১০টি সাফল্য ইসরোর, গর্বিত করেছে গোটা ভারতকে এবং অনেক বড় অর্জন গোটা পৃথিবীর জন্য…।।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরো সাম্প্রতিক সময়ের নানা সাফল্য আপামর
ভারতবাসীকে গর্বিত করেছে। ১৯৬৯ সালে পথ চলা শুরু করে মাত্র এই কয়েকদশকে
মহাকাশ গবেষণায় ভারত যে সাফল্য অর্জন করেছে তা এককথায় অকল্পনীয়।
গোটা বিশ্ব
এখন মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সাফল্যকে কুর্ণিশ করছে।[ইতিহাসে ‘ইসরো’ :
পিএসএলভি সি-৩৭ এর সফল উৎক্ষেপণ ভারতের ]

এদিন যেমন ১০৪টি উপগ্রহ একসঙ্গে পিএসএলভির মাধ্যমে পাঠিয়ে বিশ্বরেকর্ড করল
ভারত। রাশিয়া এর আগে ৩৭টি উপগ্রহ একসঙ্গে মহাকাশে প্রতিস্থাপিত করেছে। এদিন
ভারত সেই রেকর্ডকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। তবে এটাই প্রথম নয়। গত
কয়েকদশকে বারবার ইসরোর সাফল্য ভারতবাসীকে গর্বিত করেছে। এহেন ১০টি সাফল্যের
কথা জেনে নিন একনজরে।[ইসরোর উপগ্রহ উৎক্ষেপণ নিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
১০টি তথ্য ]

১০৪টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, ২০১৭ চন্দ্রযান, ২০০৮

মঙ্গলযান, ২০১৪

প্রথমবারের চেষ্টায় মঙ্গলে মহাকাশ যান পাঠিয়ে রেকর্ড করে ইসরো। এর আগে আর
কোনও দেশ প্রথমবারের চেষ্টায় মঙ্গল অভিযান করতে পারেনি। এবং সবচেয়ে
আশ্চর্যের হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে দশগুণ কম খরচে মাত্র ৪৫০ কোটি
টাকায় ইসরো ইসরো মঙ্গল অভিযান করেছে।[ইসরোর ‘স্পেস শাটল’ নিয়ে এই
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি অবশ্যই জেনে নিন]

আইআরএনএসএস, ২০১৬
চন্দ্রযান, ২০০৮

২০০৮ সালে চন্দ্রের কক্ষপথে মহাকাশ যান পাঠায় ভারত। এর ফলে ষষ্ঠ দেশ হিসাবে এই এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেয় ইসরো।

আইআরএনএসএস, ২০১৬

ইসরো তৈরি করে ভারতের নিজের স্যাটেলাইট নেভিগেশন মিশন সিস্টেম। যা সমুদ্রে
দিক নির্ণয়ে বিশেষ সহায়ক হবে। ফলে বিপর্যয় মোকাবিলা ও জাহাজ হারিয়ে যাওয়ার
মতো ঘটনাকে সহজেই মোকাবিলা করা সহজ হবে।
২০টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, ২০১৬
২০টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, ২০১৬

গতবছরে একসঙ্গে ২০টি উপগ্রহ একসঙ্গে পাঠিয়ে নিজের রেকর্ড তৈরি করেছিল ইসরো।
তার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি ও ইন্দোনেশিয়ার উপগ্রহও
ছিল। এদিন সেই রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে ইসরো।
আইএনএসএস, ১৯৮৩
আইএনএসএস, ১৯৮৩

INSAT নামে জনপ্রিয় ৯টি উপগ্রহকে ১৯৮৩ সালে মহাকাশে পাঠানো হয়। তথ্য ও
সম্প্রচার ব্যবস্থাকে দক্ষিণ এশিয়ায় ২০টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, ২০১৬মজবুত করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো
হয়েছিল।
পিএসএলভি ১৯৯৩
পিএসএলভি ১৯৯৩

১৯৯৩ সাল থেকে পিএসএলভি বা পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল ১৯টি ভিন্ন দেশের
৪০ উপগ্রহকে সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে।
আরএসভি, ২০১৬
আরএসভি, ২০১৬

মাত্র ৯৫ কোটি টাকা খরচে তৈরি 

পিএসএলভি ১৯৯৩পুনর্ব্যবহারযোগ্য লঞ্চ ভেহিকল বা রিইউজেবল
লঞ্চ ভেহিকল বা স্পেশ শাটল বানিয়ে ইতিহাস তৈরি করে ইসরো। 
 জিএলএসভি-এমকে৩, ২০১৭
আর্যভট্ট, ১৯৭৫
আর্যভট্ট, ১৯৭৫

ভারতের অন্যতম সেরা জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্যভট্টের নামে প্রথম উপগ্রহ তৈরি
হয়। এর মাধ্যমেই মহাকাশ গবেষণার জগতে প্রথম মাইলফলক তৈরি করে ভারতের মহাকাশ
গবেষণা সংস্থা। আর্যভট্ট, ১৯৭৫

জিএলএসভি-এমকে৩, ২০১৭
জিএলএসভি-এমকে৩, ২০১৭

ইসরো সফলভাবে জিএলএসভি-এমকে৩ পরীক্ষা করেছে। ফলে ২০২০ সালের মধ্যে মহাকাশে
মানুষ পাঠাতে পারে এমন দেশগুলির তালিকায় নিজের নাম ভারত নথিভুক্ত করতে
পেরেছে।