আজ যুগশঙ্খ কাগজে সাম্প্রতিক দাঙ্গার নেপথ্যে কারণ হিসেবে কথিত সৌভিক সরকারের মুখ – পুস্তিকায় পোস্ট করা ছবিটির বিষয়ে একটি কৌতূহলোদ্দীপক সংবাদ প্রেক্ষিতেই এই প্রতিবেদন !
সৌভিকের গ্রাম বাদুড়িয়া থানার মাগুরখালী গ্রামের হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে কোনো ব্যক্তিই বিশ্বাস করে না যে আপাদমস্তক শান্ত নিরীহ লেখাপড়ায় ভালো মাত্র 17 বছরের ছেলেটি এই কাজ করতে পারে ! স্থানীয় মানুষের ধারণা , অন্য কেউ সৌভিকের প্রোফাইল হ্যাক করে এই দুস্কর্মটি করে থাকতে পারে !
হিন্দু মুসলমানের মধ্যে অসন্তোষ দাঙ্গা বাধানোর ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে একটি জেহাদি তত্ব কাজ করে ! যেহেতু ধৃত দুষ্কৃতীদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি ( আরও অনেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মৌলবাদী এই দলে খুঁজে পাওয়া যাবে ) ……এবং এতো দ্রুত দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার চিত্রনাট্য দেখে অনুমান করা যায় এটা একটি পূর্ব পরিকল্পিত চক্রান্ত ! হয়তো শৌভিককে বলির পাঁঠা করা হলো ?
বাংলাদেশে ব্রাহ্মণ বাড়িয়ায় ঠিক একই কায়দায় রসরাজ নামে এক হিন্দুকে ফাঁসিয়ে দাঙ্গা করা হয়েছিল এবং পরিকল্পিত ভাবেই হিন্দু নিধন যজ্ঞ চলেছে ! পরে তদন্তে প্রমাণ হয়েছে রসরাজ সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং এটি ঘটিয়েছে একটি মুসলিম যুবক !
বাদুড়িয়ার ক্ষেত্রে যে একই নাটক হয় নি তা কি বলা যায় ? তাই শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের জোরালো দাবি রাখা উচিত এই face book পোস্টের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করা !
সাধারণ বুদ্ধিতে একথা বলা যায় যে ওই জাতীয় পোস্ট করতে কম্পুটার সম্পর্কে যথেষ্ট দক্ষতার প্রয়োজন , সেটা কি মাধ্যমিক পাশ করা ওই নাবালক ছেলেটির ছিল ? আদালতের উচিত এই সম্পর্কেও যথাযথ অনুসন্ধান করা !
Republic টিভির স্টিং অপারেশনে ষড়যন্ত্রের তত্ব যখন উঠে এসেছে তবে এই ছবি পোস্ট বিষয়টাও একই ষড়যন্ত্রের অংশ কেন হতে পারে না ?
গত 2/1 বছরের এ জাতীয় অনেক ঘটনার নেপথ্য ইতিহাস চেপে দেওয়া হয়েছে ! এটাকেও চেপে দেওয়ার চেষ্টা হবে ! আদালত বলে , বিচারে দোষী কেউ ছাড়া পেয়ে যাক কিন্তু কোনোভাবেই যেন একটা নির্দোষও সাজা না পায় !
বাংলার বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের ওপর আর মানুষের ভরসা নেই ! তবু আদালতের ওপর এখনও আস্থা আছে ! আশা করবো সৌভিক রহস্য দ্রুত উদ্ঘাটিত হবে ! যদি প্রমাণ হয় সে অন্যায় করেছে আইনের বিচারে সে শাস্তি পাবে কিন্তু যদি সে সত্যি নির্দোষ হয় এবং গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকে তবে বিচার ব্যবস্থা দুধ আর জল আলাদা করে ছেলেটির জীবন ও ভবিষ্যৎ যেন রক্ষা করে !