মুফাসসিল ইসলাম এবং ইসলামের আল তাকিয়া থেকে সাবধান।
মুফাসসিল ইসলাম যখন পশ্চিমবঙ্গ সফর করেছিলো তখন তার সঙ্গে ভারতীয় নাস্তিক ফেইসবুকার-এক্টিভিস্টদের দেখা সাক্ষাৎ হয়েছিলো শুধু নয়, গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিলো। আসাদ নূরের বাংলাদেশে প্রবেশ ও গ্রেফতার সম্ভবত মুফাসসিলের কুবুদ্ধি থেকে ঘটেছিলো। এটা আসাদ নূর নিজে ভালো বলতে পারবে। ভারতীয় নাস্তিকদের যারাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলো তাদের প্রতেক্যেই আমি মুফাসসিলকে এখনি বিশ্বাস করতে না করেছিলাম। একটা লোক এথিষ্ট কিং বলছে নিজেকে- এটা তো কোন নাস্তিক চিন্তাই করতে পারে না। ‘সবচেয়ে বড় আলেমের’ মত ‘সবচেয়ে বড় নাস্তিক’ বলতে কিছু হয় না। আলেম অর্থ জ্ঞানী। ইসলাম সম্পর্কে বেশি জানা নাস্তিক ব্যক্তিকেও তাই আলেম বলা যাবে। একজন নাস্তিক ইসলাম সম্পর্কে অনেক বেশি জানে, আবার আহমদ শফী ইসলাম সম্পর্কে বেশি জানে- দুইজনই বড় আলেম। কিন্তু বড় নাস্তিক বলে কিছু নেই। মুফাসিল নাস্তিকদের রাজা হতে চেয়েছিলো। আমাদের ব্লগ দুনিয়ার যে তুখোর লেখকরা আছেন তাদের এক-একজনই মুফার মত ইসলামিস্টকে পিষে ফেলতে যথেষ্ঠ।… যাই হোক, আজকে এসব বলার জন্য লিখতে বসিনি। যেটা বলতে চাই, মুফাসসিল ভারতীয় বহু নাস্তিকের হাড়ির খবর জানে? বাংলাদেশের উঠতি মুক্তচিন্তার এক্টিভিস্টদের অনেকে মুফার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রাখত। বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গে কোথাও এখন জঙ্গিদের জন্য কঠিন জায়গা নয়। বরং হিসাব করলে বাংলাদেশ থেকে এখন কোলকাতা তাদের জন্য বেশি সুবিধাজনক। পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির জমানায় ইসলামপন্থিদের পোয়াবারো। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ইসলামিক চেতনাবাজরা নানা রকম ধান্দা নিয়ে আসা-যাওয়া করে। তৃণমূলের অনেক মুসলিম-মোল্লা নেতার সঙ্গে বাংলাদেশের ইসলামিক দলগুলোর গোপন যোগাযোগ আছে। বাংলাদেশের ইসলামিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জেনেছি, তারা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উপর বেজায় খুশি!… যাই হোক, বাড়ি এসে জেএমবি কেটে চলে যাবে কিচ্ছুটি করতে পারবেন না! আপনার ডাটা অন্যের হাতে থাকলে আপনার নিরাপত্তা বলতে কিচ্ছু থাকল না। মুফাস্সিল কিন্তু অলরেডি তার খেলা শুরু করে দিয়েছে। মুক্তমনা নাম নিয়ে কারো কারো সম্পর্কে এমন তথ্য দিচ্ছে যেটা দিয়ে সে বুঝাতে চাচ্ছে- যারা নাস্তিক মুক্তমনা হয় তারা সবাই সেক্স আর মাদক নিয়ে মত্ত থাকে। সাধারণ ধর্মজীবী মানুষ নাস্তিক সম্পর্কে যা কল্পনা করে মুফাস্সিল তাদের সেটাই বুঝাতে চায়- সে নিজে দীর্ঘদিন নাস্তিকদের সঙ্গে চলাফেলা করে এসবই দেখে এসেছে…।
নাস্তিকতা কোন গুরু ধরে চলে না তাই কত বড় পন্ডিত ইসলামের ছায়াতলে চলে আসল এটা নিয়ে কোন নাস্তিক বিন্দু পরিমাণ ঘামে না। বিপদটা হচ্ছে মুফাস্সিল থেকে কেউ বিপদে পড়তে পারে কিনা? এরকম কিছুর সম্ভাবনা থাকবেই। ধর্মের প্রশ্নে একজন মুসলমানকে কখনই বিশ্বাস করা যায় না। নিজের বাপকেও বিশ্বাস করা যায় না। এদের ধর্মে মুহাম্মদই আল্লাহ। মুহাম্মদের নামে এরা নিজের সন্তানকেও খুন করে ফেলতে পারে। এমনকি মুফাসিল নিজে বিপদে পড়তে পারে ইসলামিস্টদের হাতে। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এর মাযহাব অনুযায়ী আল্লামা খাইরুদ্দীন রামালী (রঃ) ফতোয়ায়ে বাযযাযিয়ায় লিখেছেন, রাসূলের কটূক্তিকারীদের সর্বাবস্থায় হত্যা করা জরুরী। তার তওবা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। চাই সে গ্রেফতারের পরে তওবা করুক বা নিজ থেকেই তওবা করুক। কারণ এমন ব্যক্তির তওবার কোনো পরোয়াই করা যায় না এবং এই মাস’আলায় কোনো মুসলমানের মতভেদ কল্পনাও করা যায় না। এটিই ইমামে আযম আবু হানিফা (রঃ), আহলে কুফী ও ইমাম মালেক (রঃ) এর মাযহাব (তাম্বিহুল উলাতি ওয়াল হুক্কাম, পৃষ্ঠা ৩২৮)।
অর্থ্যাৎ একজন ধার্মীক গোড়া মুমিন মুফাস্সিলকে খুন করার লোভ সামলাতে পারবে না। আমার রাগ উঠছে মূলত তাদের উপর যারা অনলাইনে পীরবাদে আসক্ত হয়ে পড়ে! আজকে মুফাস্সিল, কালকে লোপা, পরশু অমুক…। মুফাস্সিলের কাছে কার কি কি গোমড় ফাঁস আছে এসব তারা নিজেরাই ভালো জানেন। কাজেই কার কতখানি বিপদ তারা নিজেরাই জানেন…।