কদিন আগেও বহু নাস্তিক এবং মুক্তমনাদের দেখেছি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। তাদেরকে বলতে শুনেছি মুসলমানদের চেয়ে হিন্দুরা বেশি সাম্প্রদায়িক। ঈদের দিনও প্রতিটি জামাতের খুৎবায় বিশ্বের অমুসলিমদের জন্য বদদোয়া করা হয়েছে, ইসলামে অমুসলিমদেরকে শুভেচ্ছা জানানো নিষিদ্ধ এমন অভিযোগ থাকার পরও তারা চরম উদারতা দেখিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেছেন। খুব ভালো কথা, মানবতার জয় হোক।
কিন্তু গতকাল থেকে সেই কথিত নাস্তিক মুক্তমনা সেক্যুলাররা কৃষ্ণ দর্শন নিয়ে মেতে উঠেছেন। এবং কেচ্ছা কাহিনীর সাহায্যে প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন কৃষ্ণ কী পরিমাণ খারাপ ছিল।
কৃষ্ণের জন্মদিনে কৃষ্ণ বিদ্বেষ।
এখানে এখন মানবতাবোধ অপাংক্তেয়। যারা মানবতা, উদারতার বাণী ছড়ায় তারাই করছে এ কাজটি। এরা কৃষ্ণ দর্শন নয় বরং কৃষ্ণকে ধর্ষণ করছে, দুদিন ধরে।
আরে ঈশ্বরকে যে মানুষ নিজেদের গর্ভে জন্ম দিয়েছে, ঈশ্বরকে নিজেদের গর্ভে জন্ম দেয়ার সাহস দেখিয়েছে, এটাই তো অসাধারণ, অতুলনীয়।
আমার খুব পছন্দের কয়েকজন আস্তিক বন্ধু আছেন। Raisul Islam John তাদের অন্যতম। নিচের অংশটুকু তারই লেখা।
মুক্তমনা গোত্রের এক নারী সেলিব্রেটি বললো ‘কৃষ্ণের মতো পার্ভাট দেবতা হয় কি করে তা উনার মাথায় আসে না’।ওই সেলিব্রেটির মতো মাথা মোটা ব্যক্তি কৃষ্ণের সমালোচনা করে কিভাবে তা আমার মাথায় আসে না।সেতো এটাই জানে না যে কৃষ্ণ দেবতা নয় ভগবান।আসলে সে নিজেই পার্ভাটের আওলাদ তাই যাদের সংস্পর্শে বড় হয়েছে তাদের টাইপেরই ভাবে কৃষ্ণকেও।হাজার হাজার নারীর সাথে সম্পর্ক কৃষ্ণের,অথচ একজন নারীও কৃষ্ণ দ্বারা কখনো অপমানিত হয় নি।একজন নারীরও অভিযোগ ছিলো না কৃষ্ণের বিরুদ্ধে।ওই সেলিব্রেটির চৌদ্দগোষ্ঠির মধ্যে এমন পুরুষ আছে যার সাথে বহু নারী মিশবে অথচ কারো অভিযোগ থাকবে না বা কেউ অপমানিত হবে না?কৃষ্ণের বেলায় শুধু নারী পুরুষের মিলন দেখে,ভক্ত আর ভগবানের মিলন দেখে না।প্রকৃত মুক্তমনা কৃষ্ণ চরিত্র আর কৃষ্ণ দর্শন স্টাডি করলে স্বীকার করতে বাধ্য হবে যে কৃষ্ণের মতো মুক্তমনা তাদের মহলে আজও পয়দা হয়নি।