আমার পরবর্তি বই এর নাম- “তৈমুর বাবুর এর দেশে”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
খুব শখ হয়েছে তৈমুর লং আর বাবুর এর জন্মস্থান দেখার। তাসখন্দ, সমরখন্দ, বুখারা না দেখলে এই উদ্বাস্তু জীবনের সঠিক পরিসমাপ্তি হতে পারে না। তাই যাবো উজবেকিস্তানে।
ওই অঞ্চল একদা ছিলো রাজা ভরতের (শ্রী রামচন্দ্রের ভাই) বড়ো ছেলের রাজ্যের এক অংশ। পরে তা যায় আলেকজান্ডারের হাতে। সেলুকাসের হাত ঘুরে তা যায় সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের মৌর্যের হাতে। পরে উত্তর দেশ থেকে আসা শক জাতি দখল করে নেয়। প্রতি বছর শকেরা আসতো ভারত লুন্ঠন করতে। মহারাজ বিক্রমাদিত্য তাদের সমুলে বিনাশ করেন। অনেক হিন্দু ওখানে বাস করতো। তারা অনেকে ধর্ম পরিবর্তন করে শান্তির ধর্ম গ্রহন করেছে। যারা করেনি, তৈমুর তাদের বিধাতার কাছে পাঠিয়ে শান্তি স্থাপন করেছে।
প্রথম মুঘল সম্রাট বাবুর উজবেকিস্তানের ফারগানা থেকে আসে। তার বংশ ধরেরা ভারত শাসন করেছে। বর্তমানে যে ‘বুখারী’ কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদ থেকে গলা ফাটায়, ফতোয়া দেয়, সেই বুখারীর পুর্ব পুরুষ ও আসে উজবেকিস্তানের বুখারা থেকে।
এই সব মহান শান্তির দুতেদের মহান প্রচেষ্টার ফসল পুর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) একদা হিন্দু,বর্তমান শান্তির ধর্মের দুতেরা। এরাই পুর্ব পাকিস্তানের ৪ কোটি হিন্দুকে নামিয়ে নিয়ে এসেছে মাত্র ৮০ লক্ষে। আমার বাবা এবং আরো অনেকে পালিয়ে এসে আমাকে সারা জীবন ভব ঘুরে বানিয়ে চলে গেছেন। বাবার কাছে যাবার আগে তাই ঐ তৈমুর, বুখারি, বাবুর এর দেশ অবশ্য দ্রষ্টব্য।
যাচ্ছি এপ্রিলে।