ক্রিমিনালরা সংখ্যায় কম হলেও তারা কখনো সংখ্যালঘু হয় না।

দেড় হাজার বছর ধরে নিপীড়িত নির্যাতিত শান্তির ধর্মের লোকজনের ভয়ে মিলা নামের ফরাসি এক স্কুল বালিকা ঘরবন্দি হয়ে আছে! সারা ফ্রান্স এখন এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড়। শান্তির ধর্মের লোকজন মেয়েটিকে এসিড মেরে ঝলসে দেয়া ছাড়াও তাদের সবচেয়ে প্রিয় থ্রেট  নারীদের নগ্ন করার হুমকি তো আছেই, তাকে মেরে ফেলার হুমকি ছিলো টক অব দ্য কান্ট্রি।
তা মিলা করেছেটা কি যার জন্য নিপীড়িতরা খুনটুন করার হুমকি দিচ্ছে? ঘটনা হচ্ছে,  মিলাকে শান্তির ধর্মের লোকেরা সোশ্যাল মিডিয়াতে নোংরা লেজবিয়ান বলেছিল! আমাদের দেশে ফেইসবুকে যেমনটা করতে দেখি। মিলা এর জবাবে ইসলাম ধর্মকে নোংরা বলে পোস্ট দেয়ার পরই এতসব ঘটনা ঘটতে থাকে। মিলা গাল খেয়ে চুপ করে গেলে কিছুই ঘটত না। কিন্তু নোংরার বদলে নোংরা বলাতে এখন চারদিকে ইসলাম বিদ্বেষ মুসলিম বিদ্বেষ রব উঠছে। মিলাকে ক্ষমা চাইতে হয়েছে সাধারণ ধার্মিক মুসলমানদের কাছে। যদিও তার বক্তব্য সে ফিরিয়ে নেয়নি। সে ভয়ে ঘর ছেড়ে বের হতে পারছে না কথিত এই সংখ্যালঘুদের জন্য! যারা নাকি নিজেরা দাবী করে তারা দেড় হাজার বছর ধরে কাফেরদের হাতে নিপীড়িত, নির্যাতিত!  এ কেমন সংখ্যালঘু? 
ফ্রান্সের বামপন্থী, লিবারালরা নিশ্চিত করেই দেড় হাজার বছর ধরে নিপীড়িতদের পক্ষ নিবে। মিলাই দোষী! সে ইসলাম বিদ্বেষী! মুসলিম বিদ্বেষী। …আশার কথা ফ্রান্সে শান্তির ধর্মের লোকজনের জাল জোচ্চুরি ধরতে শুরু করেছে কিছু মানুষ এবং ইসলামকে তারা নোংরা বলে স্থীর থাকছে নিজের বক্তব্যে। ফ্রান্সের মানুষ মিলার সমর্থনে এগিয়ে আসছে। তারা হ্যাশট্যাগ করে লিখছে #JeSuisMila 
ক্রিমিনালরা সংখ্যায় কম হলেও তারা কখনো সংখ্যালঘু হয় না। তারা অন্যের পোশাক নিয়ে কটুক্তি করবে, অন্যের সংস্কৃতি, যৌনজীবন, ধর্মবিশ্বাস নিয়ে গালি দিবে। পাল্টা কেউ জবাব দিলেই সে মুসলিম বিদ্বেষী! ইসলাম বিদ্বেষী!