হিন্দুদের ধর্মান্তরিত কারার সহজ ফাঁদ!-দুরর্ম

ফাঁদ

হিন্দুদের ধর্মান্তরিত কারার সহজ ফাঁদ।  উপর থেকে দেখলে আরব্য ধর্মগুলিকে কিন্তু খুবই সুন্দর ধর্ম মনে হয়। সবাই এক কাতারে দাড়িয়ে প্রাথনা করে, রমজানে সবাই এক সাথে ইফতার করছে ইত্যাদি খুবই সুন্দর দৃশ্য। পক্ষান্তরে , উপর থেকে দেখলে হিন্দু, খৃষ্টান , বৌদ্ধ ইত্যাদিদেরকে মূর্তি পুজারি মনে হয়।

যুক্তি হিসাবে, সৃষ্টিকর্তা থাকলে সে হবে নিরাকার , এমন একটা যুক্তি দাড় করিয়ে প্রথমেই অমুসলিমদেরকে কিছুটা দুর্বল করে দেয়া যায়। যদিও সার্বিক বিচারে কোরান ও হাদিস মোতাবেক আল্লাহ মোটেই নিরাকার নয়। কিন্তু যেহেতু, মুসলমানরা আল্লাহর কোন প্রতিকৃতি তৈরী করে না , তাই কৌশলে মিথ্যা কথা বলে হলেও প্রমান করা যায় ইসলামের আল্লাহ নিরাকার।

কাবা ঘরের কালপাথরের ঘটনাকে একটা ঐতিহ্য বলে চালাতে হবে, যদিও বস্তুত: হাদিসের বিধান মতে উক্ত কাল পাথরই হলো আসলে ইসলামের আল্লাহ , কারন উক্ত কাল পাথরের পাপ মোচনের ক্ষমতা বিদ্যমান যে ক্ষমতা শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তারই থাকার কথা। অমুসিলমরা তো কোরান হাদিস পড়ে নাই , এমন কি নিজেদের ধর্মও ভালমতো জানে না সুতরাং খুব সহজেই তাদেরকে এই যুক্তিতে বিভ্রান্ত করা যায়। মোট কথা , ইসলামকে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্যে সব রকম মিথ্যাচার করে যেতে হবে , যা আসলে ইসলামেরই একটা বিধান যাকে বলে তাকিয়া।

এরপরে , প্রচার করতে হবে যে , নবী মুহাম্মদ হলো দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানুষ। শত অত্যাচার সহ্য করে সে ইসলাম প্রচার করেছে। বানিয়ে বানিযে মিথ্যা কাহিনী বলতে হবে মুহাম্মদ সম্পর্কে , যার অন্যতম হলো – পথে বুড়ির কাটা বিছানোর গল্প , যার আদৌ কোন ভিত্তি নেই ,

ধর্মান্তরিত কারার সহজ ফাঁদ
ধর্মান্তরিত কারার সহজ ফাঁদ

কিন্তু স্কুলে পাঠ্য বইয়ে ঠিকই এই গল্পটা আছে , যা অমুসলিমরাও জানে। আর খুব কৌশলে গোপন করে যেতে হবে মুহাম্মদের ব্যাক্তি জীবনের সকল রকম অনৈতিক কাজ কারবার যেমন – তার বহু বিবাহ বা লু**মির কথা , বুড়া কালে শিশু বিয়ে বা ৯ বছর বয়সী আয়শাকে বিয়ের নামে ধর্ষন করার কথা , আতর্কিতে অমুসলিম বসতি আক্রমন করে তাদেরকে হত্যা করে লুটপাট ও তাদের নারীদেরকে বন্দি করে ধর্ষন করার মত বর্বর ও জঘন্য ঘটনার কথা ,

তার বানিজ্য কাফেলা লুটপাট বা ডাকাতির কথা , পুত্রবধুর প্রেমে পড়ার মত বদমায়েশী করার ঘটনা , সর্বোপরি , মুহাম্মদ যে ইসলাম গ্রহন না করলে বা ইসলাম ত্যাগ করলে তাদেরকে হত্যা করত , সেসবকে আত্মরক্ষার ঘটনা বলে চালিয়ে দিতে হবে।

তবে যদি কেউ এসব নিয়ে প্রশ্ন করে , তাহলেই। তা না হলে এসব স্রেফ গোপন করে যেতে হবে। সাধারন মানুষ ধর্মীয় বিষয় তেমন একটা জানে না। সেটা মুসলমান বা অমুসলমান উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অমুসলিমরা তো আরও বেশী করে ধর্মের প্রতি অনীহ থাকে। সুতরাং ধর্ম সম্পর্কে প্রায় কিছুই না জানা , অথচ মানসিকভাবে কোন এক কথিত সৃষ্টিকর্তার প্রতি তাদের বিশ্বাসের দূর্বলতার বিষয়কে হাতিয়ার করে,

এবার তাদেরকে বেহেস্তের লোভ দেখাতে হবে , যেখানে আছে সব সুখ। কিন্তু অবশ্যই বেহেস্তে যে ৭২ কুমারী নারী , মদ , গেলমান ইত্যাদি বসে আছে যৌন ফূর্তি করার জন্যে , এসব গোপন করে যেতে হবে। কারন এই ধরনের বেহেস্তকে সাধারন মানুষও অনেকটা অশ্লীল বলে মনে করে। কেউ যদি এসব বিষয়ে নিয়ে প্রশ্ন করেও বসে ,

বলতে হবে , কুমারি নারীর কথা কোরান বা হাদিসে নাই , যা আছে তা কিছু মূর্খ লোকদের অপপ্রচার , হুর অর্থ সঙ্গি , এর আরও বহু অর্থ আছে , সর্বোপরি বলতে হবে , কুমারি নারী সম্পর্কিত যেসব হাদিস আছে , তা আসলে জাল হাদিস , ইহুদিরা এসব লিখেছে।

এর পরে যদি কেউ প্রশ্ন করে , যারা ইসলামের জিহাদের নামে হত্যা কান্ড করছে , সেটা কি বিষয়। সাথে সাথেই বলতে হবে , ইসলামের সাথে এসবের কোনই সম্পর্ক নেই, ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম , যারা এসব সন্ত্রাসী কাজ করছে , তারা ইসলাম জানে না।

হিন্দুদের ধর্মান্তরিত কারার সহজ ফাঁদ
হিন্দুদের ধর্মান্তরিত কারার সহজ ফাঁদ

আর নারীর ক্ষেত্রে বলতে হবে , নারীকে ইসলাম দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান , যেমন – নারী তার পিতার সম্পত্তির ভাগ পায়। কিন্তু চেপে যেতে হবে -ইসলামের আল্লাহ স্বামীকে অধিকার দিয়েছে সামান্য কারনে স্ত্রীকে বেধড়ক পিটানোর , হাদিসে নারীকে কুকুর ও শয়তান বলেছে , বন্দিনী নারী বা দাসীকে ধর্ষন করার বিধানের বিষয় ,

এক সাথে বহু স্ত্রী রাখার বিষয়, শিশু বিয়ের বিষয় , নারীর যে কোনই স্বাধীনতা নেই এসব বেমালুম চেপে যেতে হবে। বার বার প্রচার করতে হবে , নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদা তোতাপাখির মত , কিন্তু কিভাবে সেটা দিয়েছে ,সেটা বেশী বলা যাবে না। এসব বিষয় নিয়ে কথা না বলে , বার বার বলতে হবে ,

একমাত্র ইসলামই নারীকে সম্পত্তির অধিকার দিয়েছে যা অন্য কোন ধর্ম দেয় নাই। ব্যাস হয়ে গেল। আশা করা যায় , এতেই কেল্লা ফতে। সবাই বলুন , সুবহান আল্লাহ ! 

সর্বশেষ একটি কথা না বলেই নয় ইসলামে হলো ইন্দুর মারা ফাঁদ, কারণ এখানে ঢুকা যায় বের হওয়া যায় না।

আরো পড়ুন…

Scroll to Top