হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন সম্প্রদায়ের বহু শতাব্দীর আরাধ্য গুরুপূর্ণিমা এ বার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়ে গেল। নাসার দৌলতে।

নাসার সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘নাসা মুন’-এ এই প্রথম উল্লেখ করা হল গুরুপূর্ণিমার। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ওই টুইটার অ্যাকাউন্টে দেয় নাসা। এ বার গুরুপূর্ণিমার দিন ওই অ্যাকাউন্টে‌ বিভিন্ন পূর্ণিমায় চাঁদের নাম ও তাদের চেহারা ও রঙের কথা জানানো হবে। যেমন, ‘হে মুন’, ‘ব্ল্যাক মুন’, ‘বাক মুন’, ‘ব্লু মুন’, ‘রাইপ কর্ন মুন’, ‘থান্ডার মুন’, ‘মেড মুন’। এমন হরেক রকমের পূর্ণিমার চাঁদ।

নাসার সেই টুইট

এই গুরুপূর্ণিমার একটি সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বহু শতাব্দী ধরে হিন্দু ক্যালেন্ডারে আষাঢ় মাসের (ইংরেজি ক্যালেন্ডারে জুনের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি) শুক্লপক্ষে এই পূর্ণিমাটিকেই বলা হয় গুরুপূর্ণিমা। কথিত আছে, আষাঢ়় মাসের শুক্লপক্ষের এই দিনটিতেই জন্ম হয়েছিল কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসের। তাঁর জন্মতিথিকেই ‘গুরুপূর্ণিমা’ বলে পালন করেন হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন সম্প্রদায়। এই পূর্ণিমার দিনটিতেই তাঁরা করেন গুরুস্মরণ। গুরুর প্রতি শিষ্যের শ্রদ্ধা জানানোর দিন এই গুরুপূর্ণিমা। দেশের কোথাও কোথাও এই দিনটিকে বলা হয় ‘বেদব্যাস পূজার দিন’। নেপালে এই দিনটি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। ইতিহাস বলছে, গৌতম বুদ্ধ এই বিশেষ দিনটিতেই সারনাথে ‘ধর্মচক্র’ প্রবর্তন করেন। তাই দিনটি বৌদ্ধদের কাছেও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ।