ইহুদী জাতি কতদিন তাদের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত ছিল তার সঠিক তথ্য আমার জানা নেই।তবে শুনেছি প্রায় 1700 বছর!
তা যাই হোক!
তারা শরনার্থী হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছিলেন।খুব সুখে ছিলেন না কিন্তু!ভারতবর্ষ ব্যাতিরেকে পৃথিবীর প্রায় সব দেশ ইহুদীদের ঘৃনা করত।শুধু তায় নয় করত নানান অত্যাচার!
এহেন পরিস্তিতিতে থেকেও ইহুদীরা যে যেখানেই থাকুন না কেন,বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে নিজের নিজের স্থায়ী বা অস্থায়ী বাসস্থানের ওয়ালে/উপযুক্ত স্থানে নিজের দেশের মানচিত্র এবং উপাস্যের ছবি টানিয়ে ভক্তিসহকারে প্রতিজ্ঞা করতেন যে,এই পবিত্র দিন আগামী বছর নিজের দেশ ইজরায়েল এ পালন করব।
লক্ষ্য করুন,এই প্রতিজ্ঞা কখন করছেন ইহুদীগণ,যখন সমস্ত যাতনা সহ্য করে তারা ভিনদেশে শরনার্থী।
ঠিক এইভাবে অদম্য বিশ্বাস,তীব্র জেদ,অদমনীয় স্ব-জাতি-স্বদেশপ্রেম প্রভূতি প্রভূতি বংশপরম্পরায় যুগ যুগ ধরে জীবিত রেখে আজ ইহুদীরা নিজের দেশ ইজরায়েল উদ্ধার করেছে।শুধু উদ্ধার-ই করেনি,বসবাসও করছে।আর বসবাস করছে বীরদর্পে।তাদের সামরিক অবস্থান এখন বিশ্বে সমীহ জাগানো।তা আমরা সকলেই অবগত।
ঠিক এই সুত্র-ই আমার তথা অনেকের মনে গেঁথে দিয়েছেন বা গেঁথে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন হিন্দু সংহতির প্রতিষ্ঠাতা তপন ঘোষ।তিনি বলতেন বা বলেন বাংলাদেশ আমার দেশ।পাকিস্থান আমার দেশ।আফগানিস্থান আমার দেশ।বর্বর মুসলমান লুটেরারা আমার দেশ অধিকার করে নিয়েছে।তারা ভিনদেশী।তাদের দেশ আরব।তারা আমাদের শত্রু।তাদের বিতাড়ন করতে হবে।তাদের আমাদের দেশ থেকে তাড়াতে হবে।যেকোন উপায়ে দেশছাড়া করতে হবে।
প্রতিশোধ নিতে হবে।সুদেআসলে প্রতিশোধ নিতে হবে।
প্রতিজ্ঞা করো আগামী “দিওয়ালী/দিপাবলী” ঢাকা তথা লাহোরে উদযাপন করবো।মহাধূমধামে করবো।শত্রুমুক্ত করে করবো।শোর্যের সাথে করবো।
তাই আসুন-বাঙালীর দেশ দখলমুক্ত করি।বাঙালীর দেশ খন্ডিত পশ্চিমবঙ্গ নয়।বাঙালীর দেশ বর্তমান বাংলাদেশ নিয়ে।প্রতিজ্ঞা করুন এবং করান সন্তান-সন্ততিসহ আমরা আগামী দূর্গাপুজা বা কালীপুজা ঢাকায় পালন করবো।
“জয় বাংলা-জয় বাঙালী”
” জয় মা কালী-ঢাকায় পালন করবো আগামী দীপাবলী।”
“শুভ দীপাবলির অগ্রিম মাঙ্গলিক শুভেচ্ছা।”