলমান হওয়া লোকজনের পকেট গরম। ধর্ম পালন করার চেয়ে জায়গামতো বেচতে পারা এদেশে সবচেয়ে লাভজনক। আজাহারীদের ব্যবসায় মার নেই।

Azam Khan