পাকিস্তানে একটি কবরের উপর লেখা ছিলো, “ইধার সো রাহা হে এক গাদ্দার” ! (মানে এখানে শুয়ে আছে এক বেঈমান)
আর, আমরা প্লে কার্ডে লিখি “ম্যারি মি আফ্রিদি” 😊
যাহোক পাকিস্তানের সেই গাদ্দারটি কে জানেন? বাংলাদেশের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ! ছবির এ কঙ্কালটাই তিনি ! ২০০৬ সালের ২৩ জুন তাঁর দেহাবিশেষ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, কিন্তু আমরা কয়জনই বা জানি তা !
আমাদের দূর্ভাগ্য, মতিউরকে নিয়ে আমরা নাটক সিনেমা বানাতে পারিনি। করাচি থেকে বিমান ছিনতাই করে নিয়ে আসার সময় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি শহীদ হন। এমন ঘটনা ভারতে হলে বলিউড অসংখ্য সিনেমা বানিয়ে ফেলত। কিন্তু আমরা পারিনি…
আমরা এখন টিভি নাটকে পাকিস্তানী সৈনিক যে কিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লড়েছে, তার নাতনিকে বিয়ে করে দেশে আনা দেখাই। সংলাপ দেই, এতদিন পরে এইসব নিয়ে পরে থাকলে চলে না।
আফসোস হয় ভীষন, এই অযোগ্য জাতি নয় মাসে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে, মা বোনের ধর্ষনের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেলো, তার মূল্যায়নটাও করতে পারল না…
এই দেশেই যখন “ম্যারি মি” লেখা প্লেকার্ড নিয়ে স্টেডিয়ামে যায় বাংলার তরুনী, বাড়ির ছাদে পতাকা উড়ায় কোন বাঙ্গালী যুবক, যখন আত্মস্বীকৃত রাজাকারের জানাজায় উপচে পরে বাঙ্গালীর ভীড়, তখন ভাবি এই দেশটা স্বাধীন না হলেই বরংচ ভাল হত…
মতিউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে চাই, আপনি ভুল জাতির জন্য নিজের জীবন দিয়েছেন। আমাদের ক্ষমা করে দিন।
– সিমিত রায় অন্তর