বাঙ্গালী হিন্দুঃ এক অভিশপ্ত জাতি।
বাংগালী হিন্দুদের সাথে সম্ভবত কেবল ইহুদীদেরই তুলনা চলে। ইহুদীরা রাষ্ট্রবিহীন এক ধর্মীয় জাতি হিসেবেই প্রথম মহাযুদ্ধের আগ পর্যন্ত সারাবিশ্বে ছড়িয়ে ছিল। তাদের উপর যে গনহত্যা ইউরোপে শত শত বছর ধরে চলেছিল ২য় মহাযুদ্ধের সময়ে তার চরম রূপ দেখা দেয় হিটলারের শাসনে। কন্গ্যাসেন্সট্রেশন কেম্পে গ্যাস দিয়ে হত্যা করা হয় অর্ধ কোটি নিরীহ ইহুদীকে। কোলের শিশু বৃদ্ধ কেউ রেহাই পায়নি। এরপর ইহুদীরা বুঝল কেবল ধর্মীয় গোষ্টী হিসেবে রক্ষা পাওয়া যাবেনা। প্রয়োজন একটি জাতিয়তা যা একটি জাতিয়তাবাদী ইহুদী সম্প্রদায় হিসেবে বেচে থাকার শক্তি যোগাবে। ইস্রাইল এভাবেই সৃষ্টী হল। কিন্তু এখনও ইহুদী অসঙ্খ্য মানুষ মনে করে ইস্রাইল কোন ইহুদী রাষ্টর হতে পারেনা। ফলে ইহুদীদের মধ্যেই একটা বিভক্তি লক্ষ্য করা যায়। যার সাথে তুলনা চলে হিন্দু বাম ও অতি সেকুলার গোষ্টীর।
বাংগালী হিন্দুরা মূলত বাঙ্গালী হিসেবে পরিচিত হতে চেয়েছিল কিন্তু ব্যর্থ হল কারন ধর্মের রাজনীতি চলে এলো দ্বিজাতিতিত্বের জনপ্রিয়তায়। বাংগালী মুসলিম অমুসলিম দুই দলে ভাগ হয়ে গেল। মুসলিমরা তাদের আশামত একটি দেশ প্রতিষ্টা করে নিতে সমর্থ হয় কিন্তু হিন্দুরা কিছুই পেলোনা। এরা ছড়িয়ে গেল সীমান্তবর্তী রাজ্য গুলোতে। সেখানেও ঠাই হলোনা। যে এক টুকরা বাংলা হিন্দুদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল তাও সেই হিন্দুদের আশ্রয় দিলনা। মরিচঝাপিতে শতশর বাঙ্গালী শরনার্থীকে পশ্চিম বাংলার জ্যোতিবসু সরকার হত্যা করে। ট্রেনের দরজা জানালা সীল করে বাকীদের পাঠানো হয় আন্দামানে বা দন্ডকারন্যে। মরলে মর বাংলাদেশি হিন্দু। ভারতের এই দৃষ্টিভঙ্গী তে কত লক্ষ লক্ষ সমৃদ্ধ বাঙ্গালী পরিবার যে পথের ভিখিরি হয়ে ভারতে বাস করছে তার হিসেব কে দেবে?
এর কোন প্রতিবাদ করেনি পশ্চিম বাংলার হিন্দুরা। আজ যখন বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের ধরা হচ্ছে; দেখা যাচ্ছে হিন্দু মুসলমান সবাই এতে আছেঃ। এদের পাঠানো হচ্ছে কন্সেন্ট্রেসন কেম্পে। প্রশ্ন হচ্ছে হিন্দুরা অনুপ্রবেশকারী হয় কি করে। এরা শরনার্থী। মুসলমান যারা গেছে তারা শরনার্থী নয়। ব্যাপারটা generalize করে যে ভাবে দেখানো হচ্ছে তাতে বুঝা যাচ্ছে বাঙ্গালী হিন্দুরাই হবে যুপকাষ্টের বলির পাঠা। বাংগালী মুসলমানদের ভয় নেই তাদের একটা দেশ আছে। কিন্তু যারা হিন্দু শরনার্থী হয়ে ভারতে গিয়েছিল তাদের তো এদেশে ফিরে আসার সকল পথ রূদ্ধ। এদের সকল সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি হয়ে গেছে। এরা নিজেরা শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবে।১৯৭১ সনের হিন্দু বাংগালী হত্যাটাই ছিল পাকিস্তানীদের মূল লক্ষ্য। তিন লক্ষ বা মতান্তরে ত্রিশ লক্ষ মানুষ যে মরল এরা কারা? তবু কেন হিন্দু হলে তাদের মূল্যায়ন করা হয়না? তবে কি বাঙ্গালী হিন্দুদের রক্ষার কিছুই করা হবেনা? বিজেপি সরকার এই হিনদু বা অমুসলিম শরনার্রথীদের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেয় তার দিকে নজর রাখতে হবে। বাধ্য করতে হবে তাদের শরনার্থীর মর্যাদা দিতে। তারা দায়িয়্ব পালন না করলে এর মূল্য আগামীতে পেতে হবে ।বাঙ্গালী হিন্দুদের বাচার জন্য প্রয়োজন একটি সুস্পষ্ট জাতিসত্তার। কেবল বাংগালী পরিচয় দিয়ে ইহুদীদের মতই বারবার গনহত্যার শিকার হতে হবে। ৭১ এ হিন্দুরা কেবল বাঙালি বলে প্রান দিল কিন্তু ভাগের বেলা হয়ে গেল কাফের। বাঙ্গালী হিন্দু বাচতে শিখুক। যৌথ বাংলার স্বপণ যারা দেখে তারা হিন্দুদের সর্বশেষ আবাস বলে পরিচিত পশ্চিম বাংলাকেও কাস্মীরের মত এক ভয়ানক রাজ্যে রূপান্তরিত করতে চাইছে। হিন্দু বাংলা গড়ূন । বাংলাদেশ মুসলিম বাংলা করেছে -এতে অন্যায়ের কিছু নেই। ১৯৪৭ সনকে অস্বীকার করে ভারতও টিকতে পারবেনা। ভারতের তিন টুকরা হবে দ্বিজাতিতত্বের সুস্পষ্ট তিনটি ভাগ।পাকিস্তান পেরেছে, বাংলাদেশ পেরেছে, ভারত কেন পারবেনা? সঙ্খ্যালঘুরা থাকবে। তাদের জন্য পাকিস্তান ভারত বাংলাদেশ মিলে যৌথ কমিশন করতে পারে এবং কি ভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায় তাও দেখতে হবে।
মনে রাখতে হবে হিন্দুরা নিজ জাতিসত্তা রক্ষার জন্য সচেষ্ট হলে এখনও এরা নিশ্চিহ্ন হবার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। তবে বাস্তব দৃষ্টি ভঙ্গী রক্ষা করতে হবে। মমতা ব্যানার্জীরা মানুষকে বিপথে টেনে নিতে চাইছে। এরা যাতে সেই সুযোগ না পায় তা বিজেপিকে করতে হবে।