এক সময় নেপালে এক পূজাস্থলে ব্যাপকতম ছাগ ও মহিষ হত্যা হতো। চার বছর হলো তা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ। নদীয়া জেলার কয়েকটি স্থলে পঞ্চাশ বছর আগেও মোট কয়েক হাজার ছাগ বলি হতো। আজ সব বন্ধ। ত্রিপুরার গোমতী জেলায় একটিমাত্র মন্দিরে আজও শ্যামাপূজার রাত্রে দশ বারোটি ছাগশিশু বলি হয়। প্রগতিশীল হিন্দুদের পক্ষ থেকে প্রাণী হত্যায় আপত্তি জানানো হয়েছে, একদিন তা বন্ধ হবেই। সময়ের সাথে সাথে হিন্দুরা ক্রমশ সভ্য হচ্ছে, আর মুসলমান ক্রমশ পিছনে হাঁটছে। হাঁটতে হাঁটতে সেই মগা ডাকাতের দেশ মক্কা, ইয়াতরিবে (মদিনাতুল আল মুনোয়ারা) পৌঁছে গেছে। তবুও পিছনের দিকে হেঁটেই চলেছে জম্বির মতো। বাংলাদেশে শুধু এই এক ইদুল আযাহার দিনে ত্রিশ লক্ষ গো বধ হয়, রক্তের নদী বয়ে যায় রাস্তা দিয়ে। মূর্খ মুমিন মুসলমান জানে না গরু তার স্বাভাবিক খাদ্য নয়, খায় আর হার্টের রোগ আরো কত রকমের রোগে অল্প বয়সে মরে। ভারতে আসে চিকিৎসা নিতে। শয়তানের মুরিদ পির ফকির মোল্লারা হিন্দুর বিরোধিতা করতে গরু খাওয়া ইসলামে ফরজ বলে। এতে ঈমানী তাকত বাড়ে। শত সহস্র মিথ্যার সাথে আর একটি বেড়েছে।
মুসলমানের ক্ষেত্রে গরু হল জিহাদি খাদ্য। আর জিহাদ হলো সভ্য হিন্দুদের সাথে। যদিও আমি কিন্তু গো হত্যার খুব বিরোধী তাও নয়। আধুনিক স্লটার হাউসে অনুৎপাদক নীরোগ গবাদি পশু স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে কেটে যে খায় সে খেতে পারে। তবে দয়াকরে তাকে ধর্মের সাথে জড়িও না। মুসলমান থেকে মানুষ হও।
গোরাচাঁদ রায়