দেশমাতৃকার বেদনাদায়ক বিভাজনের ৭০ বছরে ১৯8৬-8৭ এ’র কলকাতার রক্ষাকর্তা হিন্দুবীর গোপাল মুখোপাধ্যায় লহ প্রনামঃ
(নিজেও পড়ুন ও পরিবারের সকলকে পড়ান, যতদূর সম্ভব শেয়ার করুন …।)
যে জাতি রক্ষককে ভুলে যায় আর ভক্ষককে পূজা করে সে জাতিকে বাঁচাবে কে? ১৯৪৬ সালের সেই ভয়ঙ্কর দিনটাতে কলকাতা শহরে হিন্দুদের রক্ষক ছিলেন গোপালচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায়, আর ভক্ষক ছিলেন হোসেন সাহিদ সূরাবর্দী। গোপালচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায় কোনো নেতা ছিলেন না, রাজনীতি করতেন না। তিনি ছিলেন একজন সাধারণ ব্যক্তি। আর সুরাবর্দী ছিলেন মুসলিম লীগের নেতা ও অখণ্ড বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
দিনটা ছিল ১৬ই আগস্ট। ১৯৪৬ সালের এই দিনটাকে মুসলিম লীগের সর্বভারতীয় সভাপতি মহম্মদ আলি জিন্না প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস (Direct Action Day) হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন, ভারতকে ভাগ করে পাকিস্তান আদায়ের দাবিতে। দাবিটা সকলে বুঝেছিল, কিন্তু প্রত্যক্ষ সংগ্রামটা কার বিরুদ্ধে-সেটা হিন্দুরা বোঝেনি, এমনই বুদ্ধিমান ছিলেন আমাদের বাপ ঠাকুর্দারা! আর সংগ্রামটা ঠিক কিরকম, তাও বোঝেননি আমাদের পূর্বপুরুষেরা। তাঁরা মনে করেছিলেন—এটা বুঝি গান্ধী বা আন্না হাজারের মত ঝাণ্ডা নেড়ে অনশন করার মত সংগ্রাম। তাই ১৬’ই আগস্ট সকাল থেকে যখন মুসলিম লীগের পোষা গুণ্ডারা কলকাতার কয়েকটি পাড়ায় আক্রমণ করা শুরু করে দিল, তখনও হিন্দুদের চোখ খোলেনি। তাই বিকালে কলকাতার প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুরা মনুমেন্ট ময়দানে গিয়েছিল মুসলিম লীগ ও ভারতের কমুনিস্ট পার্টির যৌথ মিটিং শুনতে। সেই মিটিংয়ে একসঙ্গে বাঁধা হয়েছিল চাঁদতারা মার্কা সবুজ পতাকা ও কমুনিস্টদের লাল পতাকা। মঞ্চ আলো করে একসঙ্গে বসেছিলেন কমরেড জ্যোতি বসু, হোসেন সুরাবর্দী ও খাজা নাজিমুদ্দিন। সেই মিটিংয়ে মুসলিম লীগের সঙ্গে গলা মিলিয়ে জ্যোতি বসু শ্লোগান দিলেন—“আগে পাকিস্তান দিতে হবে, তবেই ভারত স্বাধীন হবে।”
বিকালবেলায় এই মিটিং শেষে ফেরার পথেই মুসলমানরা ঝাঁপিয়ে পড়ল ধর্মতলায় হিন্দুদের উপর ও হিন্দু দোকানগুলির উপর। ১৯৪৬-এর ১৬, ১৭, ১৮ আগস্ট গোটা কলকাতায় তিনদিন ধরে যে হত্যালীলা চলল, আধুনিক ইতিহাসে সে নৃশংসতা বিরল। সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত ও নিরীহ হিন্দুরা মুসলিম লীগ গুণ্ডাদের হাতে কচুকাটা হতে লাগল। কলকাতার রাস্তা হিন্দুর রক্তে লাল হয়ে গেল। সর্বত্র মানুষের লাশ পড়ে। স্তব্ধ হয়ে গেল জনজীবন। এই তিনটে দিনকে বর্ণনা করার মত ভাষা মানুষের কাছে ছিল না। ইংরাজি স্টেটসম্যান পত্রিকা এই ঘটনার হেডিং করেছিল “The Great Calcutta Killing”। অন্যান্য সাংবাদিকেরা লিখেছিলেন, -“Week of Long Knives”
ওই সময় একজন বিদেশী সাংবাদিক কলকাতায় উপস্থিত ছিলেন। তার
নাম ফিলিপ ট্যালবট। তিনি হিন্দু বা মুসলমান কোন পক্ষভুক্ত না হওয়ায় তার বর্ণনাকে গবেষকরা নিরপেক্ষ ও সঠিক বলে মনে করেন। এই সাংবাদিক “Institute of Current World Affairs’ সংস্থার প্রধান ওয়াল্টার রজার্স’কে চিঠিতে লিখেছেন—“ভারতের বৃহত্তম শহর ও বৃটিশ সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটা যেন নিজেকে নরখাদকে পরিণত করার কাজে লিপ্ত হয়েছে। শহরের সমস্ত রাস্তার দোকানগুলির একটিরও দেওয়াল বা দরজা গোটা নেই। সমস্ত দোকান লুট হয়েছে। আর গুণ্ডারা যেগুলো লুট করতে পারেনি, সেগুলো রাস্তায় ছড়ানো। আর ছড়ানো চারিদিকে মানুষের লাশ। টাটকা লাশ, গরমে পঁচে যাওয়া লাশ, অঙ্গহীন লাশ, থেঁতলে যাওয়া লাশ, ঠেলাগাড়িতে স্তূপাকৃতি লাশ, নর্দমায় লাশ, খালি জায়গায় স্তূপ হয়ে থাকা লাশ, শুধু লাশ আর লাশ!”
ফিলিপ ট্যালবট আরও লিখেছেন,—শুধু ৩৫০০ লাশ সংগ্রহ করে গোনা হয়েছে, আর কত লাশ যে হুগলী নদী দিয়ে ভেসে গিয়েছে, কত লাশ হাইড্রেনে আটকা পড়ে আছে, কত লাশ যে ১২০০ স্থানে দাঙ্গার আগুনে পুড়ে গিয়েছে, আর কত লাশ মৃতের আত্মীয়েরা তুলে নিয়ে গিয়ে সৎকার করে দিয়েছে—তার সংখ্যা কেউ বলতে পারবে না। তিনদিন পর শহরে সেনা নামানো হয়েছিল। সেনাবাহিনীর অনুমান-৭০০০ থেকে ১০,০০০ লোক এই দাঙ্গায় নিহত হয়েছে।
এই বীভৎস নরসংহারের প্রত্যক্ষ নায়ক ছিলেন মুসলিম লীগের সুরাবর্দী। এই নরঘাতক মুখ্যমন্ত্রী সেদিন কলকাতার জনসভায় ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে, পাকিস্তান দাবী আদায়ের প্রত্যক্ষ সংগ্রামের সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে নিস্ক্রিয় করে রাখা হবে। অর্থাৎ তিনি মুসলিম গুণ্ডাদেরকে প্রত্যক্ষ উস্কনি দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ঐ নরঘাতক সেদিন লালবাজারে পুলিশ সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমে বসে থেকে পুলিশ’কে নিস্ক্রিয় করে রেখে নিরীহ হিন্দুদেরকে কচুকাটা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। নিউমার্কেট এলাকার বোম্বাইয়া, কর্ণওয়ালিশ বস্তির মিনা পাঞ্জাবি ও হ্যারিসন রোডের মুন্না চৌধুরী—এই তিনজন কুখ্যাত গুণ্ডা আগে থেকেই মুসলিম লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এরা হিন্দু নিধনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিল।
আঘাতের সেই প্রচণ্ড ধাক্কায় হিন্দুরা যেন অবশ হয়ে পড়েছিল। প্রতিকার ও প্রতিক্রিয়া তো দূরের কথা, আত্মরক্ষাটুকু করতেও তারা অসমর্থ ছিল। নেহেরু তখন দিল্লীতে অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ও তার গুরু গান্ধীজী কলকাতার এই হত্যালীলার সময় নপুংসকের ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাই হিন্দুরা মনে করেছিল যে এটাই তাদের নিয়তি।
বাংলার ও কলকাতার হিন্দুর সেই অবশ ও বিবশ অবস্থার দুদিন পর সামান্য সাড়া ফিরিয়ে এনেছিলেন যে অল্প কয়েকজন অসমসাহসিক ব্যক্তি, তাঁদের মধ্যে প্রথম ও অন্যতম ছিলেন শ্ৰী গোপালচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায়। মধ্য কলকাতার বৌবাজার অঞ্চলে মলঙ্গা লেনে তাঁর বাড়ি। বৌবাজারেই তাঁর একটি পাঠার মাংসের দোকান ছিল বলে তিনি ‘গোপাল পাঁঠা’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। বিপ্লবী অনুকূলচন্দ্র মুখার্জী তাঁর নিকটাত্মীয় ছিলেন। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীতে তিনি নেতাজী সুভাষচন্দ্রের আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। ফলে গান্ধীর অহিংসা নীতিতে তাঁর বিন্দুমাত্র বিশ্বাস ছিল না। তিনি বিশ্বাস করতেন, ইংরেজকে বলপ্রয়োগ করেই ভারত থেকে তাড়াতে হবে। কিন্তু কংগ্রেসের কিছু নেতার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। বিশেষ করে তাঁর প্রতিবেশী কংগ্রেস নেতা ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল।
গোপাল মুখোপাধ্যায় তার মতাদর্শ অনুসারেই “ভারত জাতীয় বাহিনী’ নামে একটি ছোট সংগঠন পরিচালনা করতেন। বিপ্লবী চিন্তাধারা অনুযায়ী সেখানে শক্তি ও অস্ত্রের চর্চা হত। এই সংগঠনটি সম্বন্ধে সাধারণ মানুষ বেশি অবহিত ছিলনা। কিন্তু ১৯৪৬-এর আগস্ট গণহত্যার সময় গোপাল পাঁঠার নেতৃত্বে ‘ভারত জাতীয় বাহিনী’ কলকাতায় হিন্দুপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। হিন্দু রক্ষায় ও মুসলিম দুস্কৃতি দমনে অত্যন্ত বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল গোপাল মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। সেদিন কলকাতার হিন্দুদের চোখে তিনি পরিত্রাতারূপে চিহ্নিত হয়েছিলেন।
এছাড়া সেদিনের সেই গৃহযুদ্ধে হিন্দুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন শ্ৰী যুগলকিশোর ঘোষ। কলকাতা শহরের শিখ এবং গোয়ালারাও এই কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। আর সার্বিক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী।
হিন্দুরা প্রথমে মার খেয়ে যখন পাল্টা মার দিতে শুরু করল, তখন হিন্দুঘাতক সুরাবর্দী ইংরেজ সরকারকে অনুরোধ করে সেনাবাহিনী নামালেন। কয়েকদিনের মধ্যেই মুসলিম লীগ বুঝতে পারল যে তাদের ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। তখন মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠনের প্রধান জিজি আজমীরী ও মুসলিম ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য শেখ মুজিবর রহমান (পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি) গোপাল মুখোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে করজোড়ে অনুরোধ জানালেন এই রক্তপাত বন্ধ করার জন্য।
তারপর হল নোয়াখালি। ১৯৪৬-এর ১০ই অক্টোবর কোজাগরী পূর্ণিমার দিন থেকে পূর্ববঙ্গের দুর্গম জেলা নোয়াখালিতে আর এক সাম্প্রদায়িক মুসলিম লীগ নেতা গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল হিন্দুনিধন। ইতিহাসের সে আর এক কালো অধ্যায়।
এল ১৯৪৭। ১৪ই আগস্ট দেশভাগ হবে, আগে পাকিস্তান জন্ম নেবে। তারপর ১৫ই আগস্ট ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়া হবে। মোহনদাস গান্ধী ঠিক করেছিলেন- ওইদিন তিনি দিল্লীতে থাকবেন না। নোয়াখালিতে গিয়ে নিপীড়িত হিন্দুর পাশে থাকবেন। সেই উদ্দেশ্যে ৯ই আগস্ট তিনি কলকাতায় এলেন। কিন্তু এখানে সুরাবর্দী ও মুসলমানরা তার কাছে গিয়ে অনুরোধ করল তাদেরকে বঁচাতে। কারণ, দেশভাগের ফলে পুলিশ বাহিনীর মুসলিম পুলিশরা পাকিস্তানে চলে যাচ্ছে। ফলে এখানে তারা নিরাপদ নয়। তাদের এই আবেদন শুনে গান্ধী নোয়াখালির হিন্দুদের কথা ভুলে গিয়ে কলকাতাতেই থেকে গেলেন মুসলিম রক্ষার জন্য। হিন্দুরা তাঁকে ব্যঙ্গ করতে লাগল। কিন্তু তিনি অবিচলিত থেকে হিন্দুদের কাছে আবেদন জানালেন, মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ ত্যাগ করতে এবং সমস্ত অস্ত্র তাঁর কাছে জমা করতে। গান্ধীজী দু’বার ব্যক্তিগতভাবে গোপাল মুখোপাধ্যায়কে আবেদন করলেন অস্ত্ৰ জমা দিতে। গোপালবাবু তাতে কৰ্ণপাত করেননি। তখন গান্ধীজীর সচিব গোপালবাবুকে জিজ্ঞাসা করলেন, কেন তিনি অস্ত্ৰ জমা দিচ্ছেন না? গোপালবাবু তাঁকে দৃঢ়কণ্ঠে উত্তর দিলেন-হিন্দুদের সম্মান রক্ষায় ব্যবহারযোগ্য অস্ত্ৰ তো দূরের কথা, একটা সূঁচ পর্যন্ত তিনি জমা দেবেন না।
গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কলকাতায় জন্ম ৭ সেপ্টেম্বর ১৯১৩। মৃত্যু ১০ ফেব্রুয়ারী ২০০৫।
এই কিছুদিন আগে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী দীপুমণি কলকাতা এসেছিলেন। এখানে এসে তিনি মেদিনীপুর গেলেন ৪৬-এর হিন্দুঘাতক সুরাবর্দীর বাড়ি দেখতে। ওখানেই সুরাবর্দীর জন্ম হয়েছিল। অর্থাৎ ভারত বিভাজনকারী হিন্দু গণহত্যাকারী হোসেন সুরাবর্দীর বাড়ি আমরা এখনও যত্ন করে রক্ষণাবেক্ষণ করছি। কিন্তু ১৯৪৬-৪৭-এ হিন্দুর পরিত্ৰাতা গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়কে আমরা ভুলে গিয়েছি। ইতিহাসকে যারা ভোলে, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করে না।
সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি জোটবদ্ধ মুসলিম ব্লক ভোটের দাসত্ব করতে ১৯৪৬-৪৭ এর হিন্দুর আর্তনাদ ভরা সেই রাক্তাক্ত দিনগুলি মানুষকে ভুলিয়ে দিতে চায়। তার পরিণামে যে সেইদিনগুলোই আবার বাংলার গ্রামে গ্রামে ফিরে আসছে—এই ভয়ঙ্কর সত্যটিকেও চাপা দিতে চায় তারা। কিন্তু তা আর চাপা থাকছে না। ধূলাগড়-বাদুড়িয়া-বসিরহাট-কালিয়াচক-ইলামবাজার-চোপড়া-ইসলামপুর-নলিয়াখালি-উস্তি-মল্লিকপুর-কালিগঞ্জ-হাঁসখালি-সমুদ্রগড়-ডোমকল-পঞ্চগ্রামের ঘটনা আবার বাংলার আকাশে অশনি সংকেত। এই অবস্থায় হিন্দু সংহতি’র পক্ষ থেকে ১৯৪৬-৪৭-এর সেই ইতিহাসকে মানুষের সামনে তুলে ধরার ক্ষুদ্র প্রয়াস আমরা করছি ১৬ই আগস্টকে সামনে রেখে।
চলুন, এবছর আমাদের মাতৃভূমির বেদনাদায়ক বিভাজনের ৭০ বছরে এই ১৬ই আগস্ট দিনটিতে হিন্দুর পরিত্রাতা আমাদের বীর পূর্বপুরুষ গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়-কে আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। সংকল্প নিই, মৌলবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করে আর একবার দেশবিভাগ কিছুতেই মেনে নেব না। তার শৌর্য বীর্য থেকে প্রেরণা নিই ও বাংলার মাটি রক্ষার শপথ গ্রহণ করি।