আজ একটি ঘটনা শুনে বুঝলাম কেন বামেরা উপকারী প্রানী।

আজ একটি ঘটনা শুনে বুঝলাম কেন বামেরা উপকারী প্রানী।

সেকুলার কমরেড মহঃ ছুলিম বছর কয়েক আগে আমেরিকা গেছিলেন সপ্তাহ খানেকের জন্য।সেই সময় তিনি আতিথ্য গ্রহন করেন সেখানে একটি হিন্দু পরিবারে।

পরিবারটির দশজন সদস্যই ছিলেন মূলত বাম মনোভাবাপন্ন।কাজেই সেখানে কমরেড ছুলিমের খাওয়া দাওয়ার কোন অসুবিধাই হয়নি।প্রায় প্রতিদিনের বীফের টুকরো জুটছিল।কমরেড মনের আনন্দেই ছিলেন আমেরিকায়।

গোল বাধল ফিরে আসার আগের দিন।সেদিন নৈশভোজে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আরও কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।তাদের জন্য বীফের সাথে কিছু পর্ক আইটেমও রাখা হয়েছিল।কারন তারা বাম।তারা খাবারে ধর্ম খোঁজেননা।বীফ পর্ক সবই তাদের কাছে সমান।

সেই পর্ক আইটেম দেখেই ছুলিম সাহেব প্রবল অসহিষ্ণু হয়ে ওঠেন।এতোটাই অসহিষ্ণু হয়ে ওঠেন যে খাবারের টেবিল উলটে ফেলে দেন তাকে এই ভাবে অপমান করার জন্য এবং সাথে সাথেই আরেক মুমিন ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন ধর্ম রক্ষার্থে।

যাইহোক এর মধ্যে কোন চমক নেই।এরকমই যে হতে পারে তা আমরা জানি।আমেরিকা প্রবাসী হিন্দু পরিবারটি জানতেন না।তবে কিনা জানার কোন শেষ নাই জানার চেষ্টা বৃথা তাই।

যাইহোক আনন্দের খবর হচ্ছে এই পরিবারের দশ জন সদস্যই এই ঘটনার পরে সেকুলারিজিমের প্রকৃত অর্থ বুঝতে পেরেছেন এবং সেকুলারিজম বজায় রাখতে কি করা প্রয়োজন তাও বুঝেছেন।তাই তারা এখন বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলিকে মোটা টাকা চাঁদা দিয়ে থাকেন।

এই জন্যই লেখার শুরুতেই বলেছি বামেরা অতি উপকারী প্রানী।