রোহিঙ্গা প্রেমী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা প্রতিদিন ই কোনো না কোনো গ্রুপ যাচ্ছেন মায়ানমার দূতাবাস ঘেরাও দিতে। অথচ মায়ানমার দূতাবাস থেকে মাত্র আট মিনিটের রাস্তা সৌদি আরবের দূতাবাস, সেখানে গিয়েও তো প্রতিবাদ করে আসা যায়। জাতি ভাই মারছে, এতে মুসলিম উম্মাহ কষ্ট পাচ্ছে, কিন্তু সৌদি আরব তো সেটা কোনো মতেই মানছে না।
সৌদি আরবের জনপ্রিয় দুটি পত্রিকা আল- শার্ক ও আল- আওসাত রোহিঙ্গাদের ওপর যে গণহত্যা, নির্বাচারে গণধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগকে নিন্দা না জানিয়ে বরং দেশটি সেই অং সাং সুচিকে সমর্থন জানিয়েছে। এ দুটি পত্রিকা রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী বলেও উল্লেখ করেছেন।
তাহলে বোঝা গেল, যেখানে সৌদি আরব এদের নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছেন না, সেখানে আমাদের এত মাথা ব্যাথা কেন? আপনি কি সৌদি মুসলমানের চেয়েও খাঁটি মুসলমান?
ত্রাণ থাক দূরের কথা, সৌদি আরব এই হত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে, তারা রোহিঙ্গাদের মুসলমান হিসেবে মানতে নারাজ। তারপরেও দেখুন এ দেশের মুসলমানরা কিন্তু সৌদিকে গালি দিচ্ছে না। কারণ সৌদি তাদের তীর্থ ভূমি। অন্যদিকে আমরা হিন্দুরা তীর্থ ভূমি ভারতের দোষ না থাকলেও মা- মাসি তুলে গালি দিতে কার্পণ্য করি না।