গোলাম সারোয়ার ফতোয়া দিয়েছিল সুচেতা কৃপালনীকে যে ধর্ষণ করতে পারবে তাকে গাজী উপাধীতে ভূষিত করা হবে।

নোয়াখালি হিন্দু নিধন যজ্ঞের অন্যতম নায়ক গোলাম সারোয়ার ফতোয়া দিয়েছিল সুচেতা কৃপালনীকে যে ধর্ষণ করতে পারবে তাকে গাজী উপাধীতে ভূষিত করা হবে এবং বহুত টাকা ইনাম দেয়া হবে। তাই সুচেতা কৃপালনী নিজের সন্মান রক্ষা কল্পে সবসময় পটাশিয়াম সাইনাইডের ক্যাপসুল গলায় ঝুলিয়ে রাখতেন।

● সুচেতা কৃপলনী কে ছিলেন?
◆ সুচেতা কৃপালিনী ছিলেন সেই সময়ের কংগ্রেস সভাপতি আচার্য্য কৃপলনীর স্ত্রী। পরে ভারতে তিনি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন।  বহাল ছিলেন ১৯৬৩ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৬৭ সালের মে পর্যন্ত।
   মাইন্ড ইট! ভারতের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল, ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গান্ধীর রাজনৈতিক দল, নেহেরুর রাজনৈতিক দল, কংগ্রেসের সভাপতির স্ত্রী! নিজের দেশের এক অঞ্চলে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণের ভয়ে শঙ্কিত থাকতে হয়েছিল।

● গোলাম সরোয়ার কে?
◆ গোলাম সরোয়ার ছিল এক ধর্মগুরু। এক মুসলিম পীর পরিবারের বংশধর গোলাম সরোয়ার হুসেনি কৃষক-প্রজা পার্টি থেকে মনোনয়ন নিয়ে বঙ্গীয় আইন পরিষদে নির্বাচিতও হয়েছিল ১৯৩৭ সালে। গোলাম সরোয়ারের পিতা এবং পিতামহ খুবই ‘ধার্মিক ব্যক্তি’ হিসেবে পরিচিত ছিল এলাকায় এবং কঠোর ভাবে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলত। তারা বংশানুক্রমিক ভাবে শ্যামপুরের দিয়ারা শরীফের খাদিম ছিল।

  কংগ্রেস সভাপতি রাহুল কি জানে এই ইতিহাস?